আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
323 views
in সালাত(Prayer) by (10 points)
reopened by
১. নামাজ পড়ার সময় কোন আয়াত মিস গেলে করণীয় কি? আয়াত ভুলে গেলে সেক্ষেত্রে করণীয় কি?
২. জামাতে নামাজ পড়ার সময় কোন আয়াত মিস হলে ইমাম যদি খেয়াল না করে এবং মুত্তাকি যদি নামাজ চলাকালীন লোকমা না দেয় কিন্তু নামাজের শেষে ইমামকে জানায় সেক্ষেত্রে করণীয় কি? নামাজ হয়ে যাবে? নাকি পুনরায় পড়তে হবে?

৩. জামাতের শেষ বৈঠকে উপস্থিত হলে কি জামাতে নামাজের সওয়াব পাওয়া যাবে? এমন পরিস্থিতিতে  কেউ যদি নামাজ শেষের অপেক্ষা করে আলাদা জামাত করে নেয় সেটা কি উচিৎ হবে?

1 Answer

+1 vote
by (572,970 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে শরীয়তের বিধান হলো যদি সুরা ফাতেহার ক্ষেত্রে আয়াত বাদ যায়,তাহলে সেই আয়াত পড়া যেহেতু জরুরি, তাই এক্ষেত্রে সেই আয়াত বাদ দিয়ে নামাজ শেষ করলে নামাজ সম্পূর্ণ হবেনা।
,
আর যদি অন্য কোনো সুরার ক্ষেত্রে এমনটি হয়ে থাকে,তাহলে এতে নামাজের কোনো সমস্যা হবেনা।

(০২)
নামায ফাসিদ বা মাকরূহ হবে এমন কোন কাজ ইমাম যদি ভুলে করতে থাকে, তখন মুক্তাদী ইমামকে লুকমা দেয়া জরুরী।
আর যদি ভুলটি এমন না হয়,যা দ্বারা নামাজ ফাসিদ বা মাকরুহ হবেনা,তাহলে লুকমা দেওয়া জরুরি নয়। 

রাসূল সাঃ নামাযে ভুল করলে পিছনে থাকা সাহাবীগণ লুকমা দিয়েছেন। 

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ: أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ انْصَرَفَ مِنَ اثْنَتَيْنِ، فَقَالَ لَهُ ذُو اليَدَيْنِ: أَقَصُرَتِ الصَّلاَةُ، أَمْ نَسِيتَ يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَصَدَقَ ذُو اليَدَيْنِ» فَقَالَ النَّاسُ: نَعَمْ، فَقَامَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَصَلَّى اثْنَتَيْنِ أُخْرَيَيْنِ،

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ একদা [চার রাকাত বিশিষ্ট নামাযে] দুই রাকাত পড়ে সালাম ফিরিয়ে ফেললেন। তখন যুল ইয়াদাইন রাঃ বলেলনঃ নামায কি কমে গেছে নাকি আপনি ভুলে গেছেন হে আল্লাহর রাসূল? তখন রাসূল সাঃ বললেনঃ যুল ইয়াদাইন কি সত্য বলছে? তখন সাহাবাগণ বললেনঃ হ্যাঁ, তখন রাসূল সাঃ দাঁড়িয়ে বাকি দুই রাকাত পড়লেন।[বুখারী, হাদীস নং-৭১৪]

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে শরীয়তের বিধান হলো যদি সুরা ফাতেহার ক্ষেত্রে আয়াত বাদ যায়,তাহলে সেই আয়াত পড়া যেহেতু জরুরি, তাই এক্ষেত্রে সেই আয়াত বাদ দিয়ে নামাজ শেষ করলে নামাজ সম্পূর্ণ হবেনা।
তাই লুকমা দিতেই হবে।
,
আর যদি অন্য কোনো সুরার ক্ষেত্রে এমনটি হয়ে থাকে,তাহলে এতে নামাজের কোনো সমস্যা হবেনা।
তাই লুকমা দিতে হবেনা।
নামাজ শেষে ইমামকে জানাতে হবেনা,জানালেও কিছু হবেনা।
নামাজ হয়ে যাবে।
বিস্তারিত জানুনঃ   
,
(০৩)
জামাতের শেষ বৈঠকে উপস্থিত হলে জামাতে নামাজের সওয়াব পাওয়া যাবে।
,
এমন পরিস্থিতিতে  কেউ যদি নামাজ শেষের অপেক্ষা করে আলাদা জামাত করে নেয় সেটা উচিৎ হবেনা।
দেশের সাধারণ মসজিদ যেগুলোতে ইমাম মুয়াজ্জিন নির্দিষ্ট, এখানে ২য় জামাত করা মাকরুহে তাহরিমি হবে।   


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...