আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
163 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (11 points)
edited by
১। আসসালামুআলাইকু। আমি একটি মহিলা কলেজে পড়ি hsc 22।আমার বাবা মা চায় আমি ভালো পাব্লিক ভার্সিটিতে পড়ি আমি বাবা মার অবাধ্য হতে চাই না আর আমি যদি এখন না কলেজে না পড়ি আমার চিন্তা হচ্ছে যে আমি আর দ্বীনি ইলম অর্জনের ও সুযোগ পাব না। আমি ভেবেছিলাম আমি কলেজএ পড়লে বাবা মায়ের অবাধ্য হব না  আর আমি ভার্সিটিতে আরবি ভাষা৷ সাহিত্য নিয়ে পড়ে এই ভাষা ভালোভাবে    শিখলে আমি কুরআ, হাদিস, আর আরবি তে লেখা যে কোনো বই পড়তে পারব সালাতে যা প্পড়ছি তা বুঝতে পারব। আল্লাহর সন্তুষ্টিঅর্জন করতে পারব কিন্তু আজকাল  কলেজে এ নানা ধরনের অনুষ্ঠান হয় ওই দিন আমি বাড়ি চলে গেলে বেচে যাব। বাট হোস্টেলে থাকলে নাচ গানের সাউন্ড আস্তে পারে। এখন যদিও করনার জন্য অফ আছে এসব।আর ক্লাসে স্যার রা প্রশ্ন করলে জবাব দেয়া লাগে  . আমি এখন কি করব?

২। আমার কলেজ খুলছে এবং হোস্টেল স্মার্ট ফোন ইউজ করতে দেয় না। কিন্তু আমি IOM এ তাজউইদ কোর্সে ভর্তি হয়েছি যা এখন ও শেষ হয়নি আরো সাড়ে তিন মাস সময় বাকি  আছে শেষ হয়ে। আর আমি কুরআন ও শুদ্ধ করে পড়তে পারি না। আমার মা প্রাইমারি স্কুল এ চাকরি করে।তাদের স্কুল এ সরকার ল্যাপটপ দেয় আম্মু যে স্কুল কর্মরত সেখানে দুইটা ল্যাপটপ আছে।আম্মু যেহেতু হেডটিচার তাই সে একটা ল্যাপটপ বাসায় এনেছে ল্যাপটপ শেখা আর তা দিয়ে কাজ করার জন্য  এখন কি আমি ওই ল্যাপটপ টা যতদিন কোর্স শেষ না হয় ততদিন হোস্টেলে নিয়ে তাজউইদ কোর্স করতে পারব?

৩।আমি যে হোস্টেলে থাকি সেখানে খাবার নিয়ে রুমে যেতে দেয় না। আর খাবার সময় হঠাৎ স্যার নয়ত হোস্টেলে কাজ করে এমন পুরুষ মানুষএসে পড়ে  এই অবস্থায় আমি কি করব? আমি একবেলা খাবার এনে ছিলাম কিন্তু বলে যে এইখানে কোনো পুরুষ মানুষ নাই? আমি কি করব আমি খুবই মানসিক যন্ত্রণায় আছি এ ব্যাপার নিয়ে?

1 Answer

0 votes
by (560,820 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
দ্বীনি শিক্ষা হোক,বা দুনিয়াবি শিক্ষা হোক,ইসলামের বিধান হলো ছেলেরা ছেলেদের প্রতিষ্ঠানে এবং মেয়েরা মেয়েদের প্রতিষ্ঠানে পড়বে। বিশেষত মেয়েদের ক্ষেত্রে এর প্রতি সর্বোচ্চ লক্ষ রাখা ও গুরুত্ব দেয়া আবশ্যক। 

কেননা, আল্লাহ তাআলা বলেন,

زُيِّنَ لِلنَّاسِ حُبُّ الشَّهَوَاتِ مِنَ النِّسَاء

মানবকূলকে মোহগ্রস্ত করেছে নারী…। (সূরা আলি ইমরান ১৪)

★ একান্ত অপারগ অবস্থায় বা বিকল্প কোন পথ না পেলে এসব প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করা জায়েয আছে। কেননা, الضرورات تبيح المحظورات     জরুরত নিষিদ্ধ কাজকে সিদ্ধ করে দেয়। (আলআশবাহ ওয়াননাযাইর ১/৭৮)

তবে সবোর্চ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি, যাতে পর্দা লঙ্ঘন বা আল্লাহর অসন্তুষ্টি মূলক কার্যক্রম সংঘটিত না হয়।
,
আরো জানুনঃ

★যতদিন পর্যন্ত এই দেশে পৃথক শিক্ষা ব্যবস্থা চালু না হচ্ছে ,ততদিন প্রয়োজনের তাগিদে নিম্নোক্ত শর্তাদির সাথে উলামায়ে কেরামগন  কলেজ-ভার্সিটিতে শিক্ষা গ্রহণের পরামর্শ দেন।

১/শিক্ষা অর্জন দেশ ও মুসলিম জাতীর খেদমতের উদ্দেশ্যে হতে হবে।

২/চোখকে সব সময় নিচু করে রাখতে হবে,প্রয়োজন ব্যতীত কোনো শিক্ষক/শিক্ষিকার দিকে তাকানো যাবে না।মহিলা/পুরুষ তথা অন্য লিঙ্গের  সহশিক্ষার্থীদের সাথে তো কোনো প্রকার সম্পর্ক রাখা যাবেই না।সর্বদা অন্য লিঙ্গর শিক্ষার্থী থেকে নিজেকে নিরাপদ দূরত্বে রাখতে হবে।
ফাতাওয়া উসমানী ১/১৬০-১৭১;

সহ শিক্ষা সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ 

★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন, 
★এ শর্তগুলো পুরোপুরি ভাবে মেনে আপনি ভার্সিটিতে পড়তে পারবেন।

হোস্টেলে এসব অনুষ্ঠানের সময় সাউন্ড যেনো না আসে,তাই জানালা দরজা বন্ধ রাখবেন।
তারপরেও কানে সাউন্ড আসলে সেদিকে ভ্রুক্ষেপ করবেননা।
মনোযোগ অন্য দিকে রাখবেন।
সর্বপরি ইস্তেগফার চালিয়ে যাবেন।    

 (০২)
হ্যাঁ,আপনি ল্যাপটপ হোস্টেলে নিয়ে তাজউইদ কোর্স করতে পারবেন।
সমস্যা নেই।
এতে অন্যরাও উদ্ভুদ্ধ হতে পারে। 
,
(০৩)
এটা স্পষ্ট পর্দার খেলাফ কাজ।
কেননা বোরকা পড়লেও খাবারের সময় তো সকলেই চেহারা খুলবেই। 
,
তাই কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে পুরুষদের সামনে আসার নিয়ম বন্ধ করার ব্যবস্থা করতে হবে।
নতুবা তাদেরকে বলবেন যে পর্দানশীল মহিলাদের জন্য হলেও নিন রুমে খাবার নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিন।
,
কর্তৃপক্ষ কোনোটিই না মানলে এই পর্দার খেলাফ কাজটি শরীয়ত কোনো ভাবেই অনুমতি দিবেনা।
তাই হোস্টেল ছেড়ে অন্যত্রে পর্দার সহিত থাকার ব্যবস্থা করতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...