উত্তর
بسم الله الرحمن الرحيم
وعليكم السلام ورحمة الله
(০১) ফাসেক শব্দের অর্থ
অন্যায়কারী, পাপাচারী, দুরাচারী, অবাধ্য,ফাসেক।
(০২) ফাসেক হল সেই ব্যক্তি, যে অবৈধ, হারাম বা নিষিদ্ধ কাজ করে এবং ফরয বা ওয়াজিব কাজ ত্যাগ করে; অর্থাৎ কাবীরা গুনাহ করে। যেমন, ধূমপান করে, বিড়ি-সিগারেট, তামাক প্রভৃতি মাদকদ্রব্য ব্যবহার করে, অথবা সূদ বা ঘুস খায়, অথবা মিথ্যা বলে, অথবা (অবৈধ প্রেম) ব্যভিচার করে, অথবা দাড়ি চাঁছে বা (এক মুঠির কম) ছেঁটে ফেলে, অথবা মুশরিকদের যবেহ্ (হালাল মনে না করে) খায়, (হালাল মনে করে খেলে তার পিছনে নামায হবে না।) অথবা স্ত্রী-কন্যাকে বেপর্দা রেখে তাদের ব্যাপারে ঈর্ষাহীন হয়, অথবা মা-বাপকে দেখে না বা তাদেরকে ভাত দেয় না ইত্যাদি।
(০৩) ফাসেক ব্যাক্তির ব্যাপারে শরীয়তে তেমন নিষেধাজ্ঞা নেই।
তাদের সাথে বিবাহ,সব কিছুই জায়েয।
তবে তাদের সাথে সম্পর্ক না জোড়ানোই ভালো।
তবে নাজায়েজ নয়।
তবে ফাসেক ব্যাক্তির ব্যাপারে শরীয়তে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিধান রয়েছে,সেটা হলোঃ ফাসেক ব্যক্তির পিছনে নামায মাকরুহ (অপছন্দনীয়)। বিধায় তাকে ইমামরুপে নির্বাচন ও নিয়োগ করা বৈধ ও উচিৎ নয়।
,
(০৪) ফাসেকদের সাথে আচরণঃঃ
ফাসেকদের সাথে চলাফেরা করা যাবে,তবে তাদের সাথে বন্ধুত্ব স্থাপন করা ঠিক নয়।
তাদের সাথে বেশি উঠাবসা করা সমীচিন মনে করিছিনা। কারণ তাদের নিকট থেকে গুনাহের কথা, বাজে কথা, লোকের গীবত, অশ্লীল বাক্য শোনা ছাড়া অন্য কিছুই আশা করা যায়না।
তার নিকট নোংরা কিছু দেখা ছাড়া আর কি দেখার আশা করা যাবে?
তার সাথে উঠা-বসা করে অনেক সময় জামাআতে নামায পড়তে পারা যায়না। ধীরে ধীরে রঙ-তামাশায় মত্ত হয়ে পরিশেষে আপনিও হয়তো ফিরে যাবেন। ইবনে মাসঊদ (রাঃ) বলেন, ‘লোক সকলকে তাদের সঙ্গী-সাথী দেখে (ভালো-মন্দ) গণ্য কর। কেননা, যে মুসলিম, সে মুসলিমের অনুসরণ করে এবং যে ফাসেক, সে ফাসেক ব্যাক্তির অনুসরণ করে।
(আল-ইবানাহ ২/৪৭৭, ৫০২, এই উক্তির প্রথমাংশ বাগবী শারহুস সুন্নাহ ১৩/৭০ তে উল্লেখ করেছেন)