আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
127 views
in পবিত্রতা (Purity) by (42 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম,,, আমি হোস্টেলে থাকি। এখানে অনেকগুলো রুমের জন্য একটি ওয়াশরুম। এখানে প্রস্রাব খানা, টয়লেট, বাথরুম সব আছে। আমরা অনেক মানুষ হওয়ার এইটা সব সময় নোংরা থাকে। আমরা যখন ওজু করি, বালতিতে করে পানি আনি, গোসল করি তখন ওই পানির ছিটা পায়ে, লুঙ্গিতে লাগে। এইটাকি নাপাক হিসাবে ধরবো? নাপাক হলে করণীয় কী? এইটা কি আমার ওয়াসওয়াসা? ওয়াসওয়াসা হলে এর সমাধান কী? অনেকে বলে এইগুলো নিয়ে না ভাবতে। কিন্তু এইটা বিষয়ে ক্লেয়ার না হওয়া পর্যন্ত মনে শান্তি লাগে না।

টাকা ভিজে গেলে ওইটা পাক হিসাবে ধরবো না নাপাক??

আর একটা প্রশ্ন,,, দড়িতে নাপাক কাপড় নাড়লে তার পর ওই খানে ভেজা কাপড় নাড়লে কি ওই কাপড় নাপাক হবে??

1 Answer

0 votes
by (58,830 points)
edited by

 

 

بسم الله الرحمن الرحيم

জবাবঃ-

হাদীস শরীফে এসেছেঃ

 

عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: مَرَّ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِقَبْرَيْنِ، فَقَالَ: ” إِنَّهُمَا لَيُعَذَّبَانِ، وَمَا يُعَذَّبَانِ فِي كَبِيرٍ، أَمَّا أَحَدُهُمَا: فَكَانَ لَا يَسْتَنْزِهُ مِنَ البَوْلِ – قَالَ وَكِيعٌ: مِنْ بَوْلِهِ – وَأَمَّا الْآخَرُ: فَكَانَ يَمْشِي بِالنَّمِيمَةِ “.

 

হযরত আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা রাসূল সাঃ দু’টি কবরের পাশ দিয়ে অতিক্রম হচ্ছিলেন। বললেন, এ দু’টি কবরে আযাব হচ্ছে। কোন বড় কারণে আজাব হচ্ছে না। একজনের কবরে আজাব হচ্ছে সে পেশাব থেকে ভাল করে ইস্তিঞ্জা করতো না। আরেকজন চোগোলখুরী করতো। {মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-১৯৮০, বুখারী, হাদীস নং-১৩৬১}

 

আল্লামা হাসক্বাফী রাহ লিখেন,

لُفَّ طَاهِرٌ فِي نَجِسٍ مُبْتَلٍّ بِمَاءٍ إنْ بِحَيْثُ لَوْ عُصِرَ قَطَرَ تَنَجَّسَ وَإِلَّا لَا. وَلَوْ لُفَّ فِي مُبْتَلٍّ بِنَحْوِ بَوْلٍ، إنْ ظَهَرَ نَدَاوَتُهُ أَوْ أَثَرُهُ تَنَجَّسَ وَإِلَّا لَا.

যদি পবিত্র কাপড়কে -অপবিত্র এমন কাপড় যা পানি দ্বারা ভিজা থাকে- এর সাথে ভাজ করা হয়ে থাকে,যদি পবিত্র শুকনো কাপড় এমনভাবে ভিজে যে,তা তাকে চিপানো হলে তা থেকে কিছু বের হবে,তাহলে সেই শুকনো পবিত্র কাপড়ও অপবিত্র হয়ে যাবে।নতুবা অপবিত্র হবে না।আর যদি শুকনো কাপড়কে প্রস্রাব ইত্যাদি দ্বারা ভিজা কাপড়ের সাথে ভাজ করা হয় বা লেপ্টানো হয়,যদি পবিত্র কাপড়ে নাজাসতের কোনে চিহ্ন পরিলক্ষণ করা যায়,তাহলে উক্ত পবিত্র কাপড়ও অপবিত্র হবে, নতুবা অপবিত্র হবে না।(রদ্দুল মুহতার-১/৩৪৭)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই বোন!

 প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যেহেতু উক্ত ওয়াশরুমের ভিতর পুরো স্পেসটা সব সময় নোংরা হয়েই থাকে,এখানে আপনার নাপাকি নিয়ে যেহেতু সন্দেহ হচ্ছে, তাই সেই ছিটে আসা পানি যে হাত, পা কাপড়, এবং শরীরের বিভিন্ন জায়গায় লাগে,এক্ষেত্রে সেই স্থান গুলি সতর্কতার সহিত ধোয়া প্রয়োজন। যাতে অন্য কোনো বস্তু নাপাক না হয়। তবে সব চেয়ে উত্তম হলো,আপনি সেই ওয়াশরুমে প্রবেশ করেই আগে পুরো ফ্লোর ও আশপাশ ধুয়ে ফেলবেন। তারপর ওয়াশরুম ব্যবহার করবেন।নাপাক পানিতে টাকা পড়ে ভিজে গেলে তাও নাপাক হবে। এবং রশিতে নাপাক কাপড় শুকানোর পরে উক্ত স্থানে ভিজা কাপড় শুকাতে দিলে পূর্বের নাপাক কাপড়ের  নাপাকী পবিত্র কাপড়ের ভিজা ও আদ্রতার কারণে পবিত্র কাপড়ে লেগে যাওয়ার প্রবল সম্ভবনা থাকে বিধায় তা নাপাক বলে গন্য হবে।

 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...