আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
141 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (26 points)
আসসালামু আলাইকুম।
ইসলামে বিভিন্ন মোহরানা আছে,যেমন ফাতমেয়ী মোহর, আরো অনেক মোহরানা আছে। আমি এগুলো জানতে চাই। কোন মোহরে কত টাকা ধার্য করা হয়েছিলো, আর বাংলাদেশে টাকায় তার পরিমাণ সহ এগুলো বিস্তারিত জানতে চাই। জাযাকাল্লাহ

1 Answer

0 votes
by (62,920 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহ বলেন-

فَمَا اسْتَمْتَعْتُم بِهِ مِنْهُنَّ فَآتُوهُنَّ أُجُورَهُنَّ فَرِيضَةً ۚ وَلَا جُنَاحَ عَلَيْكُمْ فِيمَا تَرَاضَيْتُم بِهِ مِن بَعْدِ الْفَرِيضَةِ ۚ إِنَّ اللَّهَ كَانَ عَلِيمًا حَكِيمًا

অতএব তাদের নিকট থেকে তোমরা যে আনন্দ উপভোগ করেছ (সে কারণে) তাদের ধার্যকৃত মোহর তাদেরকে প্রদান করবে। আর মোহর নির্ধারিত থাকার পরও কোনো বিষয়ে পরস্পর সম্মত হলে তাতে তোমাদের কোনো অপরাধ হবে না। নিশ্চয়ই আল্লাহ সর্বজ্ঞপ্রজ্ঞাময়। (সূরা নিসা : ২৪)

 

অন্যত্র তিনি বলেন-

وَآتُوا النِّسَاءَ صَدُقَاتِهِنَّ نِحْلَةً ۚ فَإِن طِبْنَ لَكُمْ عَن شَيْءٍ مِّنْهُ نَفْسًا فَكُلُوهُ هَنِيئًا مَّرِيئًا

এবং তোমরা নারীদেরকে দাও তাদের মোহর খুশিমনে। এরপর তারা যদি স্বেচ্ছায় স্বাগ্রহে ছেড়ে দেয় কিছু অংশ তোমাদের জন্য তাহলে তা স্বচ্ছন্দে ভোগ কর। (সূরা নিসা : ৪)

 

এই আয়াতের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে যে,

আয়াতে ‘হষ্টচিত্তে’ প্রদানের শর্ত আরোপ করার পেছনে গভীর তাৎপর্য নিহিত রয়েছে। কেননামাহর স্ত্রীর অধিকার এবং তার নিজস্ব সম্পদ হৃষ্টচিত্তে যদি সে তা কাউকে না দেয় বা দাবী ত্যাগ না করেতবে স্বামী বা অভিভাবকের পক্ষে সে সম্পদ কোন অবস্থাতেই হালাল হবে না।

 

রাসূল সা. এর স্ত্রী উম্মে হাবীবা রা. এর দেন মহর ছিলো:

[عن أم حبيبة:] أنَّها كانتْ تحتَ عُبَيدِ اللهِ بنِ جَحشٍ -وكان رحَلَ إلى النَّجاشيِّ-، وأنَّ رسولَ اللهِ ﷺ تَزوَّجَها بالحَبشةِ؛ زَوَّجَه إيّاها النَّجاشيُّ،  ومَهَرَها أربعةَ آلافِ دِرهَمٍ مِن عندِه،

شعيب الأرنؤوط (ت ١٤٣٨)، تخريج سير أعلام النبلاء ١/٤٤١  •  إسناده صحيح.

 

মর্মার্থ: উম্মুল মুমিনীন উম্মে হাবীবা রা. এর দেন মহর ছিলো ৪ হাজার দিরহাম। যা প্রায় ১২৯৬৮০০ টাকার মত। এটা নাজ্জাসী বাদশাহ নিজের পক্ষ হতে আদায় করে দিয়েছিলো।

অন্য এক হাদীসে এসেছে-

عَنْ أَبِي الْعَجْفَاءِ السُّلَمِيِّ، مَا أَصْدَقَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - امْرَأَةً مِنْ نِسَائِهِ وَلَا أُصْدِقَتِ امْرَأَةٌ مِنْ بَنَاتِهِ أَكْثَرَ مِنْ ثِنْتَيْ عَشْرَةَ أُوقِيَّةً. سُنَنِ أَبِي دَاوُدَ 2/316 (كِتَابُ النِّكَاحِ، بَابُ الصَّدَاقِ)

 

মর্মার্থ: রাসূল সা. তার কোনো স্ত্রীকে এবং তার কোনো মেয়েকে ১২ উকিয়ার বেশী পরিমাণ মহর দেওয়া হয়নি।

১ উকিয়া = ১১.৫ ভরি। (১২× ১১.৫) = ১৩৮ ভরি। যা প্রায় ১৬৫৬০০ টাকার মত।

 

  মহরে ফাতেমীর বিষয়ে প্রসিদ্ধ আছে যে, তা ছিলো ৫০০ দিরহাম।

০১ দিরহাম = ৩.০৬১৮ গ্রাম।

৫০০×৩.০৬১৮ = ১৫৩০.৯ গ্রাম রূপা (১৫৩০.৯ ÷১১.৩৩৩) = ১৩৫.০৮৩ ভরি।

 

বর্তমানে প্রতি ভরি রূপার মূল্য ১২০০/- টাকা।

৫০০ (১২০০ × ১৩৫.০৮৩) দিরহামের মূল্য দাঁড়ায় ১৬২০৯৯/- টাকা।

 

সর্ব নিম্ন দেন মহর হলো: হাদীস শরীফে এসেছে-

 [عن جابر بن عبدالله:] لا مهرَ أقلُّ مِنْ عشرةِ دراهمَ

ملا علي قاري (ت ١٠١٤)، الأسرار المرفوعة ٣٦٨  •  حسن [لغيره]

জাবের রা. থেকে বর্ণিত: দশ দিরহামের কমে কোনো দেন মহর নেই।

 

বিবাহের সর্বনিম্ন মহর দশ দিরহাম।

০১ দিরহাম = ৩.০৬১৮ গ্রাম।

১০×৩.০৬১৮ = ৩০.৬১৮ গ্রাম রূপা (৩০.৬১৮÷১১.৩৩৩) = ২.৭০১ ভরি।

 

বর্তমানে প্রতি ভরি রূপার মূল্য ১২০০/- টাকা।

১০ (১২০০ × ২.৭০১) দিরহামের মূল্য দাঁড়ায় ৩২৪১/- টাকা।

 

এটা হলো প্রত্যেক মহিলার জন্য শরীয়তের পক্ষ্য থেকে সর্বশেষ নির্ধারিত মহর।যাকে শরীয়তের হক বলা হয়ে থাকে। এর চেয়ে কম মহর নির্ধারণ করা যাবে না। সুতরাং বর্তমান হিসেব অনুযায়ী ৩২৪১/- টাকা এর নিম্নে মহর নির্ধারণ করা যাবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)
by (3 points)
আসসালামু আলাইকুম 
প্রশ্নের উত্তর দিলে আমার জন্য মুনাসিব হয় উস্তাদ। জানাটা জরুরি

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...