আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
532 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (3 points)
আসসালামু আলাইকুম, আমি একজন মুসলিমের সন্তান।

ঈমানকে শক্ত করার জন্য আমি কোরআনের ভুল গুলো নিয়ে ঘাটাঘাটি করতে থাকি , যেন মনের ভিতর এই কথাটা গেঁথে দিতে পারি যে, কুরআন আল্লাহর বাণী, এতে কোনো সন্দেহ নেই।

আদম থেকে শুরু করে ঈসা নবী, মুসা নবী অন্যান্য নবীরা আল্লাহর নবী ছিলেন।

যাইহোক, আমার প্রশ্ন হচ্ছে ,,,

যে প্রশ্নের উত্তরটা শুনিয়ে আমি আমার মনকে সঠিকভাবে শান্ত করতে পারছিনা এবং যে প্রশ্নের উত্তরটা ডাক্তার জাকির নায়েকের থেকে উত্তর শুনেও মন শান্ত হতে পারেনি সেই প্রশ্নটা হচ্ছে যে,,

ঈসা নবীর মাতা মরিয়ম এর বাবার নাম ইমরান ছিল কিনা কিংবা উনার ভাইয়ের নাম হারুন ছিল কিনা?

ডাক্তার জাকির নায়েক এর প্রশ্নের উত্তরে বলেছিলেন যে এখানে মা মরিয়ম কে হারুন এর বংশধর হিসেবে হারুনের ভগ্নি বা ইমরানের বলা হয়েছে।

উত্তরটি গ্রহণযোগ্য হতে পারত।

 কিন্তু বাইবেল অনুসারে বা ঈসা নবীর পরবর্তী আমলের ঐতিহাসিক বই অনুসারে ঈসা নবী বা যীশুর মাতার  হারন নামে তার নামে কোন দুদগ ভাই বা কাজুন বা সহোদর ভাই ছিলনা।

আর ওনার বাবার নাম ইমরান ছিলনা, উনার বাবার নাম ছিল জোসেফ।

সে যাই হোক, হতে পারে ঈসা নবীর আমলের 1 হাজার বছর আগের নবী মুসা, হারুন ছিলেন। উনাদের বংশধর হিসেবে হয়তো ঈসা নবীর মা কে ইমরান তনয়া বা হারুন ভগিনী বলা হয়েছে।

কিন্তু বাইবেল বা ইঞ্জিল অনুসারে ও মুসা নবীর  কিতাব তাওরাত অনুযায়ী,

মুসা এবং হারুন নবীর মরিয়ম নামে একজন বোন ছিলেন এবং উনাদের সকলের বাবার নাম ছিল ইমরান।

এদিকে বাইবেল বা ইঞ্জিল অনুসারে ঈসা নবী বা যীশুর মায়ের নাম মরিয়ম নয়,, মেরি ,,, আরবিতে যেটাকে মরিয়ম বলা হচ্ছে।।

যাইহোক এখন কিছু খ্রিস্টান দাবি করে যে, কুরআনে মেরি কে 1000 বছর আগের হারুন এবং মুসা নবীর বোন মারিয়াম এর সাথে গুলিয়ে ফেলা হয়েছে।

 কেননা হারুন মুসা এবং মরিয়ম এর বাবার নাম ছিল ইমরাম।

সে হিসেবে মরিয়মকে ইমরান তনয়া বলা হয়েছে এবং মরিয়মকে হারুনের বোন বলা হয়েছে।

এ সম্পর্কে কী বলবেন দয়া করে প্রশান্ত দায়ক উত্তর দান করে আমার মনকে শান্ত করার অনুরোধ জানানো হল।

আর আমি ঠিক মত গুছিয়ে কথা বলতে পারিনা আশা করি আমার প্রশ্নটা বুঝতে পেরেছেন ।
by

বাইবেলে বর্ণিত হয়েছে যে মরিয়মের স্বামীর নাম ইউসুফ(Joseph)।

এই ইউসুফের বাবার নাম ইয়াকুব।

আবার, নবী ইউসুফ(আ.) [prophet Joseph] এর বাবার নামও ছিল ইয়াকুব(আ.) [prophet Jacob]। 

অথচ নবী ইউসুফ(আ.) বাস করতেন মরিয়মের হাজার বছর পূর্বে। নবী ইউসুফ(আ.) ছিলেন ইয়াকুব(আ.)[ইস্রাঈল] এর ১২ পুত্রের একজন; যেই ১২ পুত্রের বংশধররা বনী ইস্রাঈলের ১২ জাতি। মরিয়ম(আ.) ও তাঁর পরিবারবর্গ সবাই এই বনী ইস্রাঈল বংশের মানুষ।

এখানে দেখা যাচ্ছে যে, হাজার বছর সময়কালের ব্যবধানে বাস করা ২ জন আলাদা মানুষের নাম ইউসুফ, আবার উভয়েরই বাবার নাম ইয়াকুব।

বাইবেল লেখকেরা কি তাহলে মরিয়মের স্বামীর সাথে নবী ইউসুফ(আ.)কে মিলিয়ে ফেলেছে?

1 Answer

+1 vote
by (590,550 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
আপনার প্রশ্নের জবাবের প্রস্তুতি চলছে। ইনশাআল্লাহ জবাব পেয়ে যাবেন। ধর্য সহকারে বসার জন্য আন্তরিক অভিবাদন। জাযাকুমুল্লাহ। 


প্রথমে নিম্নোক্ত বিষয়গুলোকে একটু মন দিয়ে পড়ার চেষ্টা করেন-
ফতোয়া আরবী শব্দ এবং কুরআন-সুন্নাহ ও ইসলামী শরীয়তের একটি মর্যাদাপূর্ণ পরিভাষা। বিস্তারিত আলোচনার পূর্বে ‘ফতোয়া’ সংক্রান্ত আরো কিছু শব্দের অর্থ জেনে নেওয়া আবশ্যক। যথা : ইস্তিফতা, মুসতাফতী, মুফতী, ইফতা ও দারুল ইফতা। কুরআন-সুন্নাহ ও দ্বীনী ইলমের মাহির আলিমের নিকট কোনো দ্বীনী বিষয়ে ইসলামী শরীয়তের বিধান জিজ্ঞাসা করাকে ‘ইস্তিফতা’ বলে। প্রশ্নকারীকে ‘মুস্তাফতী’ বা ‘সাইল’ বলে। বিশেষজ্ঞ আলিম শরীয়তের দলীলের আলোকে যে বিধান বর্ণনা করেন তাকে ‘ফতোয়া’ বলে। বিধান বর্ণনাকারী আলিমকে মুফতী এবং তার এই কাজ অর্থাৎ প্রশ্নকারীর প্রশ্নের উত্তরে শরীয়তের বিধান বর্ণনা করাকে ‘ইফতা’ বলে। যে প্রতিষ্ঠান এই দায়িত্ব পালন করে তাকে ‘দারুল ইফতা’ বলে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...