আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
213 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (10 points)
১. যারা (দুনিয়াবী সুবিধা লাভের জন্য )নিজেদের নাস্তিক( কাফের ) দাবি করে কিন্তু মনে মনে কুফরীকে কুফরী মনে করে সেসব নাস্তিকদের কি ঈমান থাকে ?
২.যারা (দুনিয়াবী সুবিধা লাভের জন্য ) জাদু শেখে এবং (শয়তান জীনের সাহায্য নেয় ) মনে মনে কুফরীকে কুফরী মনে করে তাদের কি ঈমান ঠিক আছে ?


৩. যে সব মুসলিম (দুনিয়াবী সুবিধা লাভের জন্য ) মুসলমানদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে তারা একে মনে মনে হারাম মনে করে তাদের কি ঈমান ঠিক আছে ?
৪. কোন কাফের জালেম কোন মুসলিম লোককে হিন্দু ধর্ম গ্ৰহন করতে বাধ্য করে হিন্দু বানালে এবং বাহ্যিক দিক দিয়ে হিন্দু হলেও লোকটি মনে মনে কুফরীকে কুফরী মনে করে তাহলে কি তার ঈমান ঠিক থাকবে?

1 Answer

0 votes
by (574,080 points)
edited by
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
শরীয়তের বিধান হলো ইচ্ছাপূর্বক ভাবে নিজেকে নিজে কাফের বলে পরিচয় দেওয়া কুফরী। 

সূরা নাহলের ১০৬ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে-
مَنْ كَفَرَ بِاللَّهِ مِنْ بَعْدِ إِيمَانِهِ إِلَّا مَنْ أُكْرِهَ وَقَلْبُهُ مُطْمَئِنٌّ بِالْإِيمَانِ وَلَكِنْ مَنْ شَرَحَ بِالْكُفْرِ صَدْرًا فَعَلَيْهِمْ غَضَبٌ مِنَ اللَّهِ وَلَهُمْ عَذَابٌ عَظِيمٌ (106)

“কেউ বিশ্বাস স্থাপনের পর আল্লাহকে অস্বীকার করলে এবং প্রত্যাখ্যানের জন্য হৃদয় মুক্ত রাখলে তার উপর আল্লাহ ক্রোধ পতিত হবে এবং তার জন্য রয়েছে মহাশাস্তি। তবে তার জন্য নয়, যাকে (সত্য প্রত্যাখ্যানে) বাধ্য করা হয়, কিন্তু তার অন্তর বিশ্বাসে অটল।” (১৬:১০৬)
,
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ব্যাক্তি কাফের হয়ে গিয়েছে।   
 প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে তাকে নতুন ভাবে ঈমান আনতে হবে,বিবাহিত হলে নতুন ভাবে বিবাহ পড়িয়ে নিতে হবে।

ফাতাওয়ায়ে আলমগীরী তে আছে
"وَمَنْ يَرْضَى بِكُفْرِ نَفْسِهِ فَقَدْ كَفَرَ."
(كتاب السير، الْبَابُ التَّاسِعُ فِي أَحْكَامِ الْمُرْتَدِّين ، مطلب فِي مُوجِبَاتُ الْكُفْرِ أَنْوَاعٌ مِنْهَا مَا يَتَعَلَّقُ بِالْإِيمَانِ وَالْإِسْلَامِ، ٢ / ٢٥٧، ط: دار الفكر)
"এবং যে কুফরীতে সন্তুষ্ট থাকে, সে কাফের হয়ে গেছে
,
অন্যত্রে এসেছে
"رجل كفر بلسانه طائعا، وقلبه مطمئن بالإيمان يكون كافرا ولا يكون عند الله مؤمنا كذا في فتاوى قاضي خان."
(كتاب السير، الباب التاسع في أحكام المرتدين، مطلب في موجبات الكفر أنواع منها ما يتعلق بالإيمان والإسلام، ج: 2، صفحہ: 283، ط: دارالفکر)
সারমর্মঃ  কেহ যদি যবান দ্বারা (জবরদস্তি ছাড়াই) কুফরী বলে,এবং তার কলব ঈমানের উপর অটল থাকে,তাহলে সে কাফের হয়ে যাবে।
.
الفتاوى الهندية (2/ 279):
"مسلم قال: أنا ملحد يكفر، ولو قال: ما علمت أنه كفر لايعذر بهذا ... وفي اليتيمة: سألت والدي عن رجل قال: أنا فرعون، أو إبليس فحينئذ يكفر، كذا في التتارخانية". 
সারমর্মঃ  কেহ যদি বলে আমি নাস্তিক,,, তাহলে সে কাফের হয়ে যাবে।   

আরো জানুনঃ  

★★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ব্যাক্তিদের ঈমান থাকবেনা।
,
(০২)
যে সমস্ত কালাম দ্বারা মানুষ কাফের হয়ে যায়,সে সমস্ত কালাম মুখ দিয়ে উচ্চারণ করলে সে কাফের হবে।
নতুবা প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে সে কাফের হবেনা।
,
বিস্তারিত জানুনঃ
,
(০৩)
হ্যাঁ, তাদের ঈমান ঠিক আছে।
,
(০৪)
সূরা নাহলের ১০৬ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে-
مَنْ كَفَرَ بِاللَّهِ مِنْ بَعْدِ إِيمَانِهِ إِلَّا مَنْ أُكْرِهَ وَقَلْبُهُ مُطْمَئِنٌّ بِالْإِيمَانِ وَلَكِنْ مَنْ شَرَحَ بِالْكُفْرِ صَدْرًا فَعَلَيْهِمْ غَضَبٌ مِنَ اللَّهِ وَلَهُمْ عَذَابٌ عَظِيمٌ (106)

“কেউ বিশ্বাস স্থাপনের পর আল্লাহকে অস্বীকার করলে এবং প্রত্যাখ্যানের জন্য হৃদয় মুক্ত রাখলে তার উপর আল্লাহ ক্রোধ পতিত হবে এবং তার জন্য রয়েছে মহাশাস্তি। তবে তার জন্য নয়, যাকে (সত্য প্রত্যাখ্যানে) বাধ্য করা হয়, কিন্তু তার অন্তর বিশ্বাসে অটল।” (১৬:১০৬)
,
اكراه 
এর শাব্দিক অর্থ এই যে, কোন ব্যক্তিকে এমন কথা বলতে অথবা এমন কাজ করতে বাধ্য করা, যা বলতে বা করতে সে সম্মত নয়। আয়াতের অর্থ হচ্ছে এমন জোর-জবরদস্তি, যা মানুষকে ক্ষমতাহীন ও অক্ষম করে দেয়। এমন জবরদস্তির অবস্থায় অন্তর ঈমানের উপর স্থির ও অটল থাকার শর্তে মুখে কুফর কালেমা উচ্চারণ করা জায়েয। [কুরতুবী]

এ আয়াত থেকে প্রমাণিত হয় যে, যে ব্যক্তিকে হত্যার হুমকি দিয়ে কুফরী কালাম উচ্চারণ করতে বাধ্য করা হয়, যদি প্রবল বিশ্বাস থাকে যে, হুমকিদাতা তা কার্যে পরিণত করার পূর্ণ ক্ষমতা রাখে, তবে এমন জবরদস্তির ক্ষেত্রে সে যদি মুখে কুফরী কালাম উচ্চারণ করে, তবে তাতে কোন গোনাহ নেই এবং তার স্ত্রী তার জন্য হারাম হবে না। তবে শর্ত এই যে, তার অন্তর ঈমানে অটল থাকতে হবে এবং কুফরী কালামকে মিথ্যা ও মন্দ বলে বিশ্বাস করতে হবে।

★★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত জালেমের অবস্থা যদি এমনই যাহা এই মাত্র উল্লেখ করা হলো,এবং সে উক্ত মুসলিমকে হত্যা করতে চায়,তাহলে উল্লেখিত ব্যাক্তি কাফের হয়ে যাবেনা।   
,
নতুবা সে কাফের হয়ে যাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
আসসালামু আলাইকুম।  উস্তাদ এখানে যদি জেল জুলুমের শিকার হতে হয়, কিন্তু অংগহানী বা হত্যার হুমকি না থাকে তাহলে মুখে যদি কুফুরি বলে বা লিখে তাহলে কি ইমান তাকবে?
by (574,080 points)
এক্ষেত্রে তার ঈমান থাকবেনা।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...