আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
168 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (19 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম।
আমার হায়েজ ১০ দিন হয়। এক্ষেত্রে ১১ তম দিনের ফজরের ওয়াক্ত থেকে আমার উপর নামাজ পড়াতো ফরজ। আমার প্রশ্ন হচ্ছে আমাকে কি ১০ম তম দিনের এশার নামাজ পড়তে হবে?যেহেতু এশার ওয়াক্তের সময় রাত ১২টার পরেও থাকে আর রাত ১২টার পরে ১১তম দিন শুরু হয়।

২। ১০ দিন ১০ রাত কিভাবে কাউন্ট করবো? যদি রাত থেকে শুরু হয় তাহলে কি প্রথম রাত গন্য হবে নাকি পুরো একটা দিন? যদি শুধু রাত গন্য হয় তাহলে কি পরের দিন সকালে প্রথম দিন এবং সেদিন রাতে দ্বিতীয় রাত গন্য হবে?  এবং এভাবেই ১০ রাত ১০ দিন কাউন্ট করতে হবে?

৩। অনেক সময় হায়েজ শেষ ভেবে সালাত আদায়, কুরআন পড়া শুরু করে দিই(১০ দিনের ভিতরেই। ৮/৯ দিনের দিন) পরবর্তীতে দেখা যায় হায়েজ শেষ হয়নি। এক্ষেত্রে কি আমার গুনাহ হবে হায়েজ অবস্থায় সালাত এবং কুরআন পড়ার কারনে?

1 Answer

0 votes
by (566,160 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
শরীয়তের বিধান মতে পিরিয়ড এর ক্ষেত্রে নামাজের শেষ সময় ধর্তব্য।
অর্থাৎ নামাজের শেষ সময়ে  যদি কাহারো পিরিয়ড শুরু হয়,তাহলে তার উক্ত নামাজের কাজা আদায় করতে হবেনা।
,
কাহারো নামাজের শেষ সময়ে এসে পিরিয়ড শেষ হয়,
তাহলে যদি সেই সময় গোসল করে সেই নামাযের তাকবীর বাঁধার মত সময়ও বাকি থাকে, তাহলে উক্ত নামাযটি আদায় করা আবশ্যক হয়ে যায়। আর যদি গোসল করে তাকবীর বাঁধার মত সময় না পাওয়া যায়, তাহলে সেই নামায আদায় করা আবশ্যক নয়।
,
এখানেও নামাজের শেষ সময় ধর্তব্য।
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

أَخْبَرَنَا عِمْرَانُ بْنُ يَزِيدَ، قَالَ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، - وَهُوَ ابْنُ سَمَاعَةَ - قَالَ حَدَّثَنَا الأَوْزَاعِيُّ، قَالَ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ، عَنْ عُرْوَةَ، أَنَّ فَاطِمَةَ بِنْتَ قَيْسٍ، مِنْ بَنِي أَسَدِ قُرَيْشٍ أَنَّهَا أَتَتْ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَذَكَرَتْ أَنَّهَا تُسْتَحَاضُ فَزَعَمَتْ أَنَّهُ قَالَ لَهَا " إِنَّمَا ذَلِكِ عِرْقٌ فَإِذَا أَقْبَلَتِ الْحَيْضَةُ فَدَعِي الصَّلاَةَ وَإِذَا أَدْبَرَتْ فَاغْتَسِلِي وَاغْسِلِي عَنْكِ الدَّمَ ثُمَّ صَلِّي " .
ইমরান ইবনু ইয়াজিদ (রহঃ) ... উরওয়া (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, কুরাইশ বংশের আসা’দ গোত্রের ফাতিমা বিন্ত কায়স (রাঃ) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট উপস্থিত হয়ে বললেন যে, তার ইস্তিহাযা হয়। তিনি মনে করেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ এ একটি শিরা (শিরার রক্ত) বিশেষ। অতএব যখন হায়য আরম্ভ হবে তখন সালাত ছেড়ে দেবে। আর যখন তা বন্ধ হবে তখন গোসল করবে এবং তোমার ঐ রক্ত ধুয়ে ফেলবে। অতঃপর সালাত আদায় করবে।

সহিহ, বুখারি হাঃ ৩০৬, মুসলিম (ইসলামিক সেন্টার) হাঃ ৬৫৯।

أَخْبَرَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، قَالَ حَدَّثَنَا سَهْلُ بْنُ هَاشِمٍ، قَالَ حَدَّثَنَا الأَوْزَاعِيُّ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِذَا أَقْبَلَتِ الْحِيضَةُ فَدَعِي الصَّلاَةَ وَإِذَا أَدْبَرَتْ فَاغْتَسِلِي

হিশাম ইবনু আম্মার (রহঃ) ... আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যখন হায়েয আসে তখন সালাত ছেড়ে দেবে, আর যখন তা বন্ধ হয়ে যায়, তখন গোসল করবে।
সহিহ, বুখারি ও মুসলিম।

আরো জানুনঃ  

★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে ১০ দিন ১০ রাত হওয়া এখানে ধর্তব্য নয়।
এখানে মূল বিষয় হলো আপনার কখন হায়েজ শেষ হয়েছে?
আপনার যদি প্রশ্নে উল্লেখিত রাতের  ১২ টার পর বা শেষ রাতে হায়েজ শেষ হয়,আর তারাতারি গোসল করে তাকবির বাধা পর্যন্ত সময় যদি ফজরের ওয়াক্ত আসা থেকে অবশিষ্ট থাকে,তাহলে আপনার উপর উক্ত ঈশার নামাজ পড়া ফরজ থাকবে।
তাহা কাজা আদায় করে নিতে হবে।

(০২)
হায়েজের সর্বোচ্চ সীমা হিসেবে এখানে দশদিন দশ রাত ধরতে হবে।
যদি রাতে হায়েজ আসে,তাহলে সেটি এক রাত বলে গণনার মধ্যে ধর্তব্য হবে।
,
(০৩)
না,আপনার গুনাহ হবেনা।
কেননা এক্ষেত্রে আপনার কোনো দোষ নেই। 
আপনি এক নামাজের ওয়াক্ত চলে যাওয়া পরিমাণ সময় অপেক্ষা করবেন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...