بسم الله الرحمن الرحيم
জবাব
وَعِندَهُ مَفَاتِحُ
الْغَيْبِ لَا يَعْلَمُهَا إِلَّا هُوَ ۚ وَيَعْلَمُ مَا فِي الْبَرِّ وَالْبَحْرِ
ۚ وَمَا تَسْقُطُ مِن وَرَقَةٍ إِلَّا يَعْلَمُهَا وَلَا حَبَّةٍ فِي ظُلُمَاتِ
الْأَرْضِ وَلَا رَطْبٍ وَلَا يَابِسٍ إِلَّا فِي كِتَابٍ مُّبِينٍ
তাঁর কাছেই অদৃশ্য জগতের চাবি রয়েছে। এ গুলো তিনি ব্যতীত কেউ জানে না। স্থলে ও
জলে যা আছে, তিনিই জানেন। কোন
পাতা ঝরে না; কিন্তু তিনি তা জানেন। কোন শস্য কণা মৃত্তিকার
অন্ধকার অংশে পতিত হয় না এবং কোন আর্দ্র ও শুস্ক দ্রব্য পতিত হয় না; কিন্তু তা সব প্রকাশ্য গ্রন্থে রয়েছে।(সূরা আনআম, আয়াত
৫৯)
وَهُوَ الَّذِي جَعَلَ
لَكُمُ النُّجُومَ لِتَهْتَدُوا بِهَا فِي ظُلُمَاتِ الْبَرِّ وَالْبَحْرِ ۗ قَدْ
فَصَّلْنَا الْآيَاتِ لِقَوْمٍ يَعْلَمُونَ
তিনিই তোমাদের জন্য নক্ষত্রপুঞ্জ সৃজন করেছেন যাতে তোমরা স্থল ও জলের অন্ধকারে
পথ প্রাপ্ত হও। নিশ্চয় যারা জ্ঞানী তাদের জন্যে আমি নির্দেশনাবলী বিস্তারিত বর্ণনা
করে দিয়েছি। (সূরা আনআম, আয়াত
৯৭)
আল্লাহ ছাড়া অন্য কেউ গায়েবি খবর জানে বলে বিশ্বাস করলে ইমান থেকে খারিজ হয়ে যাওয়ার
বিপদ অনিবার্য হয়ে উঠতে পারে। আল্লাহ তারকারাজিকে আকাশ-মন্ডলীর সৌন্দর্য ও সুশোভনতার
উপকরণ, গোপনে আসমানি তথ্য সংগ্রহকারী
শয়তান দলকে বিতাড়িত করার জন্য তাদের প্রতি ক্ষেপণীয় অস্ত্র (উল্কা) স্বরূপ এবং অন্ধকারে
জল ও স্থলপথের পথিক -দের জন্য পথনির্দেশক ও দিক-নির্ণায়কস্বরূপ সৃষ্টি করেছেন।,
সূরা নাহল আয়াত ১৬, সূরা সাফফাত, আয়াত ৬-১০, সূরা মুলক, আয়াত ৫।
পৃথিবীর মঙ্গলামঙ্গল ঘটনাঘটনের সঙ্গে তাঁর এই সৃষ্টি বিচিত্রার কোনো সম্পর্ক নেই।
তাই ইমানদাররা জ্যোতিষবিদ্যার শুভাশুভ বিচারে বিশ্বাসী নয়। বৃষ্টি-বর্ষা ও ফল-ফসলের
বিধাতাও আল্লাহই। কোনো রাশিচক্রের বলে যেমন বৃষ্টি হয় না তেমন ফসল ফলে না। সবকিছু তাঁরই
ইঙ্গিতে ঘটে, মানুষ অনুমান ও ধারণা
করে মাত্র।
কারও হস্তরেখা দেখে ভাগ্য ও ভবিষ্যৎ নিরূপণ, দৈহিক কোনো লক্ষণ যেমন, টেরা চক্ষু,
জোড়া ভুরু, কূপগাল, ছয় আঙ্গুল,
তিল, জড়–ল প্রভৃতি দেখে ভাগ্য বা চরিত্র বিচার, আবজাদি হিসাব জুড়ে, ফালনামা খুলে, শুভাশুভের অক্ষর বা হরফ নির্দিষ্ট করে চক্ষু বুজে হাত দিয়ে, ফালকাঠি টেনে বা পাখি উড়িয়ে ভাগ্য-ভবিষ্যৎ বা যাত্রাকর্ম ইত্যাদির শুভাশুভ
নির্ধারণ জাহেলিয়াতি ও মূর্খতা। ইসলাম এসব সমর্থন করে না। সূরা মায়েদা, আয়াত ৯০।
মুসলিম এসবে বিশ্বাস করে না। তদনুরূপ হাত চালিয়ে, বদনা ঘুরিয়ে সাপ দেখা, চোর ধরা বা কিছু বলাও অনুমান মাত্র। বলা বাহুল্য, হাত
গোনা, ভাগ্য গণনা ও ভাগ্যরাশির জ্যোতিষীর পেশার উপার্জন ইসলামে
বৈধ নয়। প্রকাশ থাকে যে, দিনপঞ্জিকার সূর্যোদয়, সূর্যাস্ত, সূর্যগ্রহণ, চন্দ্রগ্রহণ
প্রভৃতি হিসাবের জ্যোতিষ অবৈধ নয়।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই!
প্রশ্নেল্লিখিত ছুরতে মানুষের নাম ও মায়ের নাম দিয়ে বুঝ করা ও ভবিষ্যতের কথা বলে
দেওয়া ইত্যাদী ইসলামে সম্পূর্ণ নিষেধ । এর কোন ভিত্তি শরীয়তে নেই। কারণ, সব ধরনের ভূত-ভবিষ্যৎ ও অদৃশ্যের খবর একমাত্র
আল্লাহই জানেন।এছাড়া নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে গণকের কাছে যাবে এবং তার কথা বলবে ও গণকের কথা সত্যি বলবে তার ৪০ দিনের
নামাজ কবুল হবে না।আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে এসব কুসংস্কার ও গর্হিত কাজ থেকে হেফাজত
করুন।