ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
■ আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন- يَهَبُ لِمَنْ يَشَاءُ إِنَاثًا وَيَهَبُ لِمَنْ يَشَاءُ الذُّكُورَأَوْ يُزَوِّجُهُمْ ذُكْرَانًا وَإِنَاثًا وَيَجْعَلُ مَنْ يَشَاءُ عَقِيمًا. তিনি যাকে ইচ্ছা কন্যা সন্তান দান করেন এবং যাকে ইচ্ছা পুত্র সন্তান দান করেন। অথবা তাদেরকে দান করেন পুত্র ও কন্যা উভয়ই এবং যাকে ইচ্ছা করে দেন বন্ধ্যা। -সূরা শুরা (৪২) : ৪৯-৫০
■ হাদীসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন- مَنْ كَانَ لَهُ ثَلاَثُ بَنَاتٍ أَوْ ثَلاَثُ أَخَوَاتٍ أَوْ ابْنَتَانِ أَوْ أُخْتَانِ فَأَحْسَنَ صُحْبَتَهُنّ وَاتّقَى اللّهَ فِيهِنّ فَلَهُ الجَنّةُ. যে ব্যক্তির তিনটি কন্যা সন্তান বা তিনজন বোন আছে অথবা দু’জন কন্যা সন্তান বা বোন আছে। সে তাদের সাথে ভাল ব্যবহার করেছে এবং তাদের ব্যাপারে আল্লাহ তাআলাকে ভয় করেছে। তার জন্য রয়েছে জান্নাত। -জামে তিরমিযী, হাদীস ১৯১৬
■ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, مَنْ ابْتُلِيَ بِشَيْءٍ مِنَ البَنَاتِ فَصَبَرَ عَلَيْهِنّ كُنّ لَهُ حِجَابًا مِنَ النّارِ. যে ব্যক্তিকে কন্যা সন্তান লালনপালনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এবং সে ধৈর্যের সাথে তা সম্পাদন করেছে সেই কন্যা সন্তান তার জন্য জাহান্নাম থেকে আড় হবে। -জামে তিরমিযী, হাদীস ১৯১৩
■ সর্বদা পিতা মাতার সাথে সদ্ব্যবহার করা ও তাদের কথা মান্য করা সন্তানের দায়িত্ব৷ আল্লাহ তায়ালা বলেন-
وَقَضَىٰ رَبُّكَ أَلَّا تَعْبُدُوا إِلَّا إِيَّاهُ وَبِالْوَالِدَيْنِ إِحْسَانًا ۚ إِمَّا يَبْلُغَنَّ عِندَكَ الْكِبَرَ أَحَدُهُمَا أَوْ كِلَاهُمَا فَلَا تَقُل لَّهُمَا أُفٍّ وَلَا تَنْهَرْهُمَا وَقُل لَّهُمَا قَوْلًا كَرِيمًا
তোমার পালনকর্তা আদেশ করেছেন যে, তাঁকে ছাড়া অন্য কারও এবাদত করো না এবং পিতা-মাতার সাথে সদ্ব-ব্যবহার কর। তাদের মধ্যে কেউ অথবা উভয়েই যদি তোমার জীবদ্দশায় বার্ধক্যে উপনীত হয়; তবে তাদেরকে ‘উহ’ শব্দটিও বলো না এবং তাদেরকে ধমক দিও না এবং বল তাদেরকে শিষ্ঠাচারপূর্ণ কথা। (সূরা বনী ইসরাঈল, ২৩)
★ সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
১, না, প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে মা কষ্ট পেলে যে, মেয়ের ক্ষতি হবে বিষয়টি এমন নয়৷
২, যেহেতু ফরজে আইন পরিমাণ কুরআন হাদীস পড়া ও জানা ফরজ৷ তাই এখন ঐ মায়ের করণীয় হলো, মেয়ে স্কুলে পড়লেও ফরজে আইন পরিমাণ কুরআন হাদীস পড়ানো৷ সেটা বাড়ীর পাশের কারোর মাধ্যমে হতে পারে আবার অনলাইন কোনো দ্বীনী প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করার মাধ্যমেও হতে পারে৷
মেয়েকে মাদ্রাসায় না পড়ানোর কারণে মাকে আল্লাহর সামনে জবাবদিহিতা করতে হবে না৷ তবে ফরজে আইন পরিমাণ দ্বীনী ইলম না শিখালে পিতা মাতাকে আল্লাহর সামনে জবাবদিহিতা করতে হবে৷
৩, এখন মায়ের জন্য মুটেও ঠিক হবে না যে, মেয়েকে আদর করবে না৷ আবার আগের মত কথা বার্তা বলবে না৷ মেয়ে যেহেতু এখনো ছোট৷ তাই সে অবুঝ৷ আর একটা অবুঝ মেয়ে মায়ের কথা নাও শুনতে পারে৷ বরং এখন মায়ের জন্য করণীয় হলো, মেয়েকে স্কুলেই পড়াবে এবং মাদ্রাসায় ভর্তির জন্য উদ্বুদ্ধ করতেই থাকবে৷
৪, মাদ্রাসা থেকে চলে আসার কারণে তার জীবন থেকে বরকত চলে যাবে বিষয়টি এমন নয়৷ কুরআন হাদীসে কোথাও এমন কথা লেখা নেই৷