উত্তর
بسم الله الرحمن الرحيم
۔শরীয়তের বিধান অনুযায়ী ইস্তিহাযার হুকুম সারাক্ষণ নাক দাঁত দিয়ে রক্ত পড়া, সারাক্ষন পেশাব নির্গত হওয়া,বা সারাক্ষন বায়ু বের হওয়া, মাযুর ব্যক্তির মতো।
,
তাই ইস্তিহাযার সময় নামাজ রোজা আদায় করতে হবে।
এই সময়ে উক্ত মহিলা তাওয়াফ, সহবাস সহ সব কিছুই করতে পারবে। শুধু প্রত্যেক নামাজে নতুন করে অজু করবে। সেই অজু দিয়ে এক ওয়াক্তের ভিতর তিলাওয়াত ও নফল নামাজ যত ইচ্ছা আদায় করতে পারবে যতক্ষণ না অজু ভঙ্গের অন্য কোনো কারণ পাওয়া যায়। তবে কখনো রক্ত এলে কখনো বন্ধ থাকলে ওয়াক্তের ভিতর বন্ধ হওয়ার সময়টায় নামাজ আদায় করে নিবে।۔
মুস্তাদরাকে হাকিম গ্রন্থে হাদীস আছেঃ
عن عبد اللّٰہ بن عمرو رضي اللّٰہ عنہ قال: قال رسول اللّٰہ صلی اللّٰہ علیہ وسلم: تنتظر النفساء أربعین لیلۃ، فإن رأت الطہر قبل ذٰلک فہي طاہر، وإن جاوزت الأربعین فہي بمنزلۃ المستحاضۃ تغتسل وتصلي، فإن غلبہا الدم توضأت لکل صلاۃ۔ (المستدرک للحاکم، کتاب الطہارۃ ۱؍۲۶۵۱ رقم: ۶۲۵)
হযরত আব্দুল্লাহ বিন আমর রাঃ থেকে বর্ণিত, রাসুল সাঃ বলেন,,,ইস্তেহাযা ওয়ালা মহিলা গোসল করে নামাজ পড়বে।
রক্ত যদি এরপরেও পড়তে থাকে,তাহলে সে প্রত্যেক নামাজের (ওয়াক্তের) জন্য অযু করে নিবে।
,
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত মহিলার জন্য সেই নামাজ গুলো আদায় করা জরুরী ছিলো,যেহেতু সেই মুহুর্তে উক্ত মহিলা সেটা ইস্তেহাযা কিনা ধরতে পারেনি,তাই সেই মহিলা এখন ঐ নামাজগুলোর কাজা আদায় করে নিবে।
অন্যথায় সে এই নামাজ আদায় না করার কারনে গুনাহগার হবে।
আল্লাহর সামনে তাকে জবাবদিহিতার সম্মুখীন হতে হবে।