বিসমিহি তা'আলা
সমাধানঃ-
মুসলিম অমুসলিম এক রুমে থাকাকে কখনো শরীয়ত অনুমোদন দিতে পারে না।
যেমন,
আবু দাঊদ শরীফে হযরত সামুরা ইবনে জুনদুব (রা.) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ স. ইরশাদ করেন :
ﻣﻦ ﺟﺎﻣﻊ ﺍﻟﻤﺸﺮﻛﻴﻦ ﻭﺳﻜﻦ ﻣﻌﻪ، ﻓﺎﻧﻪ ﻣﺜﻠﻪ –
“যে ব্যক্তি অমুলিমদের সাথে চলাফেরা করবে এবং তাদের সাথে বসবাস করবে, সেও তাদের অনুরূপ হবে”।(আবু দাঊদ, কিতাবুদ্দাহায়া)
হযরত জারীর ইব্ন আব্দুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ স. ইরশাদ করেন :
ﺍﻧﺎ ﺑﺮﻳﺊ ﻣﻦ ﻛﻞ ﻣﺴﻠﻢ ﻳﻘﻴﻢ ﺑﻴﻦ ﺍﻇﻬﺮ ﺍﻟﻤﺸﺮﻛﻴﻦ، ﻗﺎﻟﻮﺍ ﻳﺎ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ! ﻟﻢ؟ ﻗﺎﻝ ﻻ ﺗﺮﺉ ﺍﻱ ﻧﺎﺭﻫﻤﺎ -
“সেসব মুসলমানদের ব্যাপারে আমার কোন দায়-দায়িত্ব নেই, যারা অমুসলিমদের সাথে বসবাস করে। সাহাবায়ে কিরাম জিজ্ঞাসা করলেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ! এর কারণ কি? তিনি উত্তরে বললেন, ইসলামের অগ্নি এবং কুফরীর অগ্নি উভয়টি এক সাথে থাকতে পারেনা। কোনটি মুসলমানের আগুন, কোনটি অমুসলিমের আগুন তোমরা তা পার্থক্য করতে পারবেনা”।
বিস্তারিত জানতে
মুফতী তাকী উসমানী রাহ কর্তৃক লিখিত-ফেকহী মাক্বালাত,১/২৪৩-২৭৫;দেখা যেতে পারে।
হ্যা অপারগতা বশত অমুসলিম পাশের রুমে থাকলে কোনো সমস্যা নেই যদি তার সাথে হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্ক না থাকে,এবং আপনার ঈমান- আকিদা সুদৃঢ় রাখার পূর্ণ ইয়াক্বিন-বিশ্বাস থাকে।
তবে সেখান থেকে চলে গিয়ে অন্যকোথাও দ্বীনদার মানুষদের পাশে বসবাস করাই সর্বোত্তম বলে বিবেচিত হবে।এবং এর আপ্রাণ চেষ্টা করতে হবে।কেননা এক্ষেত্রে তার ধর্মীয় কৃষ্টিকালচার দ্বারা আপনি প্রভাবিত হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রহিয়াছে।
মুসলিম-অমুসলিম একসাথে বসবাস করতে হাদীসে নিষেধ এসেছে।
তবে ইবাদত কবুল হবে না কথাটা ঠিক না।
إن كان خطأً فمنِّي و إن كان صوابًا فمن اللّٰهِ وبتوفيقِه
উত্তর লিখনে
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ, IOM.
পরিচালক
ইসলামিক রিচার্স কাউন্সিল বাংলাদেশ