আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
200 views
in সালাত(Prayer) by (9 points)

আসসালামু আলাইকুম শাইখ। বর্তমানে করোনা পরিস্থিতিতে মসজিদগুলোতে মুসল্লিরা বিশেষ পদ্ধতিতে দূরত বজায় রেখে কাতার করছেন। আমার এক আত্মীয় যিনি নর্থ আমেরিকায় থাকেন উনি যেসব আলেমদের থেকে শুনেছেন তারা বলেছে এটা সম্পূর্ণ বিদআত, রাসূল () থেকে এর পক্ষে কোন দলিল নেই। উনি জানতে চেয়েছেন কোন কোন দলিলের ভিত্তিতে এভাবে কাতার ফাঁক রেখে সালাত জামাআতের সাথে আদায় করা জায়েজ বলা হচ্ছে? আমি যেহেতু আলেম নই, বিজ্ঞ বিবেচনায় আপনাদের কাছে প্রশ্নের উত্তরটা চাচ্ছি। জাজাকাল্লাহু খাইরান।

1 Answer

0 votes
by (697,480 points)
বিসমিহি তা'আলা

করোনা পরিস্থিতি সম্পূর্ণ ভিন্ন ধরণের নতুন এক পরিস্থিতি।সারা বিশ্বে একই যুগে এমন ভয়ঙ্কর মহামারির কোনো নজীর নেই।সুতরাং বর্তমান পরিস্থিতি এক করুণ মুশকিল জরুরী পরিস্থিতি।

হাদীসে এসেছে কু্ষ্ঠ রোগী থেকে তোমরা এভাবে পলায়ন করো যেভাবে হিংস্র প্রাণী থেকে লোকজন পলায়ন করে।

হযরত আবু-হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,

 عن أبي هريرة، يقول: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «لا عدوى ولا طيرة، ولا هامة ولا صفر، وفرمن المجذوم كما تفر من الأسد»

রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,আল্লাহর হুকুম ব্যতীত কোনো রোগ সংক্রামক হতে পারে না।কুলক্ষণ বলতে কিছু নেই।পাখী উড়ানোতে সুলক্ষণ-কুলক্ষণের কোনো পরিচয় নেই।সফরের মাস অশোভিত বলতে কিছু নেই।তোমরা কুষ্ঠ রোগী থেকে ঠিক সেভাবে পলায়ন করো যেভাবে সিংহ থেকে পলায়ন করা হয়।(সহীহ বুখারী-৫৭০৭)

কুষ্ঠ রোগীকে পরিচয় করা যেত, কিন্তু করোনা আক্রান্ত রোগীকে পরিচয়ের কোনো আলামত নেই।আপনার পাশে যেই রয়েছে, আশঙ্কা রয়েছে তার কাছেও করোনা থাকতে পারে।এই করোনা আবার ছয় ফুট দূরে আক্রমণ করতে পারেনা।সুতরাং সর্বদা কারো কাছ থেকে ছয় ফুট দূরে থাকা মানে রাসূলুল্লাহ সাঃ এর ঐ হাদীসের উপর আ'মল করা যেখানে রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,তোমরা কুষ্ঠ রোগী থেকে ঠিক ঐভাবে পলায়ন করো যেভাবে বাঘ থেকে পলায়ন করা হয়।কেননা আল্লাহর হুকুমেই কুষ্ঠ রোগ সংক্রামক হয়ে থাকে।যদি আল্লাহ তাকে নিষেধ করেন, তখন সে আর সংক্রামক হতে পারে না।যেমন আগুনকে অাল্লাহ জ্বালানোর নির্দেশ দিয়েছেন,সে সবকিছুকে জ্বালিয়ে ফেলে,কিন্তু যখন আল্লাহ তা'আলা ইবরাহিম আঃ সম্পর্কে আগুনকে ন জ্বালানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন,তখন আগুন আর জ্বালায়নি।

তাছাড়া ফুকাহায়ে কেরাম কুষ্ঠ রোগীদের কে মসজিদে যেতে নিষেধ করেছেন।এখন তো সম্ভাবনাময় সকলই করোনা আক্রান্ত।তাই বলে তো সবাইকে আর মসজিদে যেতে নিষেধ করা যায় না।তাই বিকল্প রাস্তা হিসেবে ফুকাহায়ে কিরাম ডাক্তারদের স্বাস্থ্যবিধিকে অনুসরণ করে মহা গুরুত্বপূর্ণ বিধান নামাযকে জামাতের সাথে আদায় করার পরামর্শ দিয়েছেন।কেননা নতুবা মনজিদকেই সম্পূর্ণরূপে বন্ধ ঘোষনা দিতে হতো।

এটা নিছক নিরুপায় হয়ে মসজিদের জামাতকে জারি রাখার একটি পায়তারা মাত্র।সুতরাং এমন অসহায় মূলক পরিস্থিতি দলীল প্রমাণ অন্বেষণের উপযোগী নয়।

আল্লাহু আ'লাম

অনুলিখনে
মুফতী ইমদাদুল হক

ইফতা বিভাগ, Iom.


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...