আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
72 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (66 points)
আসসালামু আ'লাইকুম
১.আমার মা,বাবার কিনে দেয়া কিছু জামাকাপড় এবং ব্যবহৃত জিনিসপত্র  যেগুলো আমি গরীব মানুষদের দিতে চাই। কিন্তু আমার মা যদি সেগুলো দিতে নিষেধ করেন তাহলে তার অজান্তে কি দেয়া যাবে না? তারা আমাকে কিনে দিয়েছে । কিন্তু আমার মনে হয় আমার প্রয়োজনের চেয়ে অতিরিক্ত জামাকাপড় রয়েছে আর সেগুলো আমি মানুষ কে দিতে চাই।
২.ফজরের নামাজ শেষ করে যদি দেখি ১/২ মিনিট আগে ওয়াক্ত শেষ হয়ে গিয়েছে তাহলে কি সে নামাজ আবার পড়তে হবে?
৩.আমি এক বোনের কাছ থেকে আমার এইচএসসি পরিক্ষার সময় টেস্ট পেপার নিয়েছিলাম।টেস্ট পেপার মুলত বিগত কয়েক বছরের প্রশ্ন নিয়ে তৈরি।
তো সেই আপুর পরিক্ষার পর তার টেস্ট পেপার আমি নিয়েছিলাম।তার আর এটার প্রয়োজন নেই কারণ সে পরিক্ষা অলরেডি দিয়ে দিয়েছে। আর ভার্সিটি তে ভর্তি ও হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু  আমার পরিক্ষার পর আমার কাছে অন্য আরেকজন  hsc
পরিক্ষার্থী টেস্ট পেপার চাইলে আমি সেই আপুর টেস্ট পেপার টা তাকে দিয়েছিলাম। আর আপুর বই গুলো ফেরত দিতে গিয়ে তার মাকে বলে এসেছিলাম যে আপুর টেস্ট পেপার টা আরেকজন কে দিয়েছি। আপু বাড়িতে ছিলেন না জন্য তার মাকে বলে এসেছিলাম যে তার মেয়ের টেস্ট পেপার আরেকজন কে দিয়েছি। এতে কি সেই আপুর হক নষ্ট হয়েছে?

1 Answer

0 votes
by (63,560 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

জবাবঃ

তিন সময়ে নামাজ পড়তে হাদীস শরীফে নিষেধ করা হয়েছে। বর্ণিত হয়েছে-

عَنْ عَبْدِ اللَّهِ الصُّنَابِحِيِّ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " الشَّمْسُ تَطْلُعُ وَمَعَهَا قَرْنُ الشَّيْطَانِ فَإِذَا ارْتَفَعَتْ فَارَقَهَا فَإِذَا اسْتَوَتْ قَارَنَهَا فَإِذَا زَالَتْ فَارَقَهَا فَإِذَا دَنَتْ لِلْغُرُوبِ قَارَنَهَا فَإِذَا غَرَبَتْ فَارَقَهَا " . وَنَهَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنِ الصَّلاَةِ فِي تِلْكَ السَّاعَاتِ .

আবদুল্লাহ সুনাবিহী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনসুর্য শয়তানের দুই শিঙের মধ্য দিয়ে উদিত হয়। যখন সুর্য উপরে উঠেতখন শয়তান তা থেকে দুরে সরে যায়। আবার যখন সুর্য মাথার উপর আসেতখন শয়তান এসে মিলিত হয়। আবার ঢলে পড়লে পৃথক হয়ে যায়। আবার যখন সুর্য অস্তগমনের নিকটবর্তী হয়তখন শয়তান মিলিত হয় এবং যখন সুর্য অস্তমিত হয়তখন শয়তান সরে যায়। এ জন্যই রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ তিন সময় সালাত আদায় করতে নিষেধ করেছেন ( সুনান আন-নাসায়ী ,৫৬০)

 

অন্য হাদীসে এসেছে-

عَنْ عُقْبَةَ بْنَ عَامِرٍ الْجُهَنِيَّ، يَقُولُ ثَلاَثُ سَاعَاتٍ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَنْهَانَا أَنْ نُصَلِّيَ فِيهِنَّ أَوْ نَقْبُرَ فِيهِنَّ مَوْتَانَا حِينَ تَطْلُعُ الشَّمْسُ بَازِغَةً حَتَّى تَرْتَفِعَ وَحِينَ يَقُومُ قَائِمُ الظَّهِيرَةِ حَتَّى تَمِيلَ وَحِينَ تَضَيَّفُ الشَّمْسُ لِلْغُرُوبِ حَتَّى تَغْرُبَ .

উকবা ইবনু আমির জুহানী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনতিনটি সময় রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের সালাত আদায় করতে ও মৃত ব্যাক্তিকে কবরস্থ করতে নিষেধ করেছেন (১) যখন সুর্য আলোকিত হয়ে উদয় হয়যাবৎ না ঊর্ধাকাশে উঠে; (২) যখন দ্বিপ্রহর হয়যাবৎ না সুর্য হেলে পড়ে আর (৩) যখন সুর্য অস্ত যাওয়ার উপক্রম হয়যাবৎ না সম্পূর্ণ অস্ত যায়। ( সুনান আন-নাসায়ী ,৫৬১)

 

*তাশাহুদ পরিমান বৈঠক করার পর হুদুস অথবা নামাজ ভাঙ্গার কোনো কারণ সংঘটিত হলে উক্ত নামাজ সহীহ হয়ে যাবে।

হাদীস শরীফে এসেছে-

عن عليِّ بن أبي طالب - رضي الله عنه - إذا جلسَ قدرَ التشهدِ ثم أحدثَ تمَّتْ صلاتُه.

যদি তাশাহহুদ পরিমাণ বৈঠক করে অতঃপর কোন হুদুস সংঘটিত হয় তাহলে তার নামায পূর্ণ হয়ে যাবে। (আল-খুলাসা১/৪৫০)

 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

 

১. আপনার পিতা মাতাকে না জানিয়ে দেওয়া ঠিক হবে না। কারণ, পরবর্তীতে তারা জানতে পারলে খুব কষ্ট পাবে। যেহেতু তারা দিতে নিষেধ করেছেন। তাই আপনি পিতা মাতাকে আরো বুঝাবেন যে, আপনার অনেকগুলো জামা। কিছু গরীব দুঃখীদের দিয়ে দিলে অনেক অনেক সওয়াব পাওয়া যাবে।

২. প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে তাশাহুদ পরিমান বৈঠক করার পর নিষিদ্ধ সময় শুরু হলে (যা আপনার বর্ণনার দ্বারা বোঝা যায় এমনটিই হয়েছে )তাহলে আপনার নামাজ সহীহ হয়ে গেছে। পুনরায় আর কাযা করা লাগবে না।

৩. আপনি সেই বোনকে অবশ্যই জানাবেন যার টেস্ট পেপার আপনি নিয়েছিলেন। আর তাকে না জানিয়ে অন্য কাউকে দেওয়া ঠিক হয়নি। কারণ, এটা তার, আপনার নয়। তবে এখন যেহেতু দিয়েই ফেলেছেন তাই আপনি ঐ বোনকে জানাবেন। সে যদি রাজী থাকে তাহলে তো ভালো কথা। অন্যথায় তাকে ক্ষতি পূরণ হিসেবে উক্ত টেস্ট পেপারের মূল্য দিয়ে দিবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...