وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
জবাবঃ-
হাদিসে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অসুস্থ ব্যক্তির নামাজের বিবরণ দিয়েছেন-
عن عمران بن حصين رضي الله عنهما قال: قال النبي صلى الله عليه وسلم: ((صلِّ قائمًا، فإن لم تستطع فقاعدًا، فإن لم تستطع فعلى جنب
رواه البخاري في أبواب تقصير الصلاة، باب إذا لم يُطِقْ قاعدًا 1/ 376 (1066)
হজরত ইমরান ইবনে হুসাইন রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমার অশ্ব রোগ ছিল, তাই এ অবস্থায় কিভাবে নামাজ আদায় করবো তা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি বললেন, ‘দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় কর, যদি না পার তবে বসে কর, তাও যদি না পার তাহলে এক পার্শ্বের উপর আদায় কর।’ (বুখারি ১/৩৭৬)
,
যে ব্যক্তি ইশারায় রুকু-সিজদা করবে, সে রুকু থেকে সিজদাতে সামান্য বেশি ঝুঁকবে। অন্যথায় নামাজ সহিহ হবে না। (তিরমিজি, হাদিস নং: ৩৭৬)
,
অসুস্থতার কারণে বসে নামাজ পড়তে অপারগ হলে, শুয়ে ইশারার মাধ্যমে নামাজ পড়বেন। তখন অসুস্থ ব্যক্তির পা কিবলার দিকে করে শোয়াতে হবে। তবে মাথাকে সামান্য ওপরে তুলে শোয়র ব্যবস্থা করতে হবে, যেন চেহারা কিবলার দিকে হয়। এরপর ইশারা করে রুকু-সিজদা করবে। (মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা, খণ্ড: ১, পৃষ্ঠা: ২৭৩)
বিস্তারিত জানুনঃ
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
(০১)
আপনি নামাজ দাঁড়িয়ে আদায় করার সময় অযু চলে গেলে অযু করে এসে বাকি নামাজ আদায় করবেন।
এহেন পরিস্থিতিতে আবার অযু চলে গেলে আবার অযু করে এসে বাকি নামাজ আদায় করবেন।
কয়েকবার এমন করার পর যদি এভাবে নামাজ শেষ করা একেবারেই অসম্ভব হয়,তাহলে এবার অযু করে বসে বাকি নামাজ আদায় করবেন।
ছোট কিরাআত দিয়ে নামাজ পড়বেন।
,
আর চিকিৎসা চালিয়ে যাবেন।
,
(০২)
আপনার ওযর যদি উপরে উল্লেখিত কঠিন অবস্থার মতো হয়,তাহলে আর দাঁড়িয়ে নামাজ আদায়ের চেষ্টা করতে হবেনা।
(০৩)
আপনার জন্য উচিত হবে উল্লেখিত ছুরত সহ প্রতি নামাজেই আগে দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করা,অতঃপর নামাজের মধ্যে অযু চলে গেলে অযু করে এসে বাকি নামাজ আদায় করা।
এক্ষেত্রে আবার অযু চলে গেলে আবার অযু করে এসে বাকি নামাজ আদায় করা।
যদি এভাবে নামাজ শেষ করা একেবারেই অসম্ভব হয়,তাহলে কয়েকবার এভাবে করার পর এবার অযু করে বসে বাকি নামাজ আদায় করা।
,
এই ছুরতেও আপনি এভাবেই ছোট কিরাআত দিয়ে নামাজ পড়বেন।