আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
92 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (6 points)
Assalamualikum...

ami messe thkee prashona kri..

3 sit er room e thki..but eikhne room e alo ase na amr porar tble e..smossa hoi halka..

ami 2 sit er room e jete cai.. but 2 sit er j room faka ase oita te ekta hindu Meye thakee..akhn amr ki oi hindu Meyer sathe uthata thik hbe

1 Answer

0 votes
by (62,960 points)
edited by

 

بسم الله الرحمن الرحيم

জবাব,

আল্লাহ তায়ালা এরশাদ করেন,

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَتَّخِذُوا الَّذِينَ اتَّخَذُوا دِينَكُمْ هُزُوًا وَلَعِبًا مِّنَ الَّذِينَ أُوتُوا الْكِتَابَ مِن قَبْلِكُمْ وَالْكُفَّارَ أَوْلِيَاءَ ۚ وَاتَّقُوا اللَّهَ إِن كُنتُم مُّؤْمِنِينَ

হে মুমিনগণ, আহলে কিতাবদের মধ্য থেকে যারা তোমাদের ধর্মকে উপহাস ও খেলা মনে করে, তাদেরকে এবং অন্যান্য কাফেরকে বন্ধু রূপে গ্রহণ করো না। আল্লাহকে ভয় কর, যদি তোমরা ঈমানদার হও।(সূরা মায়েদা -৫৭)

 

   মুসলিমদের জন্য যথাসম্ভব মুসলিম দ্বীনদার ও সৎচরিত্রবান রুমমেটের সাথে থাকার চেষ্টা করা উচিৎ। এটা উভয়ের জন্যেই মানসিক প্রশান্তি ও দ্বীন পালন ও চরিত্র রক্ষার ক্ষেত্রে অধিক নিরাপদ।

তবে যদি বিশেষ পরিস্থিতিতে অমুসলিমর সাথে একই রুমে থাকতে হয় তাহলে একজন মুসলিমের দায়িত্ব হল, তার সঙ্গীকে দ্বীনের পথে নিয়ে এসে আখিরাতের নিশ্চিত জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা করার চেষ্টা করা। এ জন্য তার কাছে ইসলামের সৌন্দর্য, উদারতা ও মহত্ম প্রকাশ করে তাকে ইসলামের দিকে আকৃষ্ট করার চেষ্টা করতে হবে।

কিন্তু যদি তা সম্ভব না হয় বরং উল্টো মনে হয় যে, সে নিজেই তার সাথে থাকার ফলে দ্বীনদারী ও চারিত্রিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে তাহলে অনতিবিলম্বে তার জন্য রুম পরিবর্তন করার চেষ্টা করা জরুরি-যদি সম্ভব হয়।

কারণ, মুসলামানদের কর্তব্য হল, সৎ ও নেককার মুসলমানদের সাথেই চলাফেরা করা। কুরআন ও হাদীসে এ ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। তবে পড়াশুনা, চাকরী ও ব্যবসা-বাণিজ্য ইত্যাদি প্রয়োজনে অমুসলিমদের সাথে একত্রে অবস্থানের প্রয়োজন হলে তাদের সাথে প্রতিবেশী সুলভ সাধারণ সৌজন্য সম্পর্ক রাখবে। এবং একত্রে অবস্থানের ক্ষেত্রে নিম্নোক্ত বিষয়াদির প্রতি বিশেষভাবে লক্ষ রাখতে হবে :

ক. তাদের সাথে বেশি ঘনিষ্ঠতা ও অন্তরঙ্গ সম্পর্ক করা যাবে না।

খ. সবসময় নিজের ঈমান ও ইসলামের স্বাতন্ত্র্য ও স্বকীয়তার প্রতি পূর্ণ যত্নবান থাকবে।

গ. তাদের ধর্মীয় কোনো উৎসবে কিংবা তাদের বিশেষ কোনো অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবে না।

ঘ. জীবনাচারের ক্ষেত্রে তাদের নিজস্ব বেশভূষা ও কৃষ্টিকালচারের অনুসরণ থেকে বিরত থাকতে হবে।

আর তাদের কেনা হালাল খাবার খেতে অসুবিধা নেই। তবে তাদের জবাইকৃত কোনো প্রাণীর গোশত খাওয়া যাবে না। এমনিভাবে তাদের প্রস্তুতকৃত কোনো খাবারে নাপাকির আশঙ্কা থাকলে তা খাওয়া থেকেও বিরত থাকতে হবে।

{-সূরা মায়েদা (৫): ৫৭; সূরা আলে ইমরান (৩) : ১১৮; আলজামে লিআহকামিল কুরআন, কুরতুবী ৪/১২২; শরহুস সিয়ারিল কাবীর ১/১০৩; ফাতাওয়া সিরাজিয়্যা পৃ. ৭৩; খুলাসাতুল ফাতাওয়া ৪/৩৪৬; আলমুহীতুল বুরহানী ৮/৬৮}


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...