ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
(১)
https://www.ifatwa.info/5266 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রাযি-থেকে বর্ণিত তিনি বলেন-
ﻋَﻦْ ﻋَﺒْﺪِ اﻟﻠَّﻪِ ﺑْﻦِ ﻋَﻤْﺮٍﻭ ﺭَﺿِﻲَ اﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻬُﻤَﺎ ﻗَﺎﻝَ: ﻗَﺎﻝَ ﺭَﺳُﻮﻝُ اﻟﻠَّﻪِ - ﺻَﻠَّﻰ اﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ -( «ﻛَﺘَﺐَ اﻟﻠَّﻪُ ﻣَﻘَﺎﺩِﻳﺮَ اﻟْﺨَﻼَﺋِﻖِ ﻗَﺒْﻞَ ﺃَﻥْ ﻳَﺨْﻠُﻖَ اﻟﺴَّﻤَﺎﻭَاﺕِ ﻭَاﻷَْﺭْﺽَ ﺑِﺨَﻤْﺴِﻴﻦَ ﺃَﻟْﻒَ ﺳَﻨَﺔٍ)ﺭَﻭَاﻩُ ﻣُﺴْﻠِﻢٌ.
আল্লাহ তা‘আলা প্রত্যেক মানুষের তাক্বদীর লিপিবদ্ধ করেছেন আসমান-যমীন সৃষ্টির ৫০ হাজার বছর পূর্বে এবং তিনি যার ভাগ্যে যা লিপিবদ্ধ করেছেন তাই ঘটবে।(ছহীহ মুসলিম, মিশকাত হাদীস নং/৭৯)।
একদিন ছাহাবায়ে কেরাম তাকে কেবল তাক্বদীরের উপর ভরসা করে সকল আমল ছেড়ে দেওয়ার আবেদন জানালে রাসূল (ছাঃ) বললেন, তোমরা সৎকর্ম করে যাও। কেননা যাকে যেজন্য সৃষ্টি করা হয়েছে, তার পক্ষে সে কাজ সহজসাধ্য হবে। যারা সৌভাগ্যবানদের অন্তর্ভুক্ত, তাদের জন্য সেরূপ আমল এবং যারা দুর্ভাগাদের অন্তর্ভুক্ত তাদের জন্য সেরূপ আমল সহজ করে দেওয়া হয়েছে।
(বুখারী হা/৪৯৪৯)। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/58
https://www.ifatwa.info/13502 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
আল্লাহ তা'আলা বস্তুত মানুষকে সৎ ও অসৎ দু'টি রাস্তা প্রদর্শন করে থাকেন।এবং বান্দাকে এ দুই রাস্তার যে কোনো একটি কে চয়েজ করার অধিকার দিয়ে থাকেন। সুতরাং যে সৎ রাস্তাকে চয়েজ করবে,তাকে পুরুস্কার দেওয়া হবে।আর যে অসৎ রাস্তাকে চয়েজ করবে,তাকে শাস্তি দেয়া হবে। যে রাস্তার দিকে বান্দা এগুতে চাইবে, ইরাদা বা ইচ্ছা করার সাথে সাথেই আল্লাহ তাকে সেই রাস্তার দিকে অগ্রসর হওয়ার শক্তি দান করে থাকেন।
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
মানুষকে আল্লাহ প্রথমে রুহের জগতে সৎ ও অসৎ এ দু'টি রাস্তার মধ্য থেকে যে কোনো একটিকে গ্রহণ করার অনুমোদন দিয়েছিলেন। তারপর একটিকে গ্রহণ করার পর সে দুনিয়াতে এসে কি কি করবে, তার সবটুকুই আল্লাহ লিখে রেখেছেন।
সুতরাং আল্লাহ এই চয়েজ করার উপরই শাস্তি দিবেন।
(২)
যেহেতু আপনি হাফিজ নন, তাই আপনার জন্য এ দায়িত্ব গ্রহণ না করাই কল্যাণকর।
(৩)
আপনি হেকমতের সাথে দাওয়াত দিবেন।