(০১) শরীয়তের বিধান অনুযায়ী (পেনশনের টাকা ব্যাতিত) মৃত ব্যক্তির রেখে যাওয়া সম্পত্তি তার কাফন দাফন,৩ভাগের ১ ভাগ সম্পত্তি থেকে অছিয়ত পূরন,ঋণ থাকলে তা আদায় করার পর তার অবশিষ্ট সম্পদ উত্তরাধিকারদের মাঝে বন্টন করা হলোঃ
৩ মেয়ে পাবে ৩ ভাগের ২ ভাগ।
স্ত্রী পাবে ৮ ভাগের এক ভাগ।
মা পাবে ৬ ভাগের ১ ভাগ
বাবাও পাবে ৬ ভাগের ১ ভাগ।
,
অর্থাৎ মৃত ব্যাক্তির রেখে যাওয়া সমস্ত সম্পত্তিকে ৮১ ধরে ভাগ করা হবে।
(শুরুতে ২৪ দিয়ে মাসয়ালা হবে, তারপর ২৭ দিয়ে আউল হবে,তারপর তাছহীহ হবে ৮১ দিয়ে।)
তা থেকে প্রত্যেক মেয়ে পাবে ১৬ ।
(১৬×৩=৪৮ )
স্ত্রী পাবে ৯
বাবা পাবে ১২
মা পাবে ১২
(১৬+১৬+১৬+৯+১২+১২=৮১)
★কুরআন শরিফ আছেঃ
قوله تعالى فإن كن نساء فوق اثنتين فلهن ثلثا ما ترك....فإن كان له اخوة فلامه السدس...فإن كان لكم ولد فلهن الثمن مما تركتم
আল্লাহ তায়ালা বলেন মৃত ব্যাক্তির একাধিক মেয়ে থাকলে তারা ৩ ভাগের ২ ভাগ পাবে।
মৃত ব্যাক্তির সন্তান থাকলে মা ৬ ভাগের ১ ভাগ পাবে।
মৃত ব্যাক্তির সন্তান থাকলে স্ত্রী ৮ ভাগের ১ ভাগ পাবে।
(সুরা নিসা ১১.১২)
,
.
.
(০২) সরকারি চাকুরিজীবী মারা যাওয়ার পর তাদের স্ত্রীকে যে পেনশনের টাকা সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়,এটা সরকারের পক্ষ থেকে তার স্ত্রীর প্রতি দয়া, অনুগ্রহ, ইহসান।
এটার সাথে মৃত ব্যাক্তির মিরাছের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
এটা শুধুমাত্র স্ত্রীই পাবে।
স্ত্রীই কেবল মাত্র এটা পাওয়ার হকদার।
(ইমদাদুল ফাতওয়া ৪/৩৪২ মাকতাবায়ে যাকারিয়া)