আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
165 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (87 points)
আসসালামুয়ালাইকুম ওয়া রহ্মাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহু। আমার কিছু প্রশ্ন ছিল। দয়া করে উত্তর দিবেন।

১/ আমি আজ স্বপ্নে দেখি একটি। এক পর্যায়ে দেখি যে কিছু অশুভ জিনিষ দেখে ভয় পাই(এই অশুভ জিনিষ এর ভয় কয়েকদিন থেকেই, রাত এ ভূত এফেম শোনার ফলে এটা মনে সৃষ্টি হয়েছে) এবং তা তাড়ানোর জন্যে আমি সুরা ফাতিহা একবার এবং সুরা ইখলাস তিনবার খুব সুন্দর ভাবে তিলাওয়াত করি এবং সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে সুরা রহমানের ৩/৪ আয়াত তিলাওয়াত করি(একসময় শুনতে শুনতে আয়ত্ত হয়েছিল) এবং তার পর সুরাহ ইয়াসীন এর প্রথম ৬/৭ টি আয়াত তিলাওয়াত করি(একসময় আমি ভোর এ তিলাওয়াত করতাম তখন এ কয়টি আয়াত মুখস্ত হয়েছিল)  অথচ আমি বাস্তব জীবনে বেশ দীর্ঘদিন ধরেই কুর'আন এর সংস্পর্শে নেই। আগে রাত এ তিলাওয়াত করা হলেও নিয়মিত অনেক দিন থেকে হয় না। সে অনুযায়ী আমার স্বপ্নের কোন অর্থ বা ব্যখ্যা আছে কি??
২/ টাখনু কত্থেকে শুরু হয় যার নিচে কাপড় পড়া যাবে না??

৩/ যদি শু বা কেডস জুতা দিয়ে টাখনু বা গীরা  ঢাকা থাকে তাহলে কি প্যান্ট এর উপরে পড়তে হবে ্নাকি জুতার সাথে লাগিয়ে পড়লেও সমস্যা নেই দয়া করে জানাবেন।

জাযাকাল্লাহু খইরন...।

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
ইসলামী দৃষ্টিতে স্বপ্ন তিন প্রকার। 
,
১. যা আল্লাহর পক্ষ থেকে বান্দাহকে দেখানো হয় যা কল্যানকর হয়।

২. শয়তানের পক্ষ হতে দেখানো হয় যাতে মানুষ খারাপ, মন্দ ভয়ংকর কিছু দেখে থাকে।

তবে শয়তান স্বপ্ন দেখানোর দ্বারা মানুষের কোন ক্ষতি করতে পারেনা।
,
 ভয়ংকর স্বপ্ন দেখলে দুশ্চিন্তার কোন কারন নেই। শয়তান মানুষকে দুশ্চিন্তায় ফেলার জন্যই এমন সব আজব আজব জিনিস দেখায়। এমনটা দেখলে ঘুম থেকে জেগে বাম দিকে থুথু ফেলে আস্তাগফিরুল্লাহ বলতে হয়। 

৩. মানুষের কল্পনা। অর্থাৎ মানুষ যা কল্পনা করে স্বপ্নে তা দেখতে পায়। 
,

হাদীস শরীফে এসেছে  

خَالِدُ بْنُ مَخْلَدٍ حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا سَلَمَةَ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا قَتَادَةَ يَقُوْلُ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلميَقُوْلُ الرُّؤْيَا مِنْ اللهِ وَالْحُلْمُ مِنْ الشَّيْطَانِ فَإِذَا رَأٰى أَحَدُكُمْ شَيْئًا يَكْرَهُه“فَلْيَنْفِثْ حِينَ يَسْتَيْقِظُ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ وَيَتَعَوَّذْ مِنْ شَرِّهَا فَإِنَّهَا لاَ تَضُرُّه“وَقَالَ أَبُو سَلَمَةَ وَإِنْ كُنْتُ لأَرَى الرُّؤْيَا أَثْقَلَ عَلَيَّ مِنَ الْجَبَلِ فَمَا هُوَ إِلاَّ أَنْ سَمِعْتُ هٰذَا الْحَدِيثَ فَمَا أُبَالِيهَا.

আবূ ক্বাতাদাহ হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে বলতে শুনেছিঃ ভাল স্বপ্ন আল্লাহর পক্ষ থেকে হয়, আর মন্দ স্বপ্ন হয় শয়তানের তরফ থেকে। সুতরাং তোমাদের কেউ যদি এমন কিছু স্বপ্ন দেখে যা তার কাছে খারাপ লাগে, তা হলে সে যখন ঘুম থেকে জেগে ওঠে তখন সে যেন তিনবার থুথু ফেলে এবং এর ক্ষতি থেকে আশ্রয় চায়। কেননা, তা হলে এটা তার কোন ক্ষতি করতে পারবে না। 

আবূ সালামাহ বলেনঃ আমি যখন এমন স্বপ্ন দেখি যা আমার কাছে পাহাড়ের চেয়ে ভারি মনে হয়, তখন এ হাদীস শোনার ফলে আমি তার কোন পরোয়াই করি না। [বুখারী ৫৭৪৭ মুসলিম পর্ব ৪২/হাঃ ২২৬১, আহমাদ ২২৭০৭] 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
আপনার স্বপ্ন অনেক মুবারক স্বপ্ন।
ইনশাআল্লাহ আপনার কুরআন কারীমের সাথে বিশেষ সম্পর্ক তৈরী হবে।
দৈনন্দিন ২/৩ আয়াত মুখস্থ করার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
প্রথমে সহজ ছোট ছুরা মুখস্ত করুন।
কোনো হাফেজ সাহেব বা কারী সাহেবকে শুনাবেন।
,
(০২)
পায়ের গোড়ালি থেকে কিছু উঁচুতে যে উঁচু হাড্ডি রয়েছে,সেটিকে টাখনু বলে।
এই টাখনু থেকে উপরে কাপড় রাখতে হবে।   
,
(০৩)
এক্ষেত্রেও প্যান্ট যেনো কোনো ভাবেই টাখনুর নিচে না আসে,সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। 
প্যান্ট টাখনু থেকে উপরে থাকবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...