বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/8508 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
তিন দিন বা তার সমপরিমাণ দূরত্বের অধিক সফর করলে কেউ মুসাফির হিসাবে গণ্য হবে।যেমন ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে-
أَقَلُّ مَسَافَةٍ تَتَغَيَّرُ فِيهَا الْأَحْكَامُ مَسِيرَةُ ثَلَاثَةِ أَيَّامٍ، كَذَا فِي التَّبْيِينِ، هُوَ الصَّحِيحُ
সর্বনিম্ন দূরত্ব যার দ্বারা শরীয়তের বিধি-বিধানে পরিবর্তন আসে।(তথা মানুষ মুসাফির হয়)তিন দিনের দূরত্ব।(তাবয়ীন) এটাই বিশুদ্ধ মত।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/১৩৮)বিস্তারিত জানুন-১২৮১
তিনদিনের দূরত্বকে ফুকাহায়ে কেরাম ৭৭কিলো সমপরিমাণ নির্ধারণ করেন।তাই বর্তমানে কেউ ৭৭কিলো সমপরিমাণ সফর করলে সে শরয়ী মুসাফির হিসেবে গণ্য হবে।বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/4429
সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
(১)
আপনি যদি আপনার নানা বাড়িতে ১৫ দিনের বেশী সময় অবস্থান না করার নিয়ত রাখেন, তাহলে বাড়িতে যাওয়ার পূর্বে নানা বাড়িতে আপনি মুসাফির হিসেবে গণ্য হবেন।
(২)
মুসাফির অবস্থায় জামাতে নামায পড়ার সুযোগ থাকলে, জামাতে পড়তে হবে। স্থানীয় মসজিদে নামায পড়লে বা ইমাম মুকিম হলে, পূর্ণ নামাযই পড়তে হবে।আর একাকী হলে কসর করতে হবে।যদি কয়েকজন মুসাফির একসাথে নামায পড়তে চান, তাহলে কসর পড়তে হবে।