ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
সুবহে সাদিক থেকে সূর্যোদয়ের পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত ফজরের ওয়াক্ত বাকী থাকে। এর জন্য আপনি ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক প্রকাশিত ক্যালেন্ডার ক্রয় করে নিবেন।
(২)
খালিছ রেশমি কাপড় পুরুষদের জন্য হারাম।তবে নারীদের জন্য জায়েয। তবে যদি কোনো কাপড়ে রেশমের পরিমাণ অর্ধেকের চেয়ে কম হয়, তাহলে সেই কাপড় পুরুষের জন্যও জায়েয হবে।
(৩)
ফরয আদায় আদায়ের স্থান থেকে কিছুটা সরে গিয়ে নামায পড়া মুস্তাহাব।যাতে পরবর্তীতে আগত মুসল্লি দেখেই বুঝে নেয় যে, জামাত শেষ হয়ে গিয়েছে। তবে ফরয আদায়ের স্থানেও নামায পড়া যাবে মাকরুহ হবে না।
(৪)
রাসূলুল্লাহ সাঃ থেকে লুঙ্গী, জোব্বা, টুপি,পাগড়ী এবং কোনো কোনো বর্ণনা অনুযায়ী পায়জামা পড়াও প্রমাণিত রয়েছে।লুঙ্গি জোব্বা এ সবই নিসফে সাক পর্যন্ত রাসূলুল্লাহ সাঃ পরিধান করেছেন।সুতরাং এই সমস্ত পোষাক পরিধান করা রাসূলুল্লাহ সাঃ এর সুন্নাত।তবে এই সুন্নত, সুন্নতে যায়েদা, অর্থাৎ যা অত্যাবশ্যকীয় নয়।তবে অবশ্যই রাসূলুল্লাহ সাঃ অনুসরণ হিসেবে কল্যাণকর ।এছাড়া আরো পোষাক যেগুলো নেককারগণ পরিধান করেছেন,সেগুলোও পরিধান করা যাবে।সার্ট-পেন্ট ইত্যাদিও পরিধান করা যাবে যদি সেগুলো পোষাক পরিধানের মূলনীতির বিরোধী না হয়ে থাকে।কিন্তু অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় পোষাক পরা যাবে না।এটা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
(ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়্যাহ-১৯/২৬০)
বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/1036
সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
জ্বী, পোষাকে কোনো বাধ্যবাধকতা নাই।তবে বিধর্মী ও ফাসিকদের পোষাক বিসর্জন দিয়ে নেককারদের পোষাক গ্রহণ করাই উত্তম।
(৫)সমালোচনা সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন-
https://www.ifatwa.info/1715
(৬)
জ্বী, ব্যয়াম করা যাবে।ব্যয়াম করা নাজায়েয নয়।
(৭)
হাত উত্তোলন সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন-
https://www.ifatwa.info/253