আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
147 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (80 points)
edited by
১)একটা জিনিস ভবিষ্যতে হবে কি না তা কেউ নিশ্চিত না কিন্তু কেউ যদি ধারণা করে নিশ্চিত বলে বা মজা করে এমন বলে যে

"আর যাইহোক তারা সেখানে যাবেই দেইখেন"

যদিও সে জানেনা না ভবিষ্যতে এমন হবে নাকি।এতে কি ঈমান চলে যাবে?,

২)পা ধরে সালাম করলে কি ঈমান থাকবে?

৩) কারো গায়ে পা লাগলে সেখানে হাত দিয়ে স্পর্শ করে হাতে চুমু দেয় এরকম সমাজে প্রচলিত।এটা কি উচিৎ?

একজনের পায়ে পা লাগায় আরেকজন হাত দিয়ে পা স্পর্ষ করে হাতে চুমু খেলে কি ঈমান থাকবে?

৪)যদি কোনো কারণে ঈমান ভঙ্গ হয়ে যায় তা দহরানোর উপায় কি?শুধু কালেমা শাহাদত পড়লেই হবে?

৫)কেউ যদি এমন বলে যেই এই ফ্যানের নিচে শুবে সেই বিদেশ যায়।অমুক আর অমুক এখানে শুইতো দুইজনই বিদেশ থাকে। এটা কেবল মজা করে বলছে কিন্তু সে পূর্ন বিশ্বাস করে যে আলাহ যাকে তৌফিক দিবেন সেই বিদেশ যেতে পারবে। এতে কি ঈমান থাকবে

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাবঃ-
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম


(০১)
না,তার ঈমান চলে যাবেনা।

(০২)
হ্যাঁ উক্ত ব্যাক্তির ঈমান থাকবে। 

★পা ধরে সালামের মাসয়ালা জেনে নেইঃ

আদাবুল মুফরাদ গ্রন্থে এসেছেঃ
  
975 – حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ قَالَ: حَدَّثَنَا مَطَرُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْأَعْنَقُ قَالَ: حَدَّثَتْنِي امْرَأَةٌ مِنْ صَبَاحِ عَبْدِ الْقَيْسِ يُقَالُ لَهَا: أُمُّ أَبَانَ ابْنَةُ الْوَازِعِ، عَنْ جَدِّهَا، أَنَّ جَدَّهَا الْزَّارِعَ بْنَ عَامِرٍ قَالَ: قَدِمْنَا فَقِيلَ: ذَاكَ رَسُولُ اللَّهِ، فَأَخَذْنَا بِيَدَيْهِ وَرِجْلَيْهِ نُقَبِّلُهَا

[قال الشيخ الألباني] :  ضعيف الإسناد

ইমাম বুখারী রহঃ এর কাছে মুসা বিন ইসমাঈল বলেন, তার কাছে মাতার বিন আব্দুর রহমান আলআনাক বলেছেন, তার কাছে উম্মে আবান বলেছেন, তিনি তার দাদা থেকে বর্ণনা করেছেন, তার দাদা ওয়াযি বিন আমির বলেন, আমি একদা রাসূল সাঃ এর খেদমতে গিয়া হাজির হলাম। আমাকে বলা হল ইনিই হচ্ছেন আল্লাহর রাসূল। আমরা তখন তাঁর হস্তদয় ও পদদ্বয় ধরিয়া চুমু খেলাম। {আলআদাবুল মুফরাদ, ইসলামী ফাউন্ডেশন অনুবাদের হাদীস নং-৯৮৭, আরবী কিতাবের হাদীস নং-৯৭৫}


★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,   
পায়ে ধরা সালাম,কদমবুচি সংক্রান্ত মাসআলাটি নিয়ে বিজ্ঞ ফুক্বাহায়ে কেরাম এবং মুহাদ্দিসীনে কেরামের মাঝে মতভেদ রয়েছে।

একদল বলেছেন সম্মানার্থে জায়েজ আছে পদচুম্বন করা। কিন্তু তারা সাথে সাথে এ শর্তারোপ করেছেন যে, যেন চুমু খেতে গিয়ে রুকুর সূরত বা সেজদার সূরত না হয়ে যায়। যদি রুকু বা সেজদার সূরত হয়ে যায়, তাহলে তা জায়েজ হবে না। {আলমুজতাবা-৪/২০৫, আলমুহীতুল বুরহানী-৮/১১৮, ফাতাওয়া আলমগীরী-৫/৩৬৯}

আরেক দল ফক্বীহ ও মুহাক্কিকীনদের মতে তা জায়েজ নয়। কারণ বর্তমান প্রচলিত কদমবুচিতে রুকুর হালাত এবং সেজদার হালাত হওয়া স্পষ্ট। সেই সাথে এটি বিধর্মীদের প্রতীক। তাই তা হারাম।

আমরা বর্তমান পরিস্থিতিতে দ্বিতীয় মতটিকেই প্রাধান্য দিয়েছি। কারণ কদমবুচি করা এ উপমহাদেশে মৌলিকভাবে হিন্দুদের রুসুম। আর কদমবুচি করতে গিয়ে রুকু বা সেজদার হালাত তৈরী হয়েই যায়। আর যারাও কদমবুচিকে জায়েজ বলেছেন তাদের মতেও রুকু সেজদার হালাত হয়ে গেলে কদমবুচি করা জায়েজ নয়।

উপরোক্ত কারনে বর্তমান প্রচলিত কদমবুচিকে নাজায়েজ বলা হয়।

★সুতরাং সতর্কতামূলক প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আমরা বলবো যে কদমবুচি করা যাবেনা।   

পায়ে ধরে সালাম করা সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ 

(০৩)
এটি কুঃসস্কার।বিধায় তাহা জায়েজ নেই।
,
(০৪)
পূর্বের ইসলাম বিরোধী কাজ থেকে ফিরে আসতে হবে,কালেমায়ে শাহাদাত পাঠ করবে।
,
(০৫)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে ঈমানের সমস্যা হবেনা।  


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...