আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
338 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (26 points)
জেলি বানানোর জন্য এক প্রকার জেলাটিন পাউডার ব্যবহার করা হয়, যেটাকে এখন অনেকেই হারাম বলেন কারন এটা প্রাণিজ উপাদান থেকে তৈরি হয়। কোনো একটা কোম্পানির জেলাটিনের গায়ে "হালাল বিফ" থেকে তৈরি এরকম কথা লিখা আছে। সেই ক্ষেত্রে কি করা উচিত? এটা ব্যবহার করা কি বৈধ হবে নাকি এটাকে বর্জন করা উত্তম হবে?

1 Answer

0 votes
by (57,810 points)

بسم الله الرحمن الرحيم

হালালের চিহ্ন থাকাই উক্ত বস্তু হালাল হবার নিদর্শন হতে পারে না। কারণ হালালের চিহ্ন দিয়ে হারাম পণ্যও বিক্রি করা হতে পারে। তা’ই উক্ত পণ্যটি কিভাবে তৈরী হয়েছে? কি দিয়ে তৈরী হয়েছে? সেটির উপর নির্ভরশীল উক্ত পণ্যটি হালাল ও হারাম হওয়া।

আর পণ্যের কোন নির্দিষ্ট সীমা পরিসীমা নেই। তাই এর লিষ্ট প্রদান করা প্রায় অসম্ভব।

আমরা মূলনীতি বলে দিচ্ছি-

১-গোস্ত জাতীয় পণ্য হলে তা মুসলিমদের কাছে হালাল পণ্য কি না? তা দেখে নিন।

২-গোস্ত জাতীয় পণ্য হলে তা  জবাইয়ের সময় বিসমিল্লাহ বলা হয়েছে কি না? তা যাচাই করে নিন। তবে মুসলিমরা কোন বস্তু জবাই করলে সেক্ষেত্রে সন্দেহ করার কোন প্রয়োজন নেই। তবে যদি সুনিশ্চিতভাবে জানা যায়, বিসমিল্লাহ বলা হয় না, তাহলে উক্ত পণ্য খাওয়া জায়েজ নয়।

৩-অন্য পণ্যতে দেখতে হবে তাতে হারাম কোন বস্তু মিশ্রিত করা হয়েছে কি না? যদি মিশ্রিত করা হয়, তাহলে উক্ত হারাম পণ্যের মৌলিকত্ব বাকি আছে কি না? যদি বাকি থাকে, তাহলে উক্ত পণ্য ব্যবহার জায়েজ নয়।

আর যদি হারামের মৌলিকত্ব বাকি না থাকে, তাহলে উক্ত পণ্য ব্যবহারে কোন সমস্যা নেই।

৪-পণ্যটি কোন বিধর্মীদের ধর্মীয় সংস্কৃতি প্রকাশক কি না? যদি ধর্মীয় সংস্কৃতি বা কোন ফাসিকের অনুসরণীয় পণ্য হয়, যেমন কোন নায়িকার নির্ধারিত ডিজাইনের পোশাক ইত্যাদি তাহলেও উক্ত পণ্য ব্যবহার করা জায়েজ নয়।

উপরোক্ত মূলনীতির আলোকে কোন পণ্য হালাল আর কোন পণ্য হারাম তা নির্ণিত করে নিতে হবে। সকল পণ্যের নামসহ হুকুম বলা আমাদের পক্ষে সম্ভপর নয়।

وَلَا تَأْكُلُوا مِمَّا لَمْ يُذْكَرِ اسْمُ اللَّهِ عَلَيْهِ وَإِنَّهُ لَفِسْقٌ ۗ وَإِنَّ الشَّيَاطِينَ لَيُوحُونَ إِلَىٰ أَوْلِيَائِهِمْ لِيُجَادِلُوكُمْ ۖ وَإِنْ أَطَعْتُمُوهُمْ إِنَّكُمْ لَمُشْرِكُونَ [٦:١٢١

যেসব জন্তুর উপর আল্লাহর নাম উচ্চারিত হয় নি, সেগুলো থেকে ভক্ষণ করো না; এ ভক্ষণ করা গোনাহ। নিশ্চয় শয়তানরা তাদের বন্ধুদেরকে প্রত্যাদেশ করে-যেন তারা তোমাদের সাথে তর্ক করে। যদি তোমরা তাদের আনুগত্য কর, তোমরাও মুশরেক হয়ে যাবে। {সুরা আনআম-১২)

হারাম জিনিষের মৌলিকত্ব চলে যাবার পর তার বিধান কি?সে সম্পর্কে বর্ণিত রয়েছে.........

আর হারাম কোন বস্তু যেমন শুকর ইত্যাদির যদি এমনভাবে রিফাইন করা হয় যে, এসবের কোন মৌলিকত্ব বাকি না থাকে, তাহলেও উক্ত বস্তু ব্যবহার করা জায়েজ আছে। আর যদি সেসব হারাম বস্তুর মৌলিকত্ব বাকি থাকে, তাহলে উক্ত বস্তু যাতে মিশ্রিত করা হবে, তা ব্যবহার করা জায়েজ হবে না।

{নিহায়াতুল মুহতাজ লির রামালি-৮/১২}ম

তাই এ হিসেবে যে কোনো ধরণের পণ্য ব্যবহার বৈধ।তবে হারাম সংমিশ্রণের পূর্ণ ঈয়াক্বিন-বিশ্বাস থাকলে অবশ্য সেটা হারাম হবে।যতই গায়ে হালাল লিখা থাকুক না কেন?

বিস্তারিত জানতে নিম্নোক্ত জবাবে ক্লিক করুন।165


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...