আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
497 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (48 points)
শায়খ আব্দুর রাজ্জাক বিন ইউসুফ,  তার এক বক্তব্য বলেছেন কোন বাড়ি ওয়ালা যদি নাপিত কে ভাড়া দেয়, আর সেই ভাড়ার টাকায় খাবার কিনে খায় তাহলে তার ইবাদত কবুল হবে না। কারন নাপিত দাড়ি কামায়, দাড়ি কামানো পাপ, আর বাড়িওয়ালা নাপিত কে ঘর ভারা দিয়ে পাপ কাজে সহযোগিত করেছেন। তাই নাপিত এর ভাড়ার খাবার খেলে ইবাদত হবে না


এই কথা কতটুকি?  আসলে কিই হবে না? বিস্তারিত জানতে চাই

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
https://www.ifatwa.info/25272 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,

إِذَا اسْتَأْجَرَ ذِمِّيٌّ دَارًا مِنْ مُسْلِمٍ عَلَى أَنَّهُ سَيَتَّخِذُهَا كَنِيسَةً أَوْ حَانُوتًا لِبَيْعِ الْخَمْرِ، فَالْجُمْهُورُ (الْمَالِكِيَّةُ وَالشَّافِعِيَّةُ وَالْحَنَابِلَةُ وَأَصْحَابُ أَبِي حَنِيفَةَ) عَلَى أَنَّ الإِْجَارَةَ فَاسِدَةٌ؛ لأَِنَّهَا عَلَى مَعْصِيَةٍ. وَانْفَرَدَ أَبُو حَنِيفَةَ بِالْقَوْل بِجَوَازِ ذَلِكَ؛ لأَِنَّ الْعَقْدَ وَارِدٌ عَلَى مَنْفَعَةِ الْبَيْتِ مُطْلَقًا، وَلاَ يَتَعَيَّنُ عَلَى الْمُسْتَأْجِرِ اتِّخَاذُهَا لِتِلْكَ الْمَعْصِيَةِ. وَفِي هَذَا التَّعْلِيل مَا فِيهِ.
أَمَّا إِذَا اسْتَأْجَرَ الذِّمِّيُّ دَارًا لِلسُّكْنَى مَثَلاً، ثُمَّ اتَّخَذَهَا كَنِيسَةً، أَوْ مَعْبَدًا عَامًّا، فَالإِْجَارَةُ انْعَقَدَتْ بِلاَ خِلاَفٍ. وَلِمَالِكِ الدَّارِ، وَلِلْمُسْلِمِ عَامَّةً، مَنْعُهُ حِسْبَةً، كَمَا يُمْنَعُ مِنْ إِحْدَاثِ ذَلِكَ فِي الدَّارِ الْمَمْلُوكَةِ لِلذِّمِّيِّ.
যদি কোনো অমুসলিম কোনো মুসলমানের কাছ থেকে ঘর বা দোকান ভাড়া নেয়,মদ বিক্রির জন্য।তাহলে মালিকি মাযহাব,শা'ফেয়ী মাযহাব এবং হাম্বলী মাযহাব ও ইমাম আবু হানিফার ছাত্রদের মতে উক্ত ইজারা ফাসিদ বলে গণ্য হবে।শুধুমাত্র ইমাম আবু হানিফা রাহ বলেন,উক্ত ইজারা চুক্তি জায়েয বলে গণ্য হবে।কেননা, উক্ত চুক্তি ঘর থেকে ফায়দা গ্রহণের উপর হয়েছে,সুতরাং তা নাজায়েয হবে না।কিন্তু যদি কোনো অমুসলিম কোনো মুসলমানের কাছ থেকে বসবাসের নিমিত্তে ভাড়া দেয়,অতঃপর ঐ অমুসলিম সেই ঘরকে গির্জা বা মন্দির বানায়,তাহলে সমস্ত ফুকাহায়ে কেরামের ঐক্যমতে ঐ ইজারা চুক্তি সহীহ বলে গণ্য হবে।ঘরের মালিক বা এলাকার সমস্ত মুসলিমের তখন একান্ত দায়িত্য হয়ে যাবে,গির্জাকে থামানো যেভাবে কোনো মুসলিম এলাকায় প্রথম থেকেই গির্জা নির্মাণ থামানো সবার দায়িত্ব ও কর্তব্য।(মাওসূ‘আতুল ফিক্বহিয়্যাহ ১/২৮৬)

كشف الحقائق ١ / ٣٩٦، والبدائع ٤ / ١٧٦، ١٨٩، وابن عابدين ٦ / ٣٤، والمغني ٦ / ١٣٦، وكشاف القناع ٣ / ٤٦٣

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
হানাফি ফিকহ অনুযায়ী নাপিতকে ঘড় ভাড়া দেওয়া বৈধ। এবং বাড়াও বৈধ।
বৈধ হলেও এছাড়া অন্য কাজের জন্য ভাড়া দেওয়া উত্তম।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...