بسم الله الرحمن الرحيم
জবাবঃ-
আমরা https://ifatwa.info/25863/?show=25863#q25863 মাসআলাতে
উল্লেখ করেছিলাম যে,শরীয়তের বিধান হলো নাপাক নাপাক কাপড় ধোয়ার
সময় ছিটে আসা পানি নাপাক নয়।তবে স্পষ্ট নাপাকির চিন্হ বুঝা গেলে অবশ্যই নাপাক হবে।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، فِي الرَّجُلِ يَغْتَسِلُ مِنَ
الْجَنَابَةِ فَيَنْضَحُ فِي إِنَائِهِ مِنْ غُسْلِهِ، فَقَالَ: لَا بَأْسَ بِهِ
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. ফরয গোসলের সময় পাত্রে পানির
ছিটা পড়া সম্পর্কে বলেন,
এতে কোনো সমস্যা নেই।
-মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস ৭৮৯; কিতাবুল আছল ১/২০; খুলাসাতুল
ফাতাওয়া ১/৮; মাবসূত, সারাখসী ১/৪৬;
বাদায়েউস সানায়ে ১/২১১; আলবাহরুর রায়েক ১/৭০
অপবিত্র কাপড় তিনবার ধৌত করার পর পবিত্র হয়ে যাবে। ধৌত করার
সময় ব্যবহৃত পানির ছিটা উক্ত কাপড়ে লাগলে কোনো অসুবিধা নেই। (আল মুহিতুল বুরহানি :
১/২২৩, হিন্দিয়া
: ১/৪২)
তবে ইহার থেকে সতর্কতামূলক বেঁচে থাকা উচিত। কেননা হাদীস শরীফে
এসেছেঃ
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: مَرَّ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ
عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِقَبْرَيْنِ، فَقَالَ: ” إِنَّهُمَا لَيُعَذَّبَانِ، وَمَا
يُعَذَّبَانِ فِي كَبِيرٍ، أَمَّا أَحَدُهُمَا: فَكَانَ لَا يَسْتَنْزِهُ مِنَ
البَوْلِ – قَالَ وَكِيعٌ: مِنْ بَوْلِهِ – وَأَمَّا الْآخَرُ: فَكَانَ يَمْشِي
بِالنَّمِيمَةِ
হযরত আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা রাসূল সাঃ দু’টি
কবরের পাশ দিয়ে অতিক্রম হচ্ছিলেন। বললেন, এ দু’টি কবরে আযাব হচ্ছে।
কোন বড় কারণে আজাব হচ্ছে না। একজনের কবরে আজাব হচ্ছে সে পেশাব থেকে ভাল করে ইস্তিঞ্জা
করতো না। আরেকজন চোগোলখুরী করতো। {মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-১৯৮০, বুখারী, হাদীস নং-১৩৬১},
আরো জানুনঃhttps://ifatwa.info/11686/
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
১. যে সমস্ত অঙ্গে উক্ত পানির ছিটা পড়বে, ঐ অঙ্গগুলো অবশ্যই ধৌত
করে নিতে হবে।কিন্তু উক্ত পানির ছিটার কারণে সমস্ত শরীর নাপাক হবে না।সুতরাং যেই অঙ্গে
নাপাক লাগাবে সেই অঙ্গটিকে ভালোভাবে খুব সতর্কতার সাথে ধুয়ে নেবে। ওয়াসওয়াসা থেকে দূরে
থাকার চেষ্টা করবে।
২. সরাসরি নাপাক ধৌত করা পানি যেখানেই লাগুক তা নাপাক হবে। তবে
নাপাক ধুয়ে নেওয়ার পরে উক্ত মগ/বস্তুর গায়ে লেগে থাকা পানি নাপাক না। বিধায় সতর্ক থাকতে
হবে যে, নাপাক ধোয়া
পানি যেন মগে বা পাত্রে না লাগে। যদি সরাসরি নাপাক পানির ছিটা মগে না লাগে তাহলে বারবার
মগ ধোয়ার প্রয়েজন নেই।
৩. জ্বী! বোতলের নাপাকী ধৌত করার সময় যেই পানি প্যান্টে লেগেছে
তা নাপাক। সুতরাং প্যান্টের ঐ অংশটুকু যেখানে নাপাক লেগেছে তা ধৌত করতে হবে এবং পায়ে
লাগলে পাও ধৌত করতে হবে। এবং নাপাক পানির ছিটা বালতিতে পড়লে বালতির পানিও নাপাক হয়ে
যাবে।
৪.অনিচ্ছাকৃত এমন চিন্তা অন্তরে আসলে কুফরী হবে না কিন্তু কেউ
ইচ্ছাকৃত ভাবে কোন হারামকে হালাল মনে করলে কাফের হয়ে যাবে।সর্বপরি উক্ত হারাম কাজ করার
কারণে ফাসেক হবে। যা থেকে অনতিবিলম্বে তওবা করা আবশ্যক।
৫.মুরব্বীদের গায়ে পা লাগলে চুমু খাওয়া মূলত সম্মান দেখানোর
জন্য হয় ।চুমু খাওয়ার বিষয়টিকে জরুরী মনে করা বা শরয়ী বিধান মনে করা বিদআত। এমনিতে
করতে কোন সমস্যা নেই ৷(রাদ্দুল মুহতার-৫/২৪৬, তাহতাবী আলা মারাকিল ফালাহ-২৫৯, ফাতওয়ায়ে মাহমুদিয়া-৭/১৪৭০
৬. কুরআন তেলাওয়াত করার সময় কলকলা হরফে ধাক্কা দিয়ে পড়তে যা
তাজবীদের মধ্যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তবে এমন হরফ ঠিক করে উচ্চারণের করার পরেও
যদি সঠিকভাবে কলকলা আদায় না হয় তাহলে লাহনে
জলি হবে না এবং নামাজও ফাসেদ হবে না। তবে বিশুদ্ধভা্বে তাজবীদসহকারে তেলাওয়াত করার
জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করতে হবে।
৭. নামাজে প্রতিটি ওয়জিব ও ফরজকে যথা সময়ে আদায় করতে হয়। কিন্তু
কেউ যদি নামাজে ছানা/আউযুবিল্লাহ/বিসমিল্লাহ যেকোনো একটি দুইবার পড়ে তাহলে সে পরবর্তি
ওয়াজিব আদায়ে বিলম্ব করল বিধায় তার উপর সাহু সিজদা ওয়াজিব হবে।
৮.ইচ্ছাকৃত ভাবে একই আয়াত একাধিক বার পড়া সুন্নাত
পরিপন্থি , তবে নামাজ হয়ে যাবে কিন্তু এমন অভ্যাস পরিহার করাই
শ্রেয়।