ওয়া আলাইকুমুস সালাম
ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির
রাহিম।
জবাবঃ
■ হাদীস শরীফে এসেছে-
عَنْ
عَامِرِ بْنِ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ، عَنْ أَبِيهِ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ
كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَعُودُنِي عَامَ حَجَّةِ الْوَدَاعِ
مِنْ وَجَعٍ اشْتَدَّ بِي فَقُلْتُ إِنِّي قَدْ بَلَغَ بِي مِنَ الْوَجَعِ وَأَنَا
ذُو مَالٍ، وَلاَ يَرِثُنِي إِلاَّ ابْنَةٌ، أَفَأَتَصَدَّقُ بِثُلُثَىْ مَالِي
قَالَ " لاَ ". فَقُلْتُ بِالشَّطْرِ فَقَالَ " لاَ
" ثُمَّ قَالَ " الثُّلُثُ وَالثُّلْثُ كَبِيرٌ ـ أَوْ كَثِيرٌ ـ
إِنَّكَ أَنْ تَذَرَ وَرَثَتَكَ أَغْنِيَاءَ خَيْرٌ مِنْ أَنْ تَذَرَهُمْ عَالَةً
يَتَكَفَّفُونَ النَّاسَ، وَإِنَّكَ لَنْ تُنْفِقَ نَفَقَةً تَبْتَغِي بِهَا
وَجْهَ اللَّهِ إِلاَّ أُجِرْتَ بِهَا، حَتَّى مَا تَجْعَلُ فِي فِي امْرَأَتِكَ
". فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ، أُخَلَّفُ بَعْدَ أَصْحَابِي قَالَ
" إِنَّكَ لَنْ تُخَلَّفَ فَتَعْمَلَ عَمَلاً صَالِحًا إِلاَّ ازْدَدْتَ
بِهِ دَرَجَةً وَرِفْعَةً، ثُمَّ لَعَلَّكَ أَنْ تُخَلَّفَ حَتَّى يَنْتَفِعَ بِكَ
أَقْوَامٌ وَيُضَرَّ بِكَ آخَرُونَ، اللَّهُمَّ أَمْضِ لأَصْحَابِي هِجْرَتَهُمْ،
وَلاَ تَرُدَّهُمْ عَلَى أَعْقَابِهِمْ، لَكِنِ الْبَائِسُ سَعْدُ ابْنُ خَوْلَةَ،
يَرْثِي لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ مَاتَ بِمَكَّةَ
".
সা’দ ইবনু আবূ ওয়াক্কাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, বিদায়
হাজ্জে (হজ্জ) একটি কঠিন রোগে আমি আক্রান্ত হলে, রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার খোঁজ খবর নেওয়ার জন্য আসতেন। একদিন আমি তাঁর
কাছে আরয করলাম, আমার রোগ চরমে পৌছেঁছে আর আমি সম্পদশালী। একটি মাত্র কন্যা
ছাড়া কেউ আমার ওয়ারিস নেই। তবে আমি কি আমার সম্পদের দু’ তৃতীয়াংশ সাদাকা করতে পারি? তিনি বললেন, না। আমি
আবার আরয করলাম, তা হলে অর্ধেক। তিনি বললেন, না। তারপর তিনি
বললেন, এক তৃতীয়াংশ আর এক তৃতীয়াংশও বিরাট পরিমাণ অথবা অধিক। তোমার
ওয়ারিসদের অভাবমুক্ত রেখে যাওয়া,
তাদের অভাবগ্রস্ত রেখে যাওয়া মানুষের কাছে হাত পাতার চাইতে
উত্তম। আর আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য তুমি যেকোন ব্যয় করনা কেন, তোমাকে তার
বিনিময় দেওয়া হবে। এমনকি তুমি তোমার স্ত্রীর মুখে তুলে দিবে (তারও প্রতিদান পাবে)।
আমি আরয করলাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! (আফসোস) আমি আমার সাথীদের থেকে পিছনে
থেকে যাব? তিনি বললেন, তুমি যদি পিছনে থেকে নেক আমল করতে থাক, তাহলে তাতে
তোমার মর্যাদা ও উন্নতি বৃদ্ধিই পেতে থাকবে। তাছাড়া, সম্ভবত, তুমি পিছনে
(থেকে যাবে)। যার ফলে তোমার দ্বারা অনেক
কাওম উপকার লাভ করবে। আর অন্যরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। হে আল্লাহ! আমার সাহাবীগণের
হিজরত বলবৎ রাখুন। পশ্চাতে ফিরিয়ে দিবেন না। কিন্তু আফসোস! সা’দ ইবনু খাওলার জন্য
(এ বলে) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর জন্য শোক প্রকাশ করছিলেন, যেহেতু
মক্কায় তাঁর ইন্তিকাল হয়েছিল। (সহীহ বুখারী, হাদীস
নং-১২১৮)
■ হাদীস শরীফে এসেছে-
[عن
جابر بن عبدالله:] لا وصيَّةَ لوارثٍ .البدر المنير ٧/٢٦٨ •
ওয়ারিসের জন্য কোনো ওসিয়ত নেই।
■ কোনো
ব্যক্তির মৃত্যুর পর তার সম্পদ হতে ধারাবাহিক ভাবে চারটি
কাজ করতে হবে।
১. সর্ব প্রথম
তার সম্পদ হতে তার দাফন কাফনের ব্যবস্থা করতে হবে।
২. তারপর তার
সমস্ত সম্পদ হতে ঋণ পরিশোধ করতে হবে।
৩. তারপর তার
এক তৃতীয়াংশ সম্পদ হতে তার ওসিয়ত পূর্ণ করতে হবে যদি সে করে যায়।
৪. সর্বশেষ
বাকী সম্পদ তার ওয়ারিসদের মাঝে বন্টন করা হবে।
★ সু-প্রিয়
প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
১. মরে যাওয়ার পর
অবশ্যই তার সব ঋণ পরিশোধ করতে হবে।
২. কিছু গরীব
লোককে দাওয়াত খাওয়াবেন।
৩. এটা মানা
জরুরী নয়। ওয়ারিসরা চাইলে করতে পারে।