আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
140 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (49 points)
আসসালামু আলাইকুম শাইখ

সাংগঠনিক ক্ষেত্রে যদি বিশ্বস্ততার কারণে যদি কোন যোগ্য ব্যক্তি না পাওয়া যায় বা কারো প্রতি পরিপূর্ণ বিশ্বাস না করা যায়।সেক্ষেত্রে সকলকে জানিয়ে নিজে দায়িত্ব নেওয়া যাবে কি না?

★একটি হাদীস শুনেছিলাম এই মর্মে যে নিজেই "কাজী" বা "ইমাম" এর দায়িত্ব নেয়া যায় না।হাদীসটি সঠিক মনে করতে পারছি না এখন।

এক্ষেত্রে যদি নির্ভরযোগ্য কোন ব্যক্তি না পাওয়া যায়।যদি নিজেই দায়িত্ব গ্রহণ করা হয়।তাহলে কোন ভুল হবে কি না।

কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে জানাবেন।

জাযাকাল্লাহ খাইরান।

1 Answer

0 votes
by (697,760 points)
ওয়া আলাইকুম আসসালাম।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-

আবদুর রহমান ইবনু সামুরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত।
عن عبد الرحمن بن سمرة قال قال لي النبي صلى الله عليه وسلم يا عبد الرحمن بن سمرة لا تسأل الإمارة فإنك إن أعطيتها عن مسألة وكلت إليها وإن أعطيتها عن غير مسألة أعنت عليها وإذا حلفت على يمين فرأيت غيرها خيرا منها فكفر عن يمينك وأت الذي هو خير
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ হে ‘আবদুর রহমান ইবনু সামুরাহ! তুমি নেতৃত্ব চেয়ে নিও না। কারণ চাওয়ার পর যদি তোমাকে তা দেয়া হয়, তবে তার দায়িত্ব তোমার উপরই বর্তাবে। আর যদি চাওয়া ছাড়াই তা তোমাকে দেয়া হয় তবে এ ক্ষেত্রে তোমাকে সাহায্য করা হবে। আর কোন বিষয়ে কসম করার পর, তার বিপরীত দিকটিকে যদি তার চেয়ে কল্যাণকর মনে কর, তাহলে কসমের কাফ্ফারা আদায় কর এবং কল্যাণকর কাজটি বাস্তবায়িত করো।(সহীহ বুখারী-৭১৪৬)

প্রিয় প্রশ্নকারী ভাই/বোন!
দায়িত্ব চেয়ে নেয়া কখনো কোনো মুসলমানের জন্য উচিৎ না।দায়িত্বকে চেয়ে নিলে আল্লাহর পক্ষ্য থেকে সাহায্য আসবে না।তবে যদি কোনো সমাজে কোনো যোগ্য ব্যক্তি না থাকে,তাহলে নিজের যোগ্যতাকে প্রকাশ করতঃ দায়িত্বকে চেয়ে নেয়া তখন বৈধ হবে।
যেমন অর্থনৈতিক বিষয়ে অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখপূর্বক নিজেকে হযরত ইউসুফ আঃ দায়িত্বর উপযোক্ত বলে ঘোষনা দিয়েছিলেন।

আল্লাহ তা'আলা বলেন,
قَالَ اجْعَلْنِي عَلَى خَزَآئِنِ الأَرْضِ إِنِّي حَفِيظٌ عَلِيمٌ
ইউসুফ বললঃ আমাকে দেশের ধন-ভান্ডারে নিযুক্ত করুন। আমি বিশ্বস্ত রক্ষক ও অধিক জ্ঞানবান।(সূরা ইউসুফ-৫৫)

সুতরাং প্রশ্নের বিবরণ অনুযায়ী বাস্তবেই যদি দায়িত্বর যোগ্য বিশ্বস্ত কোনো ব্যক্তিকে না পাওয়া যায়,তাহলে এমতাবস্থায় নিজেকে দায়িত্বর উপযোক্ত হিসেবে ঘোষনা দেয়া যাবে।তবে দায়িত্ব হাসিলের কোনো বাহানা স্বরূপ এমনটা করা যাবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...