আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
150 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (97 points)
edited by

আসসালামু আলাইকুম। গতকাল আমি একটি প্রশ্ন  করেছিলাম হক পূরণ নিয়ে। সেই বিষয়ে আমার আরও তিনটি প্রশ্ন রয়েছে।

(১) পাওনাদারকে আমি টাকা দিতে চাইলে সে টাকা নিতে চায়নি, তাহলে তাকে আমি না দিলে কি আমার হক বাকি থাকবে? নাকি পূরণ হয়ে যাবে? 

(২) আমার কাছে সে কত পাওনা কত ছিল আমার একদম নির্দিষ্টভাবে মনে নেই। আমি প্রবল ধারণা থেকে ঠিক করলাম তার পাওনা ছিল ৪০৫ টাকা(আনুমানিক)। এখন হক অপুর্ণ থেকে যাওয়া থেকে নিরাপদ থাকার জন্য আমি এর সাথে ২০ টাকা যোগ করে দিলাম। এই ২০ টাকা কি সুদ গন্য হবে? 

(৩) তাকে বরাবর ৪২৫ টাকা দিলে খারাপ দেখাবে। হয় তাকে ৪০০, নাহয় ৫০০ দিতে হবে। কম দিলে হক পূরণ হবে না, তাই বেশি দেয়া যাবে? যদি সুদসংক্রান্ত জটিলতা থাকে, তাহলে যদি আমি এমন নিয়ত করি যে আমি তাকে বাকি টাকা উপহার হিসেবে দিচ্ছি, তাহলে হবে?

জাযাকাল্লাহু খাইরান

আপনাদের সুবিধার্থে গতকালের প্রশ্নটি এখানে আবার লিখলাম :

"আসসালামু আলাইকুম
আমাকে একজন কিছু জিনিস এনে দেয়ার জন্য কিছু টাকা দিয়েছিল। এর মধ্যে কিছু জিনিস আমি তাকে এনে দিই, কিন্তু একটা অংশ টাকা আমি নিজে ভোগ করে ফেলেছি। এখন আমি তার টাকা ফেরত দিতে চাই। কিন্তু কত টাকা ছিল আমার মনে নেই। একবার মনে হচ্ছে সে আমাকে ৭০০ টাকা, আরেকবার মনে হচ্ছে ৪০০ টাকা। আমার প্রবল ধারণা ৪০০ টাকা দেওয়া বাকি আমার। এই বিষয়ে আরও দুটি প্রশ্ন রয়েছে, (১) টাকার পরিবর্তে সমপরিমাণ মূল্যের উপহার দিলে হবে? (২) উপহারের মূল্য একদম তার প্রাপ্য টাকার সমান নাও হতে পারে, কম বেশি হতে পারে, এক্ষেত্রে আমি বেশি দামের উপহার দিলে সুদ সংক্রান্ত জটিলতা হতে পারে?"

1 Answer

0 votes
by (58,830 points)
edited by

 

بسم الله الرحمن الرحيم

 

জবাব,

আমরা  https://ifatwa.info/28649/?show=28669#a28669 উক্ত ফতওয়াতে উল্ল্যেখ করেছি যে, বান্দার হক,এটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যদি তাহা আদায় না করা হয়,বা তার কাছ ক্ষমা না নেওয়া হয়,তাহলে মহান আল্লাহ তায়ালা ক্ষমা করবেননা।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ

حَدَّثَنَا آدَمُ بْنُ أَبِي إِيَاسٍ حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ حَدَّثَنَا سَعِيدٌ الْمَقْبُرِيُّ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم مَنْ كَانَتْ لَهُ مَظْلَمَةٌ لأَخِيهِ مِنْ عِرْضِهِ أَوْ شَيْءٍ فَلْيَتَحَلَّلْهُ مِنْهُ الْيَوْمَ قَبْلَ أَنْ لاَ يَكُونَ دِينَارٌ وَلاَ دِرْهَمٌ إِنْ كَانَ لَهُ عَمَلٌ صَالِحٌ أُخِذَ مِنْهُ بِقَدْرِ مَظْلَمَتِهِ وَإِنْ لَمْ تَكُنْ لَهُ حَسَنَاتٌ أُخِذَ مِنْ سَيِّئَاتِ صَاحِبِهِ فَحُمِلَ عَلَيْهِ

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি তার ভাইয়ের সম্ভ্রমহানি বা অন্য কোন বিষয়ে যুলুমের জন্য দায়ী থাকে, সে যেন আজই তার কাছ হতে মাফ করিয়ে নেয়, সে দিন আসার পূর্বে যে দিন তার কোন দ্বীনার বা দিরহাম থাকবে না। সে দিন তার কোন সৎকর্ম না থাকলে তার যুলুমের পরিমাণ তা তার নিকট হতে নেয়া হবে আর তার কোন সৎকর্ম না থাকলে তার প্রতিপক্ষের পাপ হতে নিয়ে তা তার উপর চাপিয়ে দেয়া হবে। (বুখারী শরীফ ২৪৪৯. (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২২৭০, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২২৮৭)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই!

১. প্রশ্নেল্লিখিত ছুরতে পাওনাদারকে তার প্রাপ্য টাকা দেওয়ার পরেও সে যদি উক্ত টাকা না নেই তাহলে আপনার হক বাকি থাকবে না। বরং তা আপনার জন্য হাদিয়া হিসেবে গন্য হবে।

২. আপনার জন্য উচিত পাওনাদার থেকে জেনে নেওয়া যে, আপনি তার থেকে কত টাকা নিয়েছিলেন? যদি তিনিও নিশ্চিত ভাবে না জানেন তাহলে সতর্কতা মূলক কিছু টাকা বেশী দিলে তা সুদ হিসেবে গন্য হবে না।

৩. সতর্কতা মূলক কিছু বেশী পরিশোধ করাই শ্রেয়। এবং হাদিয়ার নিয়তে বেশী দিলে তা সুদ হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...