আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
349 views
in সুন্নাহ-বিদ'আহ (Sunnah and Bid'ah) by (14 points)
আসসালামু আলাইকুম। জন্মদিনে প্রতিবেশী বিরানী রান্না করেছে এবং আমাদের দিয়ে গেছে। আমরা তো জানি জন্মদিন পালন করা হারাম। তারা সেভাবে না বোঝায় রান্নাবান্না করে ফেলেছে। আমাদের বাসায় খাবার নিয়ে আসায় আমরা বুঝিয়ে বলেছি। তারা বলেছে সামনে থেকে আর করবে না। কিন্ত সমস্যা হলো বিরানী আমাদের বাসায় রেখে গেছে। এখন প্রশ্ন হলো এই বিরানী খাওয়া যাবে নাকি ফেলে দিতে হবে?

1 Answer

0 votes
by (589,260 points)


বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/518 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
দিবস পালন করা নাজায়েয ও হারাম।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/166
জন্মদিন পালন করা অমুসলিদের রীতিনীতি ও তাদের আবিস্কৃত বিষয়।সুতরাং জন্মদিন পালন করা কখনো জায়েয হবে না।

যদি কারো জন্মদিন উপলক্ষ্যে কিছু করতেই হয়, তাহলে সে যেন প্রতি সাপ্তাহের ঐ দিনে রোযা রাখে।
কেননা হাদীস শরীফে এসেছে,
রাসূলুল্লাহ সাঃ সোমবারে উনার জন্ম হিসেবে এবং সর্বপ্রথম কুরআন নাযিল হয় হিসেবে এবং এ দিন আল্লাহর সামনে বান্দাদের আ'মলসমূহ পেশ হয় হিসেবে এবং এ দিনে নবুওত প্রাপ্ত হয়েছেন হিসেবে রোযা রাখতেন।শুধু এদিন নয় বরং আ'মল পেশ হয় হিসেবে বৃহস্পতিবারে ও রোযা রাখতেন।

রাসূলুল্লাহ সাঃ এর সোমবারে রোযা রাখাকে কেন্দ্র করে জন্মদিন পালনের কোনো সুযোগ নেই।কেননা শুধু জন্ম হয়েছেন হিসেবে সেদিন রাসূলুল্লাহ সাঃ  রোযা রাখেন নি।বরং অনেকগুলো কারণে সেদিন রোযা রেখেছিলেন।

বিজাতীয় সংস্কৃতি হিসেবে জন্মদিন পালনের কোনো সুযোগ নেই।এবং এ হিসেবে কোনো অনুষ্টান মাহফিলেরও কোনো সুযোগ নেই।
এবং সে রকম অনুষ্টানে শরীক হওয়া ও জায়েয হবে না।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
জন্মদিন উপলক্ষ্যে কেউ কোনো অনুষ্টানের আয়োজন করলে, সেই অনুষ্টানে উপস্থিত হওয়া কখনো জায়েয হবে না।কিন্তু যদি কেউ কোনো হাদিয়া বা খাবার ঘরে পাঠিয়ে দেয়,তাহলে কি করতে হবে?
এ সম্পর্কে বলা যায় যে,প্রথমে তাকে বুঝাতে হবে যে,এটা ইসলামে নিষিদ্ধ কাজ।এরকম অনুষ্টানে অংশগ্রহণ করতে ও ইনজয় করতে ফুকাহায়ে কেরামগণ নিষেধ করেছেন।তবে যেহেতু সে হাদিয়া দিয়ে দিচ্ছে,হাদিয়া গ্রহণ রাসূলুল্লাহ সাঃ এর সুন্নত, তাই গ্রহণ করে নেয়াই উচিৎ।তবে যথা সম্ভব সেই খাবারকে ভক্ষণ না করাই উচিৎ।বরং পশুপাখিকে দিয়ে দেয়াই উচিৎ।তবে কেউ খেয়ে নিলে, তাতে কোনো গোনাহ হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...