জবাব
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
قُلْ أَرَأَيْتُمْ مَّا أَنْزَلَ اللهُ لَكُم مِّن رِّزْقٍ فَجَعَلْتُمْ مِّنْهُ حَرَاماً وَحَلاَلاً قُلْ اللهُ أَذِنَ لَكُمْ أَمْ عَلَى اللهِ تَفْتَرُونَ-
‘আপনি বলুন, আল্লাহ তা‘আলা তোমাদেরকে যে রূযী দান করেছেন, তন্মধ্যে তোমরা যে সেগুলির কতক হারাম ও কতক হালাল করে নিয়েছ, তা কি তোমরা ভেবে দেখেছ? আপনি বলুন, আল্লাহ কি তোমাদেরকে এতদ্বিষয়ে অনুমতি দিয়েছেন, নাকি তোমরা আল্লাহর নামে মনগড়া কথা বলছ’ (ইউনুস ৫৯)।
শরীয়তের বিধান হলো হারাম বা মাকরূহ কাজের শুরুতে বিসমিল্লাহ বলা হারাম বরং তা আল্লাহর সাথে ধৃষ্টতা প্রদর্শনের শামিল।
বিসমিল্লাহ বলার অর্থ উক্ত কাজে আল্লাহর সাহায্য ও বরকত কামনা করা। সুতরাং কেউ যদি আল্লাহর নিষিদ্ধ বা ঘৃণিত কাজে তার নিকট সাহায্য চায় বা বরকত কামনা করে তাহলে তা মহামহিম আল্লাহর সাথে বেয়াদবী করা হবে।
যেখানে হারাম কাজ করার আগে আল্লাহ তাআলার কথা স্বরণ করে সেখান থেকে দূরে সরে আসা আবশ্যক।
.
,
★হারাম কাজ করা,হারাম খাওয়ার ক্ষেত্রে বিধান হলোঃ
(০১) যদি উপহাস,ঠাট্রা করে বিসমিল্লাহ বলে,তাহলে এটি স্পষ্ট কুফরী।
(০২) যদি উপহাস বা ঠাট্রার নিয়ত না থাকে,তাহলে কাফের হবেনা,তবে গুনাহগার হবে।
আরো জানুনঃ
★প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে দেখে দেখে অনলাইনে পরিক্ষা দেওয়ার শুরুতে বিসমিল্লাহ বলাটি জায়েজ হয়নি।
তবে এর কারনে তার ঈমান চলে যায়নি।
তাকে তওবা করতে হবে।
কুরআন এর আয়াত ও হাদিস সম্বলিত বইয়ে ভুলবশত পা লাগলে আল্লাহর কাছে মাফ চেয়ে নিবে।
তওবা ইস্তেগফার করবে।
,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে ঈমানের সমস্যা হবেনা।
রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,
«إِنَّ اللَّهَ قَدْ تَجَاوَزَ عَنْ أُمَّتِي الْخَطَأَ ، وَالنِّسْيَانَ ، وَمَا اسْتُكْرِهُوا عَلَيْهِ»
“আমার উম্মতের হঠাৎ ঘটে যাওয়া ভুল, স্মরণ না থাকার কারণে ঘটে যাওয়া অন্যায় এবং জোরজবরদস্তি করে কৃত অপরাধকে ক্ষমা করে দেয়া হয়েছে।” [ইবনে মাজাহ: ২০৪৩; সহীহ ইবনে হিব্বান: ৭১৭৫, বায়হাকি-হাসান]
,
আগামীতে আমাদের চলাফেরার ক্ষেত্রে তার জন্য সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি যেন, কোনোভাবেই আল্লাহর কালামের প্রতি অসম্মান প্রদর্শিত না হয়।