আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
143 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (51 points)
আসসালামু আলাইকুম শায়খ।

১.আমি এশার ফরজ নামাজের কোনো রাকাতে এসে ভুলে যাই যে কোন রাকাত ছিল,তবে ৩/৪ রাকাত ছিল শিউর,তো তখন অই রাকাত টা পড়ে তাশাহুদে না বসে আবার আরেক রাকাত আদায় করে সাহু সিজদা দিয়ে নামাজটা শেষ করি।
আমার নামাজ হয়েছে কি? না আবার পড়তে হবে?

২.
বাইরের দেশে চকলেটের কোম্পানি গুলোতে বিভিন্ন চকলেট নিয়ে কাজ করে,এখানে হালাল হারাম দুধরনের চকলেট ই আছে।
এখন,আমাকে বাইরের দেশে থাকায়(প্রয়োজনবশত) জব করতে হচ্ছে।এই চকলেট কোম্পানিতে কাজটি হল-গিফট বক্স বানানো,আমি হারাম গুলো না টাচ করে হালাল চকলেট গুলো দিয়ে গিফট বক্স বানাই-তবে এই জব জায়েজ কি?
আর এখানে বেশিরভাগ অর্ডার হয় ক্রিসমাসের জন্য-তাহলে এই  জব করা হালাল হবে কি??

৩.

অনেক সময়  নামাজের পরে কোনো সময় সেলোয়ারে যদি সাদা স্রাবের দাগ দেখা যায়,তবে ব্যাপারটা এমন যে,হয় এটা নামাজের আগেই সেলোয়ারে ছিল তবে চেক না করার কারনে দেখা হয় নাই,তবে নামাজ পরনে ওয়ালা এম্নিতে পবিত্র হয়েছিল কেবল সেলোয়ার চেল করে নাই।

তবে কি ওই নামাজ আবার কাযা পড়তে হব্র?

৪.অনেকদিন আগে হায়িজের দাগ পাজামার লাগলে শুকিয়ে গেলে,তবে দাগ আছে দেখা যায়,এমতাবস্থায় এ সেলোয়ার দিয়ে নামাজ হবে??

৫.যদি স্রাব/নাপাকী নামাজের সময় আসে,তবে লজ্জাস্থানের বাইরে না বের হয়,তবে কি উযু ভেঙে যাবে??

৬.

অনেক আত্মীয় স্বজন মারা যান কাছের,সবার নামে কি সাদাকা করা লাগবে?এভাবে তো অনেক টাকা লাগে। যদি যতটাকাই সাদাকা করি এবং তাদের নিয়ত করি একসাথে তপবে কি হবে????
by (51 points)
Assalamu alaikum shaiyekh, this ans r v important for me.plz reply. 
by (711,360 points)
উত্তর দেয়া হয়েছে। অস্পষ্ট মনে হলে কমেন্ট করবেন।বা কল দিবেন।জাযাকাল্লাহ। 

1 Answer

0 votes
by (711,360 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
(১)
https://www.ifatwa.info/1797 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছিলাম যে,
নামাযে রা'কাত বা সেজদা সংখ্যা নিয়ে সন্দেহ হলে,যে ঐ ব্যক্তির কি এটা প্রথম হয়েছে না মাঝেমধ্যে এমন হয়।যদি প্রথমবার বা কদাচিৎ হয়ে তাহলে উনি আবার প্রথম থেকে শুরু করে নতুনভাবে পড়ে নিবেন।কিন্তু যদি কারো প্রায় এরকম সন্দেহ হয়,তাহলে উনার বিধান হলো,
"وإن كثر الشك" تحرى و "عمل" أي أخذ "بغالب ظنه" لقوله صلى الله عليه وسلم: "إذا شك أحدكم فليتحر الصواب فليتم عليه" وحمل على ما إذا كثر الشك للرواية السابقة "فإن لم يغلب له ظن أخذ بالأقل" لقوله صلى الله عليه وسلم: "إذا سها أحدكم في صلاته فلم يدر واحدة صلى أو اثنتين فليبن على واحدة فإن لم يدر اثنتين صلى أو ثلاثا فليبن على اثنتين فإن لم يدر ثلاثا صلى أو أربعا فليبن على ثلاث ويسجد سجدتين قبل أن يسلم"
যদি কারো নামাযে সংখ্যা নিয়ে প্রায় সন্দেহ হয়,তাহলে উনি তাহাররি(সঠিক বিষয়ে পৌছার জন্য চিন্তাভাবনা করা) করে গালিবে যান্ন(প্রবল ধারণা) এর উপর আ'মল করবেন।কেননা রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,যদি কেউ নামাযে সংখ্যা নিয়ে সন্দেহ করে,তাহলে সে যেন সঠিক বিষয়ে পৌছার চেষ্টা করে সে হিসেবে নামাযকে সম্পন্ন করে।তবে যদি চিন্তাভাবনার পরও কোনো সংখ্যার দিকে মনে প্রবল ধারণা না জন্মে, তাহলে সে যেন,কম সংখ্যাকে ধরে নিয়ে সেই হিসেবে নামাযকে সম্পন্ন করে।কেননা রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,যদি কেউ নামাযে সন্দেহ করে,এক রা'কাত পড়েছে না দুই রা'কাত পড়েছে? তাহলে সে যেন এক রা'কাত ধরে নিয়ে সেই হিসেবে নামাযকে সম্পন্ন করে।এভাবে দুই/তিন বা তিন/চার নিয়ে সন্দেহ হলে কম সংখ্যাকে ধরে নিয়ে সে যেন নামাযকে সম্পন্ন করবে।এবং শেষে যেন সে সেজদায়ে সাহু দেয়।(মারাকিল ফালাহ-১/৪৭৭)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যেহেতু আপনি তাহাররি তথা গভীর চিন্তাভাবনা করার পর সিদ্ধান্ত নিয়ে নামায পড়েছেন,এবং শেষে সাহু সিজদা দিয়েছেন, তাই আপনার নামায হয়েছে।

(২)
আপনি যতদিন না পূর্ণ হালাল কোনো চাকুরীর সন্ধান পাচ্ছেন, ততদিন পর্যন্ত আপনার জন্য এ চাকুরী জায়েয। যখনই সম্পূর্ণ হালাল কোনো চাকুরীর সন্ধান পেয়ে যাবেন, তখন আপনার জন্য এই চাকুরী করা আর বৈধ থাকবে না।জাযাকাল্লাহ।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/287

(৩)জ্বী, এই নামায আবার পড়তে হবে।

(৪)যদি সেই দাগ এক দিরহামের বেশী পরিমাণের হয়,তাহলে নামায হবে না।নতুবা নামায হবে।

(৫)লজ্জাস্থানের বাহিরে বের না হলে, অজু ভঙ্গ হবে না।

(৬)সবার নামে ঈসালে সওয়াব করা বা দান সদকাহ করা আপনার উপর ফরয বা ওয়াজিব নয়।হ্যা, আপনার সামর্থ্য হলে আপনি দান এবং সদকাহ করতে পারবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (711,360 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...