ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
https://www.ifatwa.info/1044 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
মৃত ব্যক্তির জন্য দু'আ করতে পারেন। কুরআনে কারীম তেলাওয়াত করে তাদের নামে বখশিয়ে দিতে পারেন। হ্যা দু'আ নিয়তে আরো অনেক কিছুই করতে পারেন। তন্মধ্যে সবচেয়ে উত্তম হচ্ছে তাদের নামে সদকায়ে জারিয়া হিসেবে মসজিদ-মাদরাসা নির্মাণ করে দেয়া।এবং তাদের নামে রাস্তাঘাট ও চিকিৎসা কেন্দ্র নির্মাণ সহ যাবতীয় সমাজসেবা মূলক কাজ করা। অর্থাৎ সর্ব প্রকার ভালো কাজ করে তাদের নামে সওয়াব বখশিয়ে দেয়া।তবে টাকার বিনিময়ে খতমে কোরাআন বা অন্য কোরো খতম করিয়ে ঈসালে সওয়াব করানো জায়েয হবে না।
আল্লাম ইবনে আবেদীন শামী রাহ লিখেন,
ﻭﺃﺧﺬ ﺍﻷﺟﺮﺓ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﺬﻛﺮ ﻭﻗﺮﺍﺀﺓ ﺍﻟﻘﺮﺁﻥ، ﻭﻏﻴﺮ ﺫﻟﻚ ﻣﻤﺎ ﻫﻮ ﻣﺸﺎﻫﺪ ﻓﻲ ﻫﺬﻩ ﺍﻷﺯﻣﺎﻥ، ﻭﻣﺎ ﻛﺎﻥ ﻛﺬﻟﻚ ﻓﻼ ﺷﻚ ﻓﻲ ﺣﺮﻣﺘﻪ ﻭﺑﻄﻼﻥ ﺍﻟﻮﺻﻴﺔ ﺑﻪ، ﻭﻻ ﺣﻮﻝ ﻭﻻ ﻗﻮﺓ ﺇﻻ ﺑﺎﻟﻠﻪ ﺍﻟﻌﻠﻲ ﺍﻟﻌﻈﻴﻢ-
আল্লাহর যিকির বা কুরআন তেলাওয়াত করে বিনিময় গ্রহণ করা মাকরুহ।যে প্রথা বর্তমান সময়ে লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এরকম প্রথা/রুসুম চালু হয়ে গেলে সেটা হারাম হবে।এবং এর ওসিয়ত বাতিল করলে সেটাও বাতিল বলে গণ্য হবে। এতে কোনো সন্দেহ নাই। {রদ্দুল মুহতার (শামেলা):২/২৪১ আহসানুল ফাতাওয়া-৭/২৯৯}
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ!
মৃত ব্যক্তির জন্য কুরআন তিলাওয়াত করা যাবে, তবে লাশের পাশে বসে কুরআন তিলাওয়াত করা যাবে না।
(২)
কুরআন খতম করা বা করানো জায়েয।তবে টাকার বিনিময়ে জায়েয হবে না।
(৩)
https://www.ifatwa.info/1104 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ!
মোটকথাঃ
কিছু দু'আ র বেলায় হাদীসে সংখ্যার উল্লেখ রয়েছে।সুতরাং সেগুলোকে উক্ত সংখ্যায় পড়াই সুন্নাত।অন্যদিকে কিছু দু'আ এমন রয়েছে যেগুলোতে সংখ্যার উল্লেখ আসেনি।সুতরাং সেগুলো কে বিশেষ কোনো সংখ্যা দ্বারা আখ্যায়িত করা,বা উক্ত সংখ্যার সাথে জরুরী মনে করা ঠিক হবে না।এমনকি বাড়াবাড়ি করলে বেদ'আত পর্যন্ত হুকুম আসবে।
হ্যা পূর্ববর্তী কিছু নেককার বান্দাগণ(সালাফে সালেহীন) তাদের অভিজ্ঞতার আলোকে কিছু সংখ্যার পরামর্শ দেন বা পদ্ধতির পরামর্শ দেন,সেগুলোকে জরুরী বা সুন্নত মনে না করে আ'মলে নেয়া যেতে পারে।তবে এক্ষেত্রে এমন মনোভাব রাখতে হবে যে,উক্ত সংখ্যা বা পদ্ধতি আমাদের উদ্দেশ্য নয় বরং আমাদের উদ্দেশ্য হল, বেশী বেশী করে পড়া।কিন্তু কতটুকু পড়ালে বেশী হবে?সেটা তো আমরদের জানা নেই।তাই নেককার বান্দাদের পরামর্শকৃত একটা সংখ্যা বা পদ্ধতিকে আপাতত আমরা বেশীর মানদন্ড হিসেবে ধরে নিচ্ছি।এবং সাথে সাথে নিজেকে খালিছভাবে আল্লাহর সামনে উপস্থাপন করছি।হয়তো এই বেশী পড়ার মনোভাব থাকায় আল্লাহ আমাদের দু'আ কে কবুল করে নিতে পারেন।জাযাকুমুল্লাহ।
আল্লাহ-ই ভালো জানেন।
(৪)
প্রচলিত ত্বরিকায় চল্লিশা করা বিদ'আত ও হারাম।
(৫)
জ্বী, ঠিক।