আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
131 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (40 points)
edited by
১/

বাবা যদি নন-মাহরামের সামনে বিয়ের উদ্দেশ্যে মুখ দেখাতে জোর করে আর রাজি না হওয়ার ফলে মায়ের বা নিজের গলায় চাকু ধরে বলে মুখ না খুললে এখনি শেষ করে দিবে এই ক্ষেত্রে আমার করনীয় কি?

২/ ছেলে বেদ্বীন, তার ইনকাম হারাম জানার পর ও যদি বাবা বিয়েতে জোর করে আর বিয়ে না করলে মা কে তালাক দিবে বা মেরে ফেলবে হুমকি দেয় তাইলে তখন করনীয় কি?

৩/ নিজের সন্মানহানী হওয়া, জেনা করার থেকে বাচতে কি আমি আত্নহত্যা করতে পারবো?

1 Answer

0 votes
by (566,940 points)
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-

(০১)
https://www.ifatwa.info/2898 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে, 
হযরত জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ রাযি থেকে বর্ণিত,
(إِذَا خَطَبَ أَحَدُكُمْ الْمَرْأَةَ ، فَإِنْ اسْتَطَاعَ أَنْ يَنْظُرَ إِلَى مَا يَدْعُوهُ إِلَى نِكَاحِهَا ، فَلْيَفْعَلْ)
যদি কেউ কোনো মহিলাকে বিয়ের প্রস্তাব দিতে চায়,তাহলে সে যেন যযথাসম্ভব ঐ মহিলাকে দেখে নেয়।(সুনানু আবি দাউদ-২০৮২)

হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,
عن أبي هريرة، قال: كنت عند النبي صلى الله عليه وسلم، فأتاه رجل فأخبره أنه تزوج امرأة من الأنصار، فقال له رسول الله صلى الله عليه وسلم: «أنظرت إليها؟»، قال: لا، قال: «فاذهب فانظر إليها، فإن في أعين الأنصارشيئا»
তিনি বলেন,আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ এর পাশে বসা ছিলাম।একব্যক্তি এসে বলল, আমি আনসারি এক মহিলাকে বিয়ে করতে চাই।রাসূলুল্লাহ বললেন,তুমি কি পাত্রী দেখেছো?তিনি বললেন,না।রাসূলুল্লাহ সাঃ বললেন,যাও গিয়ে পাত্রী দেখে আসো।কেননা আনসারীদের চোখে নীল বা এ জাতীয় কিছু থাকে।(সহীহ মুসলিম-১৪২৪)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!
বিবাহের উদ্দেশ্যে নন মাহরাম পাত্রের সামনে চেহারা খোলা জায়েজ আছে।
সেই হিসেবে প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি চেহারা দেখাবেন।
এতে শরয়ী দৃষ্টিকোণ থেকে কোনো সমস্যা নেই।
,
হ্যাঁ যদি এতে অন্যান্য পুরুষরাও আপনাকে দেখে,যারা মূলত পাত্র নয়,তাহলে তাদেরকে চেহারা দেখানো জায়েজ হবেনা।
তবে প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতটি বিশেষ ওযর বলে সাব্যস্ত হবে,বিধায় এক্ষেত্রে অন্যান্য নন মাহরামের সামনেও চেহারা দেখানোর অনুমতি রয়েছে।
তবে ইস্তেগফার চালিয়ে যেতে হবে।
,
(০২)
উল্লেখিত ছুরতে বিশেষ সমস্যার কারনে রাজি হয়ে যাওয়াই ভালো।
সেক্ষেত্রে স্ত্রী বিবাহের পর আস্তে-ধীরে প্রজ্ঞার সহিত স্বামীকে বুঝিয়ে দ্বীনের পথে আনার চেষ্টা অব্যাহত রাখবে।
,
(০৩)
এহেন পরিস্থিতিতেও শরীয়ত আত্মহত্যার অনুমতি দেয়না।         

বিস্তারিত জানুনঃ


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...