আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
257 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (35 points)
edited by
১।আমার এক বন্ধু তার জন্মদিনে আমাকে দাওয়াত দেয় ও আমি দাওয়াত গ্রহণ করি।দাওয়াত খাওয়া কি আমার জন্য হারাম হবে?

২।নাজায়েজ ও হারাম কি একই বিষয়?

৩।কেউ হারাম খেলে ৪০ দিন ইবাদত কবুল হয় না।কথা টা কি সত্য?

৪।কারও জন্মদিনে বা মৃত্যুবার্ষিকীতে খাবার খেলে ৪০ দিন কবুল হবে না?কথাটা কি সঠিক?

৫।আগে জন্মদিন, চল্লিশা, মৃত্যুবার্ষিকীতে খানা খেয়ে থাকলে গুনাহ মাফ এর জন্য এখন কি করা উচিত?

৬।কারো হারাম ও হালাল দুই ধরনের আয় আছে।সে কোন টাকা থেকে আমাকে দিচ্ছে জানা নেই।এমতাবস্থায় তার সাথে শেয়ারে ব্যবসা করা যাবে কি?তার থেকে ঋণ নেওয়া যাবে কি?তার সাথে কুরবানি দেওয়া যাবে কি?

1 Answer

0 votes
by (717,080 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/166  নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
সুতরাং বিশেষ কোন দিন-তারিখ নির্ধারণ করে 
"হৃদরোগ দিবস"
"ডায়াবেটিস দিবস"
"হিজাব দিবস"
"মা দিবস"
ও নববর্ষ 
ইত্যাদিউপালন করা কখনো বৈধ হবে না।
যদিও কাজটি ভালো হোক এবং জনসচেতনতার স্বার্থে হোক না কেন।
কেননা এগুলো কাজ ভালো হলেও এতে অনেক খারাবী রয়েছে।
যেমনঃ- এই সমস্ত দিবসকে ঈদের স্থানে নিয়ে আসা,কাফিরদের অনুসরণ, নারী-পুরুষের অবাধ বিচরণের সুযোগ সৃষ্টি সহ মুসলিম সমাজে বিজাতীয় সংস্কৃতির অনুপ্রবেশ ইত্যাদি নানান সমস্যা এতে রয়েছে।
তাই দিবস পালনকে  শরীয়ত কখনো সমর্থন দিতে পারেনা।
তবে জনসচেতনতার স্বার্থে দিন-তারিখ ঠিক না করে অন্য কোনো প্রদেক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে।(শেষ)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) জন্মদিন উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্টানে শরীক হওয়া আপনার জন্য জায়িয হবে না। 
(২) নাজায়েয বলা হয়, কোনো কাজের ব্যাপারে। আর হারাম বলা হয় খাবারের ক্ষেত্রে। তবে উভয়ের অর্থ বা উদ্দেশ্য একই। তথা বিধাতা কর্তৃক নিষিদ্ধ। 
(৩) হারাম খেলে ইবাদত কবুল হয় না অর্থ হল, ইবাদতের বরকত কমে যায়। তবে ৪০ দিনের নির্দিষ্ট করণ কোনো হাদীস দ্বারা প্রমাণিত নয়। এবং কবুল না হওয়ার অর্থ আদায় না হওয়া নয়, বরং কবুল না হওয়ার অর্থ বরকত কমে যাওয়া। 
(৪) কারও জন্মদিনে বা মৃত্যুবার্ষিকীতে খাবার খেলে ৪০ দিন ইবাদত কবুল হবে না। এটাকে এভাবে বলা উচিৎ হবে না। বরং এভাবে বলা যায় যে, জন্মদিনে বা মৃত্যুবার্ষিকী অনুষ্টানে শরীক হওয়া জায়েয হবে না। উক্ত খাবার খাওয়া হারাম নয়,তবে না খাওয়া উত্তম। 
(৫) জন্মদিন, চল্লিশা, মৃত্যুবার্ষিকীতে খানা খেয়ে থাকলে কোনো সমস্যা নেই।তবে উক্ত অনুষ্টান সমূহে শরীক হওয়া যাবে না।উপভোগ করা যাবে না।
(৬) তার কাছ থেকে ঋণ গ্রহণ করা যাবে।তার সাথে শেয়ারে ব্যবসা করাও যাবে।তবে তার সাথে শরীক হয়ে কুরবানি দেয়া যাবে না।জায়েয হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...