আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
196 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (16 points)
edited by
যেকোন হালাল কাজের শুরুতেই বিসমিল্লাহ বলা উচিত।এরকম অনলাইন পরীক্ষার শুরুতে কেউ যদি বিসমিল্লাহ বলে কিন্তু সে পরীক্ষা দিচ্ছে দেখে দেখে যা নাজায়েজ তাহলে কি বিসমিল্লাহ বলাতে ঈমান থাকবে? বিসমিল্লাহ নিয়ে হাসি ঠাট্টার কোনো নিয়ত ছিল না

একটি বই যেখানে কুরআন এর আয়াত ও হাদিস ও আছে সেখানে ভুলবশত পা লাগলে করণীয় কি

পা লাগার কারণে বইটি ছুঁয়ে বলেছিল আল্লাহ মাফ করে দাও। বইটি এমনি ছুঁয়েছিল মূলত নিয়ত ছিল আল্লাহর কাছে মাফ চাওয়া এতে কি ঈমানের সমস্যা হবে

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
জবাব
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম 


মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ

قُلْ أَرَأَيْتُمْ مَّا أَنْزَلَ اللهُ لَكُم مِّن رِّزْقٍ فَجَعَلْتُمْ مِّنْهُ حَرَاماً وَحَلاَلاً قُلْ اللهُ أَذِنَ لَكُمْ أَمْ عَلَى اللهِ تَفْتَرُونَ-

‘আপনি বলুন, আল্লাহ তা‘আলা তোমাদেরকে যে রূযী দান করেছেন, তন্মধ্যে তোমরা যে সেগুলির কতক হারাম ও কতক হালাল করে নিয়েছ, তা কি তোমরা ভেবে দেখেছ? আপনি বলুন, আল্লাহ কি তোমাদেরকে এতদ্বিষয়ে অনুমতি দিয়েছেন, নাকি তোমরা আল্লাহর নামে মনগড়া কথা বলছ’ (ইউনুস ৫৯)।
    
শরীয়তের বিধান হলো হারাম বা মাকরূহ কাজের শুরুতে বিসমিল্লাহ বলা হারাম বরং তা আল্লাহর সাথে ধৃষ্টতা প্রদর্শনের শামিল।
বিসমিল্লাহ বলার অর্থ উক্ত কাজে আল্লাহর সাহায্য ও বরকত কামনা করা। সুতরাং কেউ যদি আল্লাহর নিষিদ্ধ বা ঘৃণিত কাজে তার নিকট সাহায্য চায় বা বরকত কামনা করে তাহলে তা মহামহিম আল্লাহর সাথে বেয়াদবী করা হবে।

যেখানে হারাম কাজ করার আগে আল্লাহ তাআলার কথা স্বরণ করে সেখান থেকে দূরে সরে আসা আবশ্যক।
.
,
★হারাম কাজ করা,হারাম খাওয়ার ক্ষেত্রে বিধান হলোঃ
(০১) যদি উপহাস,ঠাট্রা করে বিসমিল্লাহ বলে,তাহলে এটি স্পষ্ট কুফরী।
(০২) যদি উপহাস বা ঠাট্রার নিয়ত না থাকে,তাহলে কাফের হবেনা,তবে গুনাহগার হবে।

আরো জানুনঃ  

★প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে দেখে দেখে অনলাইনে পরিক্ষা দেওয়ার শুরুতে বিসমিল্লাহ বলাটি জায়েজ হয়নি।
তবে এর কারনে তার ঈমান চলে যায়নি।
তাকে তওবা করতে হবে। 
    
কুরআন এর আয়াত ও হাদিস সম্বলিত বইয়ে ভুলবশত পা লাগলে আল্লাহর কাছে মাফ চেয়ে নিবে।
তওবা ইস্তেগফার করবে। 
,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে ঈমানের সমস্যা হবেনা।   

রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,
«إِنَّ اللَّهَ قَدْ تَجَاوَزَ عَنْ أُمَّتِي الْخَطَأَ ، وَالنِّسْيَانَ ، وَمَا اسْتُكْرِهُوا عَلَيْهِ»

“আমার উম্মতের হঠাৎ ঘটে যাওয়া ভুল, স্মরণ না থাকার কারণে ঘটে যাওয়া অন্যায় এবং জোরজবরদস্তি করে কৃত অপরাধকে ক্ষমা করে দেয়া হয়েছে।” [ইবনে মাজাহ: ২০৪৩; সহীহ ইবনে হিব্বান: ৭১৭৫, বায়হাকি-হাসান]
,
 আগামীতে আমাদের চলাফেরার ক্ষেত্রে তার জন্য সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি যেন, কোনোভাবেই আল্লাহর কালামের প্রতি অসম্মান প্রদর্শিত না হয়।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...