জবাবঃ-
আবদুর রহমান ইবনু সামুরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত।
عن عبد الرحمن بن سمرة قال قال لي النبي صلى الله عليه وسلم يا عبد الرحمن بن سمرة لا تسأل الإمارة فإنك إن أعطيتها عن مسألة وكلت إليها وإن أعطيتها عن غير مسألة أعنت عليها وإذا حلفت على يمين فرأيت غيرها خيرا منها فكفر عن يمينك وأت الذي هو خير
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ হে ‘আবদুর রহমান ইবনু সামুরাহ! তুমি নেতৃত্ব চেয়ে নিও না। কারণ চাওয়ার পর যদি তোমাকে তা দেয়া হয়, তবে তার দায়িত্ব তোমার উপরই বর্তাবে। আর যদি চাওয়া ছাড়াই তা তোমাকে দেয়া হয় তবে এ ক্ষেত্রে তোমাকে সাহায্য করা হবে। আর কোন বিষয়ে কসম করার পর, তার বিপরীত দিকটিকে যদি তার চেয়ে কল্যাণকর মনে কর, তাহলে কসমের কাফ্ফারা আদায় কর এবং কল্যাণকর কাজটি বাস্তবায়িত করো।(সহীহ বুখারী-৭১৪৬)
প্রিয় প্রশ্নকারী ভাই/বোন!
দায়িত্ব চেয়ে নেয়া কখনো কোনো মুসলমানের জন্য উচিৎ না।দায়িত্বকে চেয়ে নিলে আল্লাহর পক্ষ্য থেকে সাহায্য আসবে না।তবে যদি কোনো সমাজে কোনো যোগ্য ব্যক্তি না থাকে,তাহলে নিজের যোগ্যতাকে প্রকাশ করতঃ দায়িত্বকে চেয়ে নেয়া তখন বৈধ হবে।
যেমন অর্থনৈতিক বিষয়ে অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখপূর্বক নিজেকে হযরত ইউসুফ আঃ দায়িত্বর উপযোক্ত বলে ঘোষনা দিয়েছিলেন।
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
قَالَ اجْعَلْنِي عَلَى خَزَآئِنِ الأَرْضِ إِنِّي حَفِيظٌ عَلِيمٌ
ইউসুফ বললঃ আমাকে দেশের ধন-ভান্ডারে নিযুক্ত করুন। আমি বিশ্বস্ত রক্ষক ও অধিক জ্ঞানবান।(সূরা ইউসুফ-৫৫)
সুতরাং প্রশ্নের বিবরণ অনুযায়ী বাস্তবেই যদি দায়িত্বর যোগ্য বিশ্বস্ত কোনো ব্যক্তিকে না পাওয়া যায়,তাহলে এমতাবস্থায় নিজেকে দায়িত্বর উপযোক্ত হিসেবে ঘোষনা দেয়া যাবে।তবে দায়িত্ব হাসিলের কোনো বাহানা স্বরূপ এমনটা করা যাবে না।