আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
93 views
in পবিত্রতা (Purity) by (9 points)
আসসালামু আলাইকুম।

প্রাপ্তবয়স্ক ছেলে এবং মেয়ে  অভিভাবক  ছাড়া  ৩ জন স্বাক্ষীর সম্মুখে  বিয়ে  করলো।তাদের  মাঝে  সহবাস  এবং  খালওয়াতে সহীহা হওয়ার আগেই   বিভিন্ন দিন বিভিন্ন বিষয় নিয়ে  ঝগড়া  হলো এবং স্বামী, তার স্ত্রীকে  অনকগুলো কাজের সাথে তালাকের শর্ত যুক্ত  করে  দিলো,উদাহরণস্বরূপঃ

A নং কাজ  করবা না, করলে  তালাক।
B নং কাজ  করবা না, করলে  তালাক।
C নং কাজ  করবা না, করলে  তালাক।
D নং কাজ  করবা না, করলে  তালাক।

 স্ত্রী  একদিন   A নং কাজ করে  ফেললো, তাই তাদের  মাঝে  এক তালাক  বায়েন  পতিত  হয়ে  গেলো।

 কিছুদিন পর  ইসলামিকভাবে তারা পুনরায় বিয়ে  করলো। এখন  প্রশ্ন  হলোঃ

১) উক্ত স্বামীর সাথে  পুনরায় বিয়ের পর যদি  স্ত্রী  A নং কাজ করে,তাহলে কি নতুন  করে  আর তালাক  পতিত  হবে?

২) B,C,D নং কাজ কি  উক্ত স্বামীর সাথে  পুনরায়  বিয়ের পর করা যাবে???

৩)★ তাদের  পূর্বে এক তালাক  বায়েন  হয়েছিল কিন্তু   A নং কাজের শর্ত পাওয়ার কারণে।
B,C,D নং কাজের শর্ত পাওয়া  যায়  নাই ।

তাহলে উক্ত স্বামীর সাথে  পুনরায়  বিয়ের পর B,C,D নং কাজের সাথে  তালাকের শর্ত কি এখনো  রয়ে গেছে?

 ৪)এক তালাক বায়েন পতিত হওয়ার পরে  এবং উক্ত স্বামীর সাথে  পুনরায় বিয়ের আগে;
যদি  উক্ত স্বামী, স্ত্রীকে  কোন কাজের সাথে শর্তযুক্ত করে তালাক  দেয়,তাহলে পুনরায়  বিয়ের পর সেই  কাজগুলো  কি স্ত্রী করতে পারবে? সেই  কাজগুলো করলে  পুনরায়  বিয়ের পর কি,কোনো তালাক পতিত হবে?

★ আমাকে হানাফি  মাযহাব  অনুযায়ী উত্তর  দিয়েন,মুহতারাম।

1 Answer

0 votes
by (721,440 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
দ্বিতীয় বার ঐ কাজ করলে আর তালাক পতিত হবে না।

(২)
জ্বী, দ্বিতীয়বার বিয়ের পর উক্ত কাজ করা যাবে।কেননা তখন স্বামীর উদ্দশ্য ছিল, এই বিয়েতে থাকাবস্থায় তুমি এই এই কাজ করতে পারবে না।
(৩)
না, ঐ কথা সমূহের অর্থ ছিল, সেই বিবাহ থাকাবস্থায় যদি তুমি এই এই কাজ করো, তাহলে তালাক।এখন যেহেতু নতুন বিয়ে,তাই পূর্বের তালাকে মু'আল্লাক আর ফিরে আসবে না।

তবে যদি স্বামী আরবী কুল্লাম যার বাংলা অর্থ 'যখনই ' শব্দ প্রয়োগ করে, তাহলে তালাক পতিত হবে। এমনকি দ্বিতীয় বিয়ের পরও তালাক পতিত হবে।

(৪)
এক তালাক বায়েন পতিত হওয়ার পরে  এবং উক্ত স্বামীর সাথে  পুনরায় বিয়ের আগে;যদি  উক্ত স্বামী, স্ত্রীকে  কোন কাজের সাথে শর্তযুক্ত করে তালাক  দেয়,তাহলে পুনরায়  বিয়ের পর সেই  কাজগুলো স্ত্রী করতে পারবে। সেই  কাজগুলো করলে  পুনরায়  বিয়ের পর আর কোনো তালাক পতিত হবে না।তবে যখনই শব্দ ব্যবহার করলে পরবর্তী বিয়ের পরও তালাক পতিত হবে।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
মাসআলা জানার পূর্বের এ সংক্রান্ত একটি মূলনীতি আমাদের মনে রাখতে হবে।
أَلْفَاظُ الشَّرْطِ إنْ وَإِذَا وَإِذْمَا وَكُلُّ وَكُلَّمَا وَمَتَى وَمَتَى مَا فَفِي هَذِهِ الْأَلْفَاظِ إذَا وُجِدَ الشَّرْطُ انْحَلَّتْ الْيَمِينُ وَانْتَهَتْ لِأَنَّهَا تَقْتَضِي الْعُمُومَ وَالتَّكْرَارَ فَبِوُجُودِ الْفِعْلِ مَرَّةً تَمَّ الشَّرْطُ وَانْحَلَّتْ الْيَمِينُ فَلَا يَتَحَقَّقُ الْحِنْثُ بَعْدَهُ إلَّا فِي كُلَّمَا لِأَنَّهَا تُوجِبُ عُمُومَ الْأَفْعَالِ فَإِذَا كَانَ الْجَزَاءُ الطَّلَاقَ وَالشَّرْطُ بِكَلِمَةِ كُلَّمَا يَتَكَرَّرُ الطَّلَاقُ بِتَكْرَارِ الْحِنْثِ حَتَّى يَسْتَوْفِيَ طَلَاقَ الْمِلْكِ الَّذِي حَلَفَ عَلَيْهِ فَإِنْ تَزَوَّجَهَا بَعْدَ زَوْجٍ آخَرَ وَتَكَرَّرَ الشَّرْطُ لَمْ يَحْنَثْ عِنْدَنَا كَذَا فِي الْكَافِي.
ভাবার্থঃ
শর্তের মাধ্যমে তালাক প্রদাণের জন্য নিম্নোক্ত হরফ ব্যবহার করা হয়ে থাকে।যথা-
(১)إنْ-যদি
(২)َإِذَا-যখন
(৩)َإِذْمَا-যখন
(৪)َكُلُّ-সব
(৫)َكُلَّمَا-যখনই
(৬)مَتَى-যখন
(৭)مَتَى مَا-যখন
বাক্যর প্রারম্ভে এ সকল শব্দ প্রয়োগ করে কোনো কাজের সাথে সম্পর্কিত করে তালাক প্রদাণ করলে যখনি উক্ত শর্ত পাওয়া যাবে,তখন তাৎক্ষণাৎ তালাক পতিত হয়ে উক্ত শর্তযুক্ত বাক্য বিনষ্ট হয়ে যাবে।পরবর্তীতে একাজের পূনরাবৃত্তি ঘটলে আর তালাক পতিত হবে না।তবে শুধুমাত্র ৫ নং বাক্য এর বিপরিত।এটা ব্যবহার করলে যখনই শর্ত পাওয়া যাবে তখনই তালাক পতিত হতে থাকবে।যতক্ষণ না উক্ত বিয়ে বন্ধন শেষ হচ্ছে।শরীয়া মোতাবেক দ্বিতীয়বার উক্ত স্বামী উক্ত স্ত্রীকে বিয়ে করলে তখন আর তালাক পতিত হবে না।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৪১৫) বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/1237


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (721,440 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 114 views
...