আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
326 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (15 points)
আসসালামু আলাইকুম হুজুর,

নিম্নোক্ত ফতোয়ায় আপনি জানতে চেয়েছিলেন আমি স্বপ্ন দেখেছি কিনা। ফতোয়া লিংকঃ https://www.ifatwa.info/26577/


আমি একবার স্বপ্ন দেখেছিলাম মেয়েটির অন্যত্র বিয়ে হচ্ছে। অতঃপর আমি আউযুবিল্ললাহ পড়ে পাশ ফিরে শুই এবং থুতু ফেলি। অতঃপর আমি আরো একবার ইস্তিখারা করেছিলাম। রাতে ইস্তিখারার নামাজ পড়ে আমি কিবলামুখী হয়ে ঘুমিয়ে পড়েছলাম। তারপর সকালে উঠে আমি কিছুই অনুভব করিনি। বেশ কয়েকদিন যাবত কিছুই অনুভব করিনাই।
তবে, আমার মনে হচ্ছে মেয়েটার যদি কোন চারিত্রিক বা অন্য কোন সমস্যা থাকত কিংবা মেয়ের ফ্যামিলি যদি মত ঘুরিয়ে ফেলত তবে আমি নিশ্চিত ভাবেই আর আগাতাম না। তখন অবশ্য সন্তুষ্ট থাকতাম আল্লাহর সিদ্ধান্তে।


আমার এ ও মনে হচ্ছেঃ আমার সিদ্ধান্ত যদি আল্লাহ নিজে নিতেন তবে আমি সবথেকে সন্তুষ্ট হতাম। আমি আল্লাহর কাছে এ দুয়া করি, যা আমার জন্য কল্যাণকর নয় তাতে যেন আমি কখনো সফল হতে না পারি। আর যা আমার জন্য কল্যানকর তা যেন আল্লাহর পক্ষ থেকে নির্ধারিত হয়। আর তাতে যেন আফসোস না থাকে।

মোটকথা, আমার মন বলছে আল্লাহর উপর ভরসা রাখতে। আমার মন চাইছে আল্লাহ ই নির্ধারিত করে দিক সবকিছু।


আমার মন৷ এ ও বলছে আমি যেভাবে এগিয়েছি তা সঠিক হয়নি। এভাবে না আগালে আমার জীবন আরো সুন্দর হতে পারত। অবশ্য বিগত ৬-৭ মাসে তা কখনোই মনে হয়নি।


এসব ই শুরু হয়েছে যখন আমার ফ্যামিলি অনেকটা পজিটিভ হয়ে গেছে এবং বিয়ের ব্যাপারে আগাতে অনেকটাই রাজি হয়ে গেছে। ব্যাপার টা এমন আমি নিশ্চিত করলেই তারা আগাবে। অথচ তারা যখন রাজি ছিল না তখন আমার কোন দুশ্চিন্তা ছিল না। এসব আমি ভাবিই নি।

আবার এ ও মনে হয় - মেয়ের বা ফ্যামিলির কোন অপরাধ নেই। এখন না করে দিলে পরে যখন বিয়ে করতে যাব তখনো অনুরূপ সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগতে পারি।


এক ফতোয়াতে দেখেছিলাম, দ্বীনের ব্যাপারে ফায়দার সম্ভাবনা থাকলে নাকি শয়তান ওয়াসওয়াসা দেয়।
আমার ব্যাপারে কি এটা ওয়াসওয়াসা? আউযুবিল্লাহ পড়লে মাঝে মাঝে নির্ভার লাগে মনে হয়। চিন্তা কিছুটা কমে মনে হয়। তবে পুরোটা কমেনা।


উল্লেখ করা প্রয়োজন, আমি কখনোই কোন ব্যাপারে নিশ্চিত হয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারিনা। ছোট থেকেই। এমনকি যেকোন জব এ, বা কোন কিছু কিনতে গেলেও আমি অশান্তিতে পড়ি। নিশ্চিত হয়ে সিদ্ধান্ত নেবার ক্ষমতা আমার একেবারেই কম।
এব্যাপারে পরামর্শ কি?

1 Answer

0 votes
by (574,050 points)
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-

ইসলামী দৃষ্টিতে স্বপ্ন তিন প্রকার। 
,
১. যা আল্লাহর পক্ষ থেকে বান্দাহকে দেখানো হয় যা কল্যানকর হয়।

২. শয়তানের পক্ষ হতে দেখানো হয় যাতে মানুষ খারাপ, মন্দ ভয়ংকর কিছু দেখে থাকে।

তবে শয়তান স্বপ্ন দেখানোর দ্বারা মানুষের কোন ক্ষতি করতে পারেনা।
,
 ভয়ংকর স্বপ্ন দেখলে দুশ্চিন্তার কোন কারন নেই। শয়তান মানুষকে দুশ্চিন্তায় ফেলার জন্যই এমন সব আজব আজব জিনিস দেখায়। এমনটা দেখলে ঘুম থেকে জেগে বাম দিকে থুথু ফেলে আস্তাগফিরুল্লাহ বলতে হয়। 

৩. মানুষের কল্পনা। অর্থাৎ মানুষ যা কল্পনা করে স্বপ্নে তা দেখতে পায়। 
,

হাদীস শরীফে এসেছে  

خَالِدُ بْنُ مَخْلَدٍ حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا سَلَمَةَ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا قَتَادَةَ يَقُوْلُ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلميَقُوْلُ الرُّؤْيَا مِنْ اللهِ وَالْحُلْمُ مِنْ الشَّيْطَانِ فَإِذَا رَأٰى أَحَدُكُمْ شَيْئًا يَكْرَهُه“فَلْيَنْفِثْ حِينَ يَسْتَيْقِظُ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ وَيَتَعَوَّذْ مِنْ شَرِّهَا فَإِنَّهَا لاَ تَضُرُّه“وَقَالَ أَبُو سَلَمَةَ وَإِنْ كُنْتُ لأَرَى الرُّؤْيَا أَثْقَلَ عَلَيَّ مِنَ الْجَبَلِ فَمَا هُوَ إِلاَّ أَنْ سَمِعْتُ هٰذَا الْحَدِيثَ فَمَا أُبَالِيهَا.

আবূ ক্বাতাদাহ হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে বলতে শুনেছিঃ ভাল স্বপ্ন আল্লাহর পক্ষ থেকে হয়, আর মন্দ স্বপ্ন হয় শয়তানের তরফ থেকে। সুতরাং তোমাদের কেউ যদি এমন কিছু স্বপ্ন দেখে যা তার কাছে খারাপ লাগে, তা হলে সে যখন ঘুম থেকে জেগে ওঠে তখন সে যেন তিনবার থুথু ফেলে এবং এর ক্ষতি থেকে আশ্রয় চায়। কেননা, তা হলে এটা তার কোন ক্ষতি করতে পারবে না। 

আবূ সালামাহ বলেনঃ আমি যখন এমন স্বপ্ন দেখি যা আমার কাছে পাহাড়ের চেয়ে ভারি মনে হয়, তখন এ হাদীস শোনার ফলে আমি তার কোন পরোয়াই করি না। [বুখারী ৫৭৪৭ মুসলিম পর্ব ৪২/হাঃ ২২৬১, আহমাদ ২২৭০৭] 
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
আপনি যেহেতু সেই মেয়েকে নিয়ে সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছেন,আশা নিরাশার মাঝে আছেন, তাই সম্ভবত  তার অন্যত্রে বিবাহ হয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখেছেন।
আপনি কোনো টেনশন করবেননা।
আস্তেধীরে সিদ্ধান্ত নিন।
,
আপনি এখন শুধুমাত্র তার উচ্চতা নিয়ে ভাবছেন,এটি সম্পর্কে আপনার অভিভাবকদের সাথে খোলাখুলি আলোচনা করুন,যে এটি আপনার জন্য সমস্যা কর হবে কিনা?
সমস্যাকর না হলে আপনি আর কোনো চিন্তা না করে বিবাহ করে ফেলুন।
আল্লাহ সহায় হোন।      


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...