উত্তরঃ
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
যে ব্যাক্তি নবী দাবী করে শরীয়তের বিধান অনুযায়ী সে মুরতাদ যিনদিক।
সে যদি তওবা না করে, তাহলে ইসলামী শরীয়তে তার একমাত্র শাস্তি হলো মৃত্যুদন্ড।
ইমাম আবু হানীফা রহঃ এবং ইমাম শাফেয়ী রহঃ এর মতানুসারে মুরতাদকে হত্যা করবে রাষ্ট্রপ্রধান বা তার প্রতিনিধিরা। কিন্তু সাথে সাথে একথাও লিখেছেন যে, যদি কোন সাধারণ মানুষ মুরতাদকে হত্যা করে ফেলে তাহলে তার উপর কোন শাস্তি আসবে না। কেননা মুরতাদ হওয়ার কারণে লোকটি প্রথমেই তার রক্তকে অন্যের জন্য হালাল করে দিয়েছে।
বাদায়েউস সানায়েতে বলা হয়েছে-
إن قتله إنسان قبل الاستتابة يكره له ذلك ولا شيء عليه لزوال عصمته بالردة (بدائع الصنائع، كتاب السير، فصل وأما بيان أحكام المرتدين)
যদি তাকে কেউ হত্যা করে তওবা করার আগেই তাহলে কাজটি মাকরূহ হলেও হত্যাকারীর উপর কোন কিছু আবশ্যক হবে না। কেননা মুরতাদ হওয়ার কারণে লোকটি প্রথমেই তার রক্তকে অন্যের জন্য হালাল করে দিয়েছে। {বাদায়েউস সানায়ে-৭/১৩৪}
তবে বর্তমানে ওলামায়ে কেরাম এমতই পোষণ করেন যে, খতমে নবুয়ত অস্বীকার করে যে ব্যাক্তি মিথ্যা নবুয়তের দাবী করবে,তৌহিদী জনতা রাষ্ট্রপক্ষকে চাপ দিবে। নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন করবে। নিজের হাতে নবী দাবী কারীকে হত্যা করবে না। কারণ এ অনুমতি থাকলে দেশে বিশৃংখলা সৃষ্টি হবে।
সুতরাং রাসুল সাঃ কে শেষ নবী না মেনে যারা নবুয়তের দাবী করে,বা মিথ্যা নবীর অনুসরণ করে, তারা মুরতাদ। তাদের একমাত্র শাস্তি হল মৃত্যুদন্ড। কার্যকর করবে রাষ্ট্রপক্ষ।
,
হ্যাঁ যদি সে তওবা করে,তাহলে ইমাম শাফেয়ী রহঃ নিকটে তার তওবা কবুল করা হবে,তাকে আর হত্যা করা হবেনা।
ইমাম মালেক রহঃ বলেন যে তার তওবার কোনো গ্রহনযোগ্যতা নেই।
তাকে সর্বাবস্থায় হত্যা করা হবে।
★ইমাম আবু হানিফা রহঃ বলেন যে যদি সে
গ্রেফতারের পূর্বেই নিজে থেকে তওবা করে তাহলে তাকে আর হত্যা করা হবেনা।
আর যদি গ্রেফতারের পর সে তওবা করে,তাহলে তার তওবার কোনো গ্রহনযোগ্যতা নেই।
তাকে হত্যা করা হবে।
(আপকে মাসায়েল আওর উনকা হল ১/৪৬)