আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
141 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (26 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহি ওয়া বারকাতুহ্।

১) মহিলারা নামাজের সময় যদি মোজা পরে এবং সালোয়ার টাখনুর ওপরে ওঠে যায়,কিন্তু নিচে মোজা ঠিকই আছে,এমতাবস্থায় সালাত শুদ্ধ হবে কি?

২)খাওয়ার আগে ও পরে কুলি করা কি সুন্নাহ?
৩)নামাজে সিজদার সময় কি চোখ খোলা রাখতে হবে?

৪)বেহেশতি জেওর,নেয়ামুল কোরআন,এই বইসমূহ কি পড়া যাবে,অনেকে বলে বিদাতি বই?

৫) পিরিয়ড অবস্থায় সকাল সন্ধ্যার জিকির দোয়া,আয়াতুল কুরসি পড়া যাবে নাকি?

৬)একটি সহিহ হাদিসে  বিতর সালাত আদায় করে শোয়ার কথা বলা হয়েছে। তাহলে, বিতরের পরে আবার তাহাজ্জুদ নামাজ পড়া যায়?বিতর কে না রাতের শেষ নামাজ বানানোর কথা বলা হয়েছে..

৭)প্রত্যেক নামাজের শেষে পড়ার জন্য বিভিন্ন দোয়া বা নামাজের বইতে দেখা যায় কিছু নির্দিষ্ট জিকির আছে।যেমন :ফজরের পর হুয়াল আলিউল আজীম,জোহরের পর হুয়াল আলীয়্যুল আযীম,এভাবে একেক নামাজের শেষে একেকটাকে নির্দিষ্ট করেছে।এগুলো কি সুন্নাহসম্মত?

৮)মেয়েরা পুরো মাথা কিভাবে মাসেহ করবে?আবার শেষ পর্যন্ত নিয়ে পুনরায় সামনে ব্যাক করতে গেলে তো চুল সব এলোমেলো হয়ে যাবে না..তাছাড়া মাথায় খোপা থাকলে একদম শেষ পর্যন্ত কিভাবে নিব,খুলে ওযু করতে হবে নাকি?

অনেকগুলো প্রশ্ন,আশা করি কোরআন সুন্নাহর আলোকে উত্তর দিবেন

জাযাকুমুল্লাহ খায়ের

1 Answer

0 votes
by (682,440 points)
edited by
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 
জবাবঃ-

(০১)

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا حَجَّاجُ بْنُ مِنْهَالٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ، عَنْ صَفِيَّةَ بِنْتِ الْحَارِثِ، عَنْ عَائِشَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلي الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ " لَا يَقْبَلُ اللهُ صَلَاةَ حَائِضٍ إِلَّا بِخِمَارٍ " . 

‘আয়িশাহ্ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোন প্রাপ্তবয়স্কা মহিলা খিমার (ওড়না) ছাড়া সলাত আদায় করলে আল্লাহ তার সলাত কবুল করেন না।
(আবু দাউদ ৬৪১)

★নামাজে মহিলাদের মুখ মণ্ডল ও দু হাতের কব্জি ব্যতিরেকে মাথা থেকে পা পর্যন্ত সারা শরীর ঢাকা আবশ্যক। 
★প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যেহেতু মোজা দ্বারা টাখনু ঢাকা আছেই,তাই নামাজে কোনো সমস্যা হবেনা।
,
(০২)
কেউ কেউ খাওয়ার আগে কুলি করাকে সুন্নত বা মুস্তাহাব মনে করে থাকে-এটা ভুল। 

তবে খাবারের শেষে কুলি করা হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

قَالَ يَحْيٰى سَمِعْتُ بُشَيْرًا يَقُوْلُ حَدَّثَنَا سُوَيْدٌ خَرَجْنَا مَعَ رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم إِلٰى خَيْبَرَ فَلَمَّا كُنَّا بِالصَّهْبَاءِ قَالَ يَحْيٰى وَهِيَ مِنْ خَيْبَرَ عَلٰى رَوْحَةٍ دَعَا بِطَعَامٍ فَمَا أُتِيَ إِلاَّ بِسَوِيقٍ فَلُكْنَاه“ فَأَكَلْنَا مَعَه“ ثُمَّ دَعَا بِمَاءٍ فَمَضْمَضَ وَمَضْمَضْنَا مَعَه“ ثُمَّ صَلّٰى بِنَا الْمَغْرِبَ وَلَمْ يَتَوَضَّأْ
ইয়াহ্ইয়া বলেন, আমি বুশাইরকে সুওয়ায়েদ সূত্রে বর্ণনা করতে শুনেছি যে, আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর সঙ্গে খাইবারের দিকে রওয়ানা হলাম। আমরা যখন সাহ্বা নামক জায়গায় পৌঁছলাম, ইয়াহ্ইয়া বলেন, এ স্থানটি খাইবার থেকে এক মনযিলের পথে, তিনি খাবার নিয়ে আসতে বললেন। কিন্তু ছাতু ব্যতীত অন্য কিছু আনা হল না। আমরা তাই মুখে দিয়ে নাড়াচাড়া করে খেলাম। তিনি পানি আনতে বললেন এবং কুলি করলেন, আমরাও কুলি করলাম। এরপর তিনি আমাদের নিয়ে মাগরিবের সালাত আদায় করলেন। কিন্তু অযু করলেন না। [বুখারী ৫৪৫৫] আধুনিক প্রকাশনী- ৫০৫১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৯৪৭)

(০৩)
হ্যাঁ চোখ খোলা রাখতে হবে। 

(০৪)
নিয়ামুল কুরআন সম্পর্কে উলামায়ে কেরামগন পড়তে নিষেধ করেন।    
বেহেশতি যজেওরের মাসয়ালা পড়তে কোনো সমস্যা নেই।
এটি হানাফি মাযহাব এর মাসয়ালা সম্বলিত কিতাব।

(০৫)
পিরিয়ড অবস্থায় সকাল সন্ধ্যার জিকির দোয়া,আয়াতুল কুরসি পড়া যাবে।

বিস্তারিত জানুনঃ  

(০৬)
হ্যাঁ বিতরকে শেষ নামাজ হিসেবে আদায় করতে রাসুলুল্লাহ সাঃ ইরশাদ করেছেন।
তবে এর পর যে আর নামাজ পড়া বৈধ নয়,বিষয়টি এমন নহে।
এর পরেও নামাজ পড়া যাবে।
তাই প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে বিতরের পরে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়া যাবে। 

বিস্তারিত জানুনঃ   

(০৭)
না,এগুলো হাদীসের নেই।
,
বুযুর্গানে দ্বীনের আমল হতে পারে।
যাহা দ্বীনের অংশ বা প্রয়োজনীয় মনে না করে আদায় করা যাবে।
নতুবা বিদ'আত হবে।
,
(০৮) 
হাদীস শরীফে এসেছে 

حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مُوسَى الأَنْصَارِيُّ، حَدَّثَنَا مَعْنُ بْنُ عِيسَى الْقَزَّازُ، حَدَّثَنَا مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ يَحْيَى، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ زَيْدٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَسَحَ رَأْسَهُ بِيَدَيْهِ فَأَقْبَلَ بِهِمَا وَأَدْبَرَ بَدَأَ بِمُقَدَّمِ رَأْسِهِ ثُمَّ ذَهَبَ بِهِمَا إِلَى قَفَاهُ ثُمَّ رَدَّهُمَا حَتَّى رَجَعَ إِلَى الْمَكَانِ الَّذِي بَدَأَ مِنْهُ ثُمَّ غَسَلَ رِجْلَيْهِ .

আবদুল্লাহ ইবনু যাইদ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দু'হাতে মাথা মাসিহ করতেন। তিনি হাত দুটি সামনে আনতেন এবং পিছনে নিতেন। তিনি মাথার সামনের দিক হতে শুরু করে উভয় হাত ঘাড়ের দিকে নিতেন; অতঃপর পেছন দিক হতে আবার সামনের দিকে এনে শুরু করার জায়গায় পৌছাতেন। অতঃপর তিনি উভয় পা ধুতেন। —সহীহ। ইবনু মাজাহ– (৪৩৪), বুখারী ও মুসলিম,তিরমিজি ৩২)

★সুপ্রিয় প্রশ্নকারী,   

পুনরায় সামনের দিকে নিয়ে আসলে চুল কিছুটা এলোমেলো হবে।
আস্তেধীরে করলে এলোমেলো হবেনা।
মাথার সীমামার শেষ পর্যন্ত হাত নিয়ে যাবে।
আবার ব্যাক করবে।     
খোপা থাকলে অনেকটা কষ্টকর হবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...