আসসালামু আলাইকুম, আমি একজন মুসলিমের সন্তান।
ঈমানকে শক্ত করার জন্য আমি কোরআনের ভুল গুলো নিয়ে ঘাটাঘাটি করতে থাকি , যেন মনের ভিতর এই কথাটা গেঁথে দিতে পারি যে, কুরআন আল্লাহর বাণী, এতে কোনো সন্দেহ নেই।
আদম থেকে শুরু করে ঈসা নবী, মুসা নবী অন্যান্য নবীরা আল্লাহর নবী ছিলেন।
যাইহোক, আমার প্রশ্ন হচ্ছে ,,,
যে প্রশ্নের উত্তরটা শুনিয়ে আমি আমার মনকে সঠিকভাবে শান্ত করতে পারছিনা এবং যে প্রশ্নের উত্তরটা ডাক্তার জাকির নায়েকের থেকে উত্তর শুনেও মন শান্ত হতে পারেনি সেই প্রশ্নটা হচ্ছে যে,,
ঈসা নবীর মাতা মরিয়ম এর বাবার নাম ইমরান ছিল কিনা কিংবা উনার ভাইয়ের নাম হারুন ছিল কিনা?
ডাক্তার জাকির নায়েক এর প্রশ্নের উত্তরে বলেছিলেন যে এখানে মা মরিয়ম কে হারুন এর বংশধর হিসেবে হারুনের ভগ্নি বা ইমরানের বলা হয়েছে।
উত্তরটি গ্রহণযোগ্য হতে পারত।
কিন্তু বাইবেল অনুসারে বা ঈসা নবীর পরবর্তী আমলের ঐতিহাসিক বই অনুসারে ঈসা নবী বা যীশুর মাতার হারন নামে তার নামে কোন দুদগ ভাই বা কাজুন বা সহোদর ভাই ছিলনা।
আর ওনার বাবার নাম ইমরান ছিলনা, উনার বাবার নাম ছিল জোসেফ।
সে যাই হোক, হতে পারে ঈসা নবীর আমলের 1 হাজার বছর আগের নবী মুসা, হারুন ছিলেন। উনাদের বংশধর হিসেবে হয়তো ঈসা নবীর মা কে ইমরান তনয়া বা হারুন ভগিনী বলা হয়েছে।
কিন্তু বাইবেল বা ইঞ্জিল অনুসারে ও মুসা নবীর কিতাব তাওরাত অনুযায়ী,
মুসা এবং হারুন নবীর মরিয়ম নামে একজন বোন ছিলেন এবং উনাদের সকলের বাবার নাম ছিল ইমরান।
এদিকে বাইবেল বা ইঞ্জিল অনুসারে ঈসা নবী বা যীশুর মায়ের নাম মরিয়ম নয়,, মেরি ,,, আরবিতে যেটাকে মরিয়ম বলা হচ্ছে।।
যাইহোক এখন কিছু খ্রিস্টান দাবি করে যে, কুরআনে মেরি কে 1000 বছর আগের হারুন এবং মুসা নবীর বোন মারিয়াম এর সাথে গুলিয়ে ফেলা হয়েছে।
কেননা হারুন মুসা এবং মরিয়ম এর বাবার নাম ছিল ইমরাম।
সে হিসেবে মরিয়মকে ইমরান তনয়া বলা হয়েছে এবং মরিয়মকে হারুনের বোন বলা হয়েছে।
এ সম্পর্কে কী বলবেন দয়া করে প্রশান্ত দায়ক উত্তর দান করে আমার মনকে শান্ত করার অনুরোধ জানানো হল।
আর আমি ঠিক মত গুছিয়ে কথা বলতে পারিনা আশা করি আমার প্রশ্নটা বুঝতে পেরেছেন ।