আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
218 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (59 points)
আসসালামু আলাইকুম। ভারতে আমি (আমার বন্ধু) একবার এমন একটা রেস্টুরেন্টে খেয়েছিলাম যেখানে শুকর বিক্রি করতো। আমি মুরগীর গোস্ত এবং নুডলস অর্ডার করেছিলাম। আমার কাছে মুরগির গোস্তটা সন্দেহজনক লেগেছিল। কারণ এভাবে সার্ভ করেছিল যাতে মুরগী কিনা বোঝার উপায় ছিল না। এক্ষেত্রে কাজটি কেমন? আমার করণীয় কি, ভবিষ্যতে এমন পরিস্থিতিতে পড়লে কি করনীয়?

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ 

اِنَّمَا حَرَّمَ عَلَیۡکُمُ الۡمَیۡتَۃَ وَ الدَّمَ وَ لَحۡمَ الۡخِنۡزِیۡرِ وَ مَاۤ اُہِلَّ بِہٖ لِغَیۡرِ اللّٰہِ ۚ فَمَنِ اضۡطُرَّ غَیۡرَ بَاغٍ وَّ لَا عَادٍ فَلَاۤ اِثۡمَ عَلَیۡہِ ؕ اِنَّ اللّٰہَ غَفُوۡرٌ رَّحِیۡمٌ ﴿۱۷۳﴾

তিনি আল্লাহ তো কেবল তোমাদের উপর হারাম করেছেন মৃত জন্তু, রক্ত, শূকরের গোশত এবং যার উপর আল্লাহর নাম ছাড়া অন্যের নাম উচ্চারিত হয়েছে, কিন্তু যে নিরূপায় অথচ নাফরমান এবং সীমালংঘনকারী নয় তার কোন পাপ হবে না। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
(সুরা বাকারা ১৭৩)

وَ لَا تَاۡکُلُوۡا مِمَّا لَمۡ یُذۡکَرِ اسۡمُ اللّٰہِ عَلَیۡہِ وَ اِنَّہٗ لَفِسۡقٌ ؕ وَ اِنَّ الشَّیٰطِیۡنَ لَیُوۡحُوۡنَ اِلٰۤی اَوۡلِیٰٓئِہِمۡ لِیُجَادِلُوۡکُمۡ ۚ وَ اِنۡ اَطَعۡتُمُوۡہُمۡ اِنَّکُمۡ لَمُشۡرِکُوۡنَ ﴿۱۲۱﴾ 

আর আল্লাহর নাম নেয়া হয়নি তার কিছুই তোমরা খেও না; এবং নিশ্চয় তা গর্হিত। নিশ্চয়ই শয়তানরা তাদের বন্ধুদেরকে তোমাদের সাথে বিবাদ করতে প্ররোচনা দেয়; আর যদি তোমরা তাদের আনুগত্য কর, তবে তোমরা অবশ্যই মুশরিক।
(সুরা আন'আম ১২১)

এখানে দুটি বিষয়। 
এক,
এটি শুকরের গোশত? নাকি মুরগীর গোশত?
এমনটি সন্দেহ হলে তাহা কোনো ভাবেই খাওয়া জায়েজ হবেনা।

দুই,
যদি নিশ্চিত ভাবে মুরগীর গোশত জানাও যায়,তারপরেও সমস্যা রয়েছে।
যদি সেই এলাকা মুসলিম অধ্যুষিত এলাকা হয়,তাহলে খাওয়া যাবে।
(মুসলিম অধ্যুষিত এলাকা হলে সেখানে প্রশ্নে উল্লেখিত শুকরের গোশত বিক্রয় হতোনা,তাই এটি স্পষ্ট যে সেটি অমুসলিম অধ্যুষিত এলাকা ছিলো।)   

অমুসলিম অধ্যুষিত এলাকা হলে বা অমুসলিমদের হোটেল হলে মাসয়ালাঃ-  
অমুসলিম রেস্তোরাঁ থেকে গোস্ত ভক্ষণ করতে হলে মালিককে জিজ্ঞাসা করতে হবে।সে যদি বলে ইসলামি ত্বরিকায় হালালভাবে যবেহ করা হয় নাই,তাহলে এমতাবস্থায় উক্ত গোশতকে ভক্ষণ করা যাবে না। কিন্তু যদি সে বলে যে এটাকে হালাল ত্বরিকায় যবেহ করা হয়েছে,তাহলে এমতাবস্থায় করণীয় কি?

সে সম্পর্কে বর্ণিত রয়েছে
যদি কোনো মুশরিক দাবী করে যে তার কাছে  হালাল যবেহ করা গোস্ত রয়েছে। তাহলে সেটা খাওয়া জায়েয রয়েছে।(কিতাবুল ফাতাওয়া ৪/১৯৯)আরো বর্ণিত রয়েছে,(আবকে মাসাঈল -৭/২৯২জা'মেউল ফাতাওয়া-৩/১৩৭)বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- 686

★প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার সেই গোশত খাওয়া জায়েজ হয়নি।
এমন পরিস্থিতির আবার সম্মুখীন হলে আপনি সেখানে অন্যান্য তরকারী (ভাজি,মাছ ইত্যাদি)  এর অর্ডার দিবেন।
গোশতের তরকারী নয়। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...