আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
100 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (49 points)
আসসালামুয়ালাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ্ ,
উস্তাদজী ,


১@  আল্লাহর ইশারা ছাড়া গাছের পাতা যদি না নড়ে তবে আমরা যে গোনাহ করি, সেটাও কি আল্লাহর ইশারা ।
আসতাগফিরুল্লাহ । এটা কি জবাব দিবো সহীহ রেফারেন্স দিলে ভালো হতো  ?
আল্লাহ্ সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত যা বলেছেন আমি সেটা দিয়ে উদাহরণ দিয়েছি কিন্তু তার প্রশ্ন উপরের অংশ ।
২ @  আমি কিরাত বিভাগ শেষ করেছি আলহামদুলিল্লাহ ,
আমি যদি কারো হিফজ করার দায়িত্ব নেই তবে ঠিক কোন কোন নিয়ম ফলো করতে হবে , বললে উপকৃত হতাম ।


৩ @ বাবা মা যদি ইসলাম পালন একেবারে অপছন্দ করে সে ক্ষেত্রে করণীয় কি?

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
(১)
https://www.ifatwa.info/5266 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রাযি-থেকে বর্ণিত তিনি বলেন-
ﻋَﻦْ ﻋَﺒْﺪِ اﻟﻠَّﻪِ ﺑْﻦِ ﻋَﻤْﺮٍﻭ ﺭَﺿِﻲَ اﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻬُﻤَﺎ ﻗَﺎﻝَ: ﻗَﺎﻝَ ﺭَﺳُﻮﻝُ اﻟﻠَّﻪِ - ﺻَﻠَّﻰ اﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ -( «ﻛَﺘَﺐَ اﻟﻠَّﻪُ ﻣَﻘَﺎﺩِﻳﺮَ اﻟْﺨَﻼَﺋِﻖِ ﻗَﺒْﻞَ ﺃَﻥْ ﻳَﺨْﻠُﻖَ اﻟﺴَّﻤَﺎﻭَاﺕِ ﻭَاﻷَْﺭْﺽَ ﺑِﺨَﻤْﺴِﻴﻦَ ﺃَﻟْﻒَ ﺳَﻨَﺔٍ)ﺭَﻭَاﻩُ ﻣُﺴْﻠِﻢٌ.
আল্লাহ তা‘আলা প্রত্যেক মানুষের তাক্বদীর লিপিবদ্ধ করেছেন আসমান-যমীন সৃষ্টির ৫০ হাজার বছর পূর্বে এবং তিনি যার ভাগ্যে যা লিপিবদ্ধ করেছেন তাই ঘটবে।(ছহীহ মুসলিম, মিশকাত হাদীস নং/৭৯)।

একদিন ছাহাবায়ে কেরাম তাকে কেবল তাক্বদীরের উপর ভরসা করে সকল আমল ছেড়ে দেওয়ার আবেদন জানালে রাসূল (ছাঃ) বললেন, তোমরা সৎকর্ম করে যাও। কেননা যাকে যেজন্য সৃষ্টি করা হয়েছে, তার পক্ষে সে কাজ সহজসাধ্য হবে। যারা সৌভাগ্যবানদের অন্তর্ভুক্ত, তাদের জন্য সেরূপ আমল এবং যারা দুর্ভাগাদের অন্তর্ভুক্ত তাদের জন্য সেরূপ আমল সহজ করে দেওয়া হয়েছে।
(বুখারী হা/৪৯৪৯)। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/58

https://www.ifatwa.info/13502 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
আল্লাহ তা'আলা বস্তুত মানুষকে সৎ ও অসৎ দু'টি রাস্তা প্রদর্শন করে থাকেন।এবং বান্দাকে এ দুই রাস্তার যে কোনো একটি কে চয়েজ করার অধিকার দিয়ে থাকেন। সুতরাং যে সৎ রাস্তাকে চয়েজ করবে,তাকে পুরুস্কার দেওয়া হবে।আর যে অসৎ রাস্তাকে চয়েজ করবে,তাকে শাস্তি দেয়া হবে। যে রাস্তার দিকে বান্দা এগুতে চাইবে, ইরাদা বা ইচ্ছা করার সাথে সাথেই আল্লাহ তাকে সেই রাস্তার দিকে অগ্রসর হওয়ার শক্তি দান করে থাকেন।

সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
মানুষকে আল্লাহ প্রথমে রুহের জগতে সৎ ও অসৎ এ দু'টি রাস্তার মধ্য থেকে যে কোনো একটিকে গ্রহণ করার অনুমোদন দিয়েছিলেন। তারপর একটিকে গ্রহণ করার পর সে দুনিয়াতে এসে কি কি করবে, তার সবটুকুই আল্লাহ লিখে রেখেছেন।
সুতরাং আল্লাহ এই চয়েজ করার উপরই শাস্তি দিবেন।

(২)
যেহেতু আপনি হাফিজ নন, তাই আপনার জন্য এ দায়িত্ব গ্রহণ না করাই কল্যাণকর।

(৩)
আপনি হেকমতের সাথে দাওয়াত দিবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 352 views
0 votes
1 answer 174 views
...