আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
403 views
in পবিত্রতা (Purity) by (4 points)
আমার ফরজ গোসল করতে ৪৫ মিনিট লাগে।আমি শুধু কুলি করি,নাকে পানি দেই এবং ঝর্ণার নিচে   দাড়িয়ে শরীরে পানি পৌছাই।আমার গোসলের সময় চুল খিলাল করতে লাগে ১০ মিনিট,নাভি গুতাতে গুতাতে অবস্থা খারাপ, নাভিতে হাতও লাগেতে পারিনা ব্যথা পাই তবুও অনেক গুতাই, নাভিতে আঙুল ঢুকেয়ে আঙুল নাড়াই । আমি ছেলে।আমার মনে হয় নুনুর নিচে ঝর্ণার পানি  যাচ্ছে না,অণ্ডকোষ পুরোপুরি ভিজেনি,পায়খানার স্থানের ভাজে পানি যায়নি, পায়খানার স্থান ও অণ্ডকোষ এর মাঝমাঝি যেই ভাজের মতো নিচু জায়গা থাকে সেখানে পানি যায়নি,আর মাথার চুল খিলাল করতে গেলে লাগে ৭ মিনিট। আমি খুবই কষ্টে আছি।লজ্জার কারণে কাউকে এ ব্যাপারে জানাতেও পারি না। এই ওয়াসওয়াসা থেকে বাচার উপায় কি।নিজের অজানায় যদি শরীরের কোনো চিপা শুকনো থাকে তাহলে কি ফরজ গোসল হবে?আর মগ দিয়ে পানি ঢেলে গোসল করতে আমার লাগে দেড় ঘন্টা।এই প্রশ্নগুলোরউত্তর বিস্তারিতভাবে একটা একটা করে দিবেন। প্লিজ। বিশেষ করে লজ্জাস্থানের নিচে পানি পৌছানোর ব্যাপারে আমি বেশি ওয়াসওয়াসায়আক্রান্ত।লজ্জাস্থানের অঞ্চলগুলোয় পানি পৌছাতে আমি আমার শরীর নাড়াই, কাত করি,পেছন দিক উচু করি        আমি ফরজ গোসলে নুনু বা নিচের দিকের কোথাও হাত লাগাইনা। এই অঞ্চলগুলো গোসলের আগেই পরিষ্কার করে ফেলি।

1 Answer

0 votes
by (583,410 points)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/1379 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
ইমাম নববী রাহ উক্ত হাদীসের ব্যখ্যায় লিখেন,
ﻣﻌﻨﺎﻩ ﺃﻥ ﺍﻟﺸﻴﻄﺎﻥ ﺇﻧﻤﺎ ﻳﻮﺳﻮﺱ ﻟﻤﻦ ﺃﻳﺲ ﻣﻦ ﺇﻏﻮﺍﺋﻪ ، ﻓﻴﻨﻜﺪ ﻋﻠﻴﻪ ﺑﺎﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ؛ ﻟﻌﺠﺰﻩ ﻋﻦ ﺇﻏﻮﺍﺋﻪ ، ﻭﺃﻣﺎ ﺍﻟﻜﺎﻓﺮ : ﻓﺈﻧﻪ ﻳﺄﺗﻴﻪ ﻣﻦ ﺣﻴﺚ ﺷﺎﺀ ، ﻭﻻ ﻳﻘﺘﺼﺮ ﻓﻲ ﺣﻘﻪ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ، ﺑﻞ ﻳﺘﻼﻋﺐ ﺑﻪ ﻛﻴﻒ ﺃﺭﺍﺩ ، ﻓﻌﻠﻰ ﻫﺬﺍ ﻣﻌﻨﻰ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ : ﺳﺒﺐ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ : ﻣﺤﺾ ﺍﻹﻳﻤﺎﻥ ، ﺃﻭ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ﻋﻼﻣﺔ ﻣﺤﺾ ﺍﻹﻳﻤﺎﻥ ، ﻭﻫﺬﺍ ﺍﻟﻘﻮﻝ ﺍﺧﺘﻴﺎﺭ ﺍﻟﻘﺎﺿﻲ ﻋﻴﺎﺽ ...
অর্থাৎ শয়তান সে ব্যক্তিকেই প্ররোচনা দেয়,যাকে গোমরাহ করতে সে নিরাশ হয়ে যায়।সে কাউকে গোমরাহ করতে নিরাশ হয়ে গেলে সর্বশেষে সে মনে সন্দেহ ঢুকিয়ে দিতে চায়।
আর কাফিরের নিকট শয়তান যেকোনো থেকে যেহেতু আসতে পারে,তাই কাফিরকে প্ররোচনা দেয়ার কোনো প্রয়োজন তার থাকে না।কেননা সে যেকোনো সময় তার ইচ্ছামত কাফিরকে ব্যবহার করতে পারে।সুতরাং হাদীসের অর্থ হলো এই যে,ঈন্তরে ঈমানের দানা থাকার দরুণই শয়তান ঈমানদারদেরকে প্ররোচনা দিয়ে থাকে। এ বিষয়ে এটাই কাযী ঈয়ায রাহ এর পছন্দনীয় ব্যাখ্যা।
(আল-মিনহাজ্ব-২/১৫৪)

এরকম শয়তানি প্ররোচনা থেকে বাচতে হলে, রাসূলুল্লাহ সাঃ এর বিধিনিষেধকে আন্তরিকতার সাথে গ্রহণ করতে হবে।সাথে সাথে ঐ চিন্তা থেকে নিজেকে সরিয়ে নিতে হবে।এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা ভিক্ষা চাওয়া সহ আল্লাহর যিকিরে নিজেকে ব্যস্ত করে রাখতে পারলেই তবে এরকম শয়তানী ওয়াসওয়াসা থেকে নিজেবে বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব।(আল-মিনহাজ-২/১৫৫-১৫৬)

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনার বর্ণিত পরিস্থিতি শয়তানের ওয়াসওয়াসা।এবং ওয়াসওয়াসাকে গ্রহণ করে আপনি শয়তানকে প্রশ্রয় দিচ্ছেন।সুতরাং আপনার জন্য জরুরী হচ্ছে, শয়তান থেকে বাঁচা এবং এর জন্য মহান আল্লাহর নিকট কায়মনোবাক্যে দু'আ করা।

স্বভাবত আপনি হাউজ বা পুকুরে গোসল করবেন। আর যদি বাথরুমে গোসল করেন, তবে স্বাভাবিক একবার পানি দিয়ে দিলেই হবে।এতে কোনো সমস্যা হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

+1 vote
1 answer 316 views
...