আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
322 views
in সালাত(Prayer) by (102 points)
edited by
১)আজকে যোহরের নামাজে দেরি হয়ে যাওয়ায় মসজিদে এক লোকের পিছে ছানি জামাতে নামাজ আদায় করি।কিন্তু তিনি নামাজ অনেক তারাতারি পড়িয়েছেন।তার কুরআন তিলওয়াত শুদ্ধ নাকি তা নিয়েও সন্দেহ হচ্ছিল।দেখা গেছে আমার তাসবিহ একবার পড়াও হয় না আর তিনি উঠে যান এরকম অনেক তারাতারি তাই আমার সন্দেহ হয়।পরে আমি যোহরের ৪রাকাত ফরজ নামাজ ওয়াক্তের মধ্যেই পুনরায় একাকী আদায় করে নিয়েছি।আমার কি নামাজ হয়েছে?

২) মাঝে মাঝে ওয়াসওয়াসা আসে যে নামাজে তাকবীরে তাহরীমার সময় আল্লহু আকবার এ আল্লহ শব্দের ল তে এক আলিফ টেনেছি কি না।এই সন্দেহের কারণে কি নামাজ পুনরায় পড়বো মাঝে মাঝে এরকম হয়।

আর আল্লহ শব্দের ল তে এক আলিফ না টানলে কি লাহনে জলি হবে?

৩)আমার মা একটি ভিডিওর কথা বলছিলেন আমি না জেনেই মজা করে বলেছি ফালতু ভিডীও।আমিও তখনও শুনি নাই এইটা কি ভিডিও।পরে শুনেছি যে এইটা একটা ইসলামিক বক্তার ভিডিও ওই ভিডিওতে কুরআন ও হাদীস দিয়ে কথা বলা হয়েছে।এখন না জেনে এই ভিডিওকে ফালতু বলাতে কি ঈমানে সমস্যা হবে?

৪)আপনাদের একটি ফতোয়ায় দেখেছি না জানলে বা ভুলে গেলে সাহেবে তারতীবের হুকুম সাকেত হয়ে যায়।আমি অনেক আগে এমন অনেকবার হয়েছিল যে আমি কাযা না পড়েই ওয়াক্তের নামাজ আদায় করেছি।তখন আমি হানাফি ছিলাম না আহলে হাদীস ছিলাম তাই সাহেবে তারতিবের হুকুম জানতাম না।এখন ওই নমাজগুলো কি পুনরায় আদায় করতে হবে?

৫)একবার তারাবির নামাজ এক রাকাত পড়েছিলাম পরে সাহু সিজদা দিয়ে সালাম ফিরিয়েছিলাম আমার তীব্র ধারণা হচ্ছিল দুই রাকাত ই পরেছি।নামাজ শেষে আমার পাশের একজন বলে আমি এক রাকাত পড়ছি। এখন গত বছরের ওই তারাবির নামায কি দহরাতে হবে?আর এটা না দহরালে কি সাহেবে তারতিবের হুকুম আসবে যেহেতু এটা ফরজ না?

৬) ক্রিকেট ফুটবল দেখা যেহেতু জায়েজ না ক্রিকেট ফুটবলের মত জুয়ার আসরে এমন কোনো দলকে সমর্থন করাও কি নাজায়েজ?কেবল জানার জন্য প্রশ্ন

1 Answer

0 votes
by (63,040 points)
edited by

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

ওয়াসওয়াসা থেকে বাঁচার আমলঃ 

ইবনে হাজার আল-হাইছামি তাঁর ‘আল-ফাতাওয়া আল-ফিকহিয়্যা আল-কুবরা’ গ্রন্থে (১/১৪৯) এসেছে, তাঁকে এর প্রতিকার সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন,

 

له دواء نافع وهو الإعراض عنها جملة كافية ، وإن كان في النفس من التردد ما كان – فإنه متى لم يلتفت لذلك لم يثبت بل يذهب بعد زمن قليل كما جرب ذلك الموفقون , وأما من أصغى إليها وعمل بقضيتها فإنها لا تزال تزداد به حتى تُخرجه إلى حيز المجانين بل وأقبح منهم

 

অর্থাৎ, এর ঔষধ একটাই সেটা হচ্ছে– ওয়াসওয়াসাকে সম্পূর্ণরূপে এড়িয়ে যাওয়া; এমনকি মনের মধ্যে কোন দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকা সত্ত্বেও। কেননা কেউ যদি সেটাকে ভ্রুক্ষেপ না করে তাহলে সেটা স্থির হবে না। কিছু সময় পর চলে যাবে; যেমনটি তাওফিকপ্রাপ্ত লোকেরা যাচাই করে পেয়েছেন। আর যে ব্যক্তি ওয়াসওয়াসাকে পাত্তা দিবে এবং সে অনুযায়ী কাজ করবে সে ব্যক্তির ওয়াসওয়াসা বাড়তেই থাকবে; এক পর্যায়ে তাকে পাগলের কাতারে নিয়ে পৌঁছাবে কিংবা পাগলের চেয়েও নিকৃষ্ট পর্যায়ে পৌঁছাবে।

 

এর সর্বোত্তম প্রতিকার হচ্ছে– বেশি বেশি আল্লাহর যিকির করা, لَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ اِلَّا بِاللهِ  পড়া, আউযুবিল্লাহ্ পড়া তথা বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহ্র কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করা।

 

রাসূলুল্লাহ বলেছেন,

اَلْحَمْدُ لِلهِ الَّذِىْ رَدَّ اَمْرَهُ عَلَى الْوَسْوَسَة

 

সমস্ত প্রশংসা ওই আল্লাহর যিনি শয়তানের বিষয়টি কুমন্ত্রণা পর্যন্ত সীমাবদ্ধ রেখেছেন।’ (নাসাঈ )

 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

 

১. হ্যাঁ, নামাজ হয়েছে।

২. না, আল্লাহ শব্দের ল তে এক আলিফ না টানলে লাহনে জলি হবে না। তবে ইচ্ছাকৃত ভাবে এভাবে না পড়া চাই।
৩. না, এতে ঈমানের কোনো সমস্যা হবে না। তবে না জেনে কোনো কিছুর বিষয়ে ফালতু বলা ঠিক নয়।

৪. না, পুনরায় আদায় করা লাগবে না।
. না, উক্ত নামাজ কাযা করা লাগবে নাকারণ, সুন্নত নামাজের কোনো কাযা নেই
৬. হ্যাঁ, জুয়ার আসরের কোনো দলকে সমর্থন করা যাবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 100 views
...