আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
190 views
in সালাত(Prayer) by (21 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহ

আমি হোস্টেলে থেকে পড়াশোনা করি। আমার বাসা থেকে হোস্টেল ৭৮+ কি.মি. দূরে। বাসা থেকে হোস্টেলে নিয়ে আসার মতো মাহরাম কেবল আমার আব্বুই আছেন। আমার ভাই ক্লাস ৮ এ পড়ে। আব্বু আম্মু মাহরাম ছাড়া ভ্রমনের বিষয়ে এতোটা গুরুত্বশীল নন। ওনারা এটা বোঝেন না যে মাহরাম ছাড়া এতো দূর যাতায়াত জায়েজ নয়। তাই আমাকে হোস্টেলে যাওয়া আসা একাই করতে হয়। এমনকি কোনো পর্দাশীল বা দ্বীনি মহিলাও নেই যার সাথে আমি যাতায়াত করতে পারবো।এক্ষেত্রে আমার করনীয় কি বা একা যাতায়াত এ কোনো গুনাহ হবে কি?আমার ছোটো ভাই কে কি যাতায়াত এর জন্য মাহরাম হিসেবে সাথে নিতে পারবো?

আর আমাদের হোস্টেলে মেয়েদের নামাজ পরার জন্য আলাদা একটা নামাজ রুম আছে। কিন্তু অনেকেই নামাজ পরতে গেলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে যে যেখানে মন চায় নামাজে দাড়ায়। সামনে খালি থাকার পর ও পিছনে নামাজে দাড়ালে অনেক সময় জায়গার সংকট পরে যায়, কারন পিছন থেকে কেও সামনে যেতে পারেনা যেহেতু সামনে নামাজ পরছে। আমি যদি রুমে সবসময় মসজিদের কার্পেটের মতো জায়নামাজ বিছিয়ে রাখি তাহলে কি গুনাহ হবে? এভাবে আগে থেকেই জায়নামাজ বিছানো থাকলে কেও নিজেদের মতো সামনে ফাকা রেখে নামাজে দাড়াতে পারবে না। আর মেয়েদে ক্ষেত্রে কাতার খালি না রেখে দাড়ানোর ফযিলত আছে কোনো? বা খালি রাখলে কি গুনাহ হবে?

1 Answer

0 votes
by (564,660 points)
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 
জবাবঃ-


(০১)
নারীদের জন্য মাহরাম পুরুষ ছাড়া সফরের ক্ষেত্রে হাদীস শরীফে স্পষ্ট নিষেধাজ্ঞা এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَهَنَّادٌ، أَنَّ أَبَا مُعَاوِيَةَ، وَوَكِيعًا، حَدَّثَاهُمْ عَنِ الْأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لَا يَحِلُّ لِامْرَأَةٍ تُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ أَنْ تُسَافِرَ سَفَرًا فَوْقَ ثَلَاثَةِ أَيَّامٍ فَصَاعِدًا، إِلَّا وَمَعَهَا أَبُوهَا أَوْ أَخُوهَا أَوْ زَوْجُهَا أَوِ ابْنُهَا أَوْ ذُو مَحْرَمٍ مِنْهَا صحيح

আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাযি.) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে নারী আল্লাহ এবং শেষ দিনের প্রতি বিশ্বাস রাখে, তার জন্য তিন দিন কিংবা এর অধিক সময়ের পথ (একাকী) ভ্রমণ করা বৈধ নয়, যদি না তার সংগে তার পিতা, ভাই, স্বামী ছেলে অথবা কোনো মাহরাম লোক থাকে।
(আবু দাউদ ১৭২৬)

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন, 
আপনি আপনার সেই ক্লাস এইটে পড়া ভাইকে যাতায়াতের জন্য নিতে পারবেন।
কোনো সমস্যা নেই।
বরং এটিই আপনার জন্য উচিত।
,
(০২)
আপনি যদি রুমে সবসময় মসজিদের কার্পেটের মতো জায়নামাজ বিছিয়ে রাখেন, তাহলে কোনো গুনাহ হবেনা।
,
মহিলারা তো একাকী নামাজ পড়ে,তাই সেক্ষেত্রে তাদের জন্য কাতার মিলে দাড়ানোর ফজিলত নেই।
 
হ্যাঁ যদি কোনো সময় তারা জামা'আত করে নামাজ পড়ে,তাহলে কাতার মিলিয়ে দাড়াবে।
সেটি সেই ছুরতে সুন্নাত হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...