بسم الله
الرحمن الرحيم
জবাব,
আমরা https://ifatwa.info/28649/?show=28669#a28669 উক্ত ফতওয়াতে উল্ল্যেখ করেছি যে, বান্দার হক,এটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যদি তাহা
আদায় না করা হয়,বা তার
কাছ ক্ষমা না নেওয়া হয়,তাহলে মহান
আল্লাহ তায়ালা ক্ষমা করবেননা।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا آدَمُ بْنُ أَبِي إِيَاسٍ
حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ حَدَّثَنَا سَعِيدٌ الْمَقْبُرِيُّ عَنْ أَبِي
هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم مَنْ كَانَتْ لَهُ
مَظْلَمَةٌ لأَخِيهِ مِنْ عِرْضِهِ أَوْ شَيْءٍ فَلْيَتَحَلَّلْهُ مِنْهُ الْيَوْمَ
قَبْلَ أَنْ لاَ يَكُونَ دِينَارٌ وَلاَ دِرْهَمٌ إِنْ كَانَ لَهُ عَمَلٌ صَالِحٌ
أُخِذَ مِنْهُ بِقَدْرِ مَظْلَمَتِهِ وَإِنْ لَمْ تَكُنْ لَهُ حَسَنَاتٌ أُخِذَ
مِنْ سَيِّئَاتِ صَاحِبِهِ فَحُمِلَ عَلَيْهِ
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
বলেছেন, যে ব্যক্তি তার ভাইয়ের সম্ভ্রমহানি
বা অন্য কোন বিষয়ে যুলুমের জন্য দায়ী থাকে, সে যেন আজই তার কাছ হতে মাফ করিয়ে নেয়, সে দিন আসার পূর্বে যে দিন তার কোন দ্বীনার
বা দিরহাম থাকবে না। সে দিন তার কোন সৎকর্ম না থাকলে তার যুলুমের পরিমাণ তা তার নিকট
হতে নেয়া হবে আর তার কোন সৎকর্ম না থাকলে তার প্রতিপক্ষের পাপ হতে নিয়ে তা তার উপর
চাপিয়ে দেয়া হবে। (বুখারী শরীফ ২৪৪৯. (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২২৭০, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২২৮৭)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই!
১. প্রশ্নেল্লিখিত ছুরতে পাওনাদারকে তার প্রাপ্য টাকা
দেওয়ার পরেও সে যদি উক্ত টাকা না নেই তাহলে আপনার হক বাকি থাকবে না। বরং তা আপনার জন্য
হাদিয়া হিসেবে গন্য হবে।
২. আপনার জন্য উচিত পাওনাদার থেকে জেনে নেওয়া যে, আপনি তার থেকে কত টাকা নিয়েছিলেন? যদি তিনিও নিশ্চিত ভাবে না জানেন তাহলে
সতর্কতা মূলক কিছু টাকা বেশী দিলে তা সুদ হিসেবে গন্য হবে না।
৩. সতর্কতা মূলক কিছু বেশী পরিশোধ করাই শ্রেয়। এবং হাদিয়ার
নিয়তে বেশী দিলে তা সুদ হবে না।