আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
420 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (7 points)
আসসালামু আলাইকুম,,
বিবাহের ক্ষেত্রে বলা আছে  যে ডিভোর্সি/  বিধবা মেয়েকে কোনো ছেলে বিয়ে করলে  ইসলামে তার মর্যাদা অনেক।
তো যদি কোনো অবিবাহিত মেয়ে ডিভোর্সি ছেলেকে বিয়ে করে তাহলে সে ক্ষেত্রে ইসলাম কি বলে?? বা কতটুকু সওয়াব বেশি হবে একজন অবিবাহিত ছেলেকে বিয়ে করলে যে সওয়াব পাওয়া যাবে তার থেকে???
আমাদের নবিদের যুগে কি তারা তাদের মেয়েদের এমন ক্ষেত্রে বিয়ে দিয়েছিলেন?  যদি হ্যা হয় তবে কঅয়েক জন এমন মহিলা সাহাবি বা উচ্চ পর্যায়ের কয়েকজনের নাম বলবেন কাইন্ডলি।।??
আর বিয়েটা যদি নাকচ করি তাহলে আমার গুনাহ হবে কিনা,? এটাও একটু জানাবেন।
উস্তাদ, একটু কস্ট করে সব প্রশ্নের উত্তর দিলে উপকৃত হতাম।।

জাযাকাল্লাহু খইর।।

1 Answer

0 votes
by (61,230 points)
উত্তর
بسم الله الرحمن الرحيم

শান্তি ও সুশৃঙ্খল দাম্পত্য জীবনের অনন্য মাধ্যম বিয়ে। বিয়ের আকাঙ্ক্ষা পোষণ করা অন্যায় কিছু নয়। তবে সে আকাঙ্ক্ষা যদি হয় কোনো তালাকপ্রাপ্ত বা বিধবাদের জন্য। এমন আকাঙ্ক্ষা প্রকাশে কোনো গোনাহ নেই।
وَالَّذِينَ يُتَوَفَّوْنَ مِنكُمْ وَيَذَرُونَ أَزْوَاجًا يَتَرَبَّصْنَ بِأَنفُسِهِنَّ أَرْبَعَةَ أَشْهُرٍ وَعَشْرًا ۖ فَإِذَا بَلَغْنَ أَجَلَهُنَّ فَلَا جُنَاحَ عَلَيْكُمْ فِيمَا فَعَلْنَ فِي أَنفُسِهِنَّ بِالْمَعْرُوفِ ۗ وَاللَّهُ بِمَا تَعْمَلُونَ خَبِيرٌ

তােমাদের মধ্যে যারা মারা যায় ও স্ত্রী রেখে যায়, তাদের সে স্ত্রীগণ নিজেদেরকে চার মাস দশ দিন প্রতীক্ষায় রাখবে। অতঃপর তারা যখন নিজ ইদ্দত (-এর মেয়াদ)-এ পৌছে যাবে, তখন তারা নিজেদের ব্যাপারে ন্যায়সম্মতভাবে যা-কিছু করবে (যেমন দ্বিতীয় বিবাহ), তাতে তােমাদের কোন গুনাহ নেই। তােমরা যা-কিছু কর আল্লাহ সে সম্পর্কে সম্যক অবগত।(  (সূরা বাকারা, আয়াত -২৩৪)

 তবে শর্ত হলো বিধি মেনে চলতে হবে। যার সুস্পষ্ট বিধান রয়েছে কুরআনে। আল্লাহ তাআলা বলেন-আয়াতের অনুবাদ

আয়াত পরিচিতি ও নাজিলের কারণসুরা বাকারার ২৩৫ নং আয়াতে আল্লাহ তাআলা বিধবা বা তালাকে বায়েনা তথা তিন তালাকপ্রাপ্ত নারীকে বিয়ের ইচ্ছা পোষণকারীদের বিষয়ে নাজিল করেছেন। তাদেরকে ইশারা ইঙ্গিতে বিবাহের পয়গাম পাঠাতে কোনো গোনাহ নেই।

সামাজিক, জাতীয় ও ধর্মীয় প্রয়োজনে বিধবা এবং ডিভোর্সী নারীকে বিয়ে করা শ্রেয় এবং তা অগ্রাধিকারের দাবি রাখে। ইসলামের সোনালী যুগের সাহাবিরা শুধুমাত্র পূণ্যের উদ্দেশ্যে এই আশায় থাকতেন,যেন কোনো বিধবা কিংবা ডিভোর্সি দ্বীনদার নারীকে বিয়ে করা যায়। আপনি কোনো মেয়ের আত্মাকে, সত্তাকে,গুণকে ভালোবেসে বিয়ে করবেন, তার দেহকে নয়।

ডিভোর্স কোন পাপ নয়, উন্নত জীবন যাপনের একটা পথ। আল্লাহ নারীকে দ্বিতীয় বিয়ের অনুমতি দিয়েছেন; তিনি পুরুষকে ডিভোর্সী নারী বিয়ে করতে উদ্বুদ্ধ করেছেন। ডিভোর্সী জয়নবের সাথে রসুলের বিয়ে আল্লাহ নিজে আরশে আজিম থেকে পড়িয়েছেন! জয়নব (রা.) তাই গর্ব করে বলতেন, আমার বিয়ে স্বয়ং আল্লাহ দিয়েছেন!

যিনি প্রতারিত, তিনি জানেন সততার মূল্য কতো। যিনি খারাপ মানুষের সাথে ছিলেন, তিনি জানেন জীবনে ভালো মানুষের কতটা প্রয়োজন। 

প্রশ্নকারী প্রিয় দ্বীনি ভাই / বোন!
ইসলামে বিধবা ও ডিভোর্সি নারীকে বিয়ে করার জন্য যেমন উৎসাহ দেওয়া হয়েছে। তেমনি দ্বীনি ও মনবিক কারণে পূর্ব স্ত্রীকে  ডিভোর্স দিয়েছে এমন ছেলেকে বিয়ে করতেও অনুপ্রেরণা যোগিয়েছে,যদি তার মাঝে দ্বীনদারি থাকে।কারণ, সকলের ডিভোর্স সমান না কেউ বা পরিস্থতির শিকার হয়ে স্ত্রীকে ডিভোর্স  দেয় যাতে স্বামীর কোন দোষ থাক না।যেমন স্ত্রীকে শত চেষ্টা করেও দ্বীনের ফেরাতে পারছে না বা স্ত্রী পরকীয়ায় লিপ্ত।      
মানবিক ও দ্বীনি বিষয়ের প্রতি লক্ষ রেখে এমন পুরুষের সাথে বিবাহে আবদ্ধ হওয়াতে দুনিয়া ও আখেরাতে কল্যাণ আশা করা যায়। যেমন নবীজি ( সাঃ) এর ১১ জন স্ত্রীর মধ্যে একমাত্র আম্মাজান আয়শা ( রাঃ) ছাড়া কেউই কুমারী ছিলেন না।কেউবা ছিলেন বিধবা আবার কেউ ছিলেন ডিভোর্সি। 
তবে বিবাহের ক্ষেত্রে নারী পুরুষ উভয়ের পছন্দের প্রতি ইসলাম যতেষ্ট গুরুত্ব আরোপ করে থাকে। বিধায় যদি কোন মেয়ে ডিভোর্সি কোন ছেলেকে বিয়ের ক্ষেত্রে অপছন্দ হওয়ায় না করে দেয় তাহলে কোন গুনাহ হবে না। এক্ষেত্রে তার স্বাধীনতা আছে। তবে অবিভাবকের পছন্দ হলে সার্বিক দিক বিবেচনা করে এমন ক্ষেত্রে অসম্মতি প্রকাশ না করাটাই উচিত।  

(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)
by (0 points)
ডিভোর্স ছেলে কে বিয়ে করতে চাইলে পরিবার যদি রাজি না থাকে তাহলে কি তাকে বিয়ে করা যাবে দয়া করে জানাবেন 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...