আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
428 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (10 points)

بِسْمِ الّٰلهِ الرَّحْمٰنِ الرَحِيْمِ

মুহতারাম আসসালামু'আলাইকুম

সম্প্রতি নবী দাবি করায় পাকিস্তানে তাহির আহমদ নাসিম নামে এক ব্যাক্তিকে আদালতের ভেতরেই গুলি করে হত্যা করে এক যুবক। কেউ নবী দাবি করলে ইসলামে এর কি ধরনের শাস্তির ব্যবস্থা রয়েছে?  

1 Answer

+1 vote
by (574,260 points)
edited by
উত্তরঃ
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 

যে ব্যাক্তি নবী দাবী করে শরীয়তের বিধান অনুযায়ী সে মুরতাদ যিনদিক। 
সে যদি তওবা না করে, তাহলে ইসলামী শরীয়তে তার একমাত্র শাস্তি হলো মৃত্যুদন্ড। 
    
ইমাম আবু হানীফা রহঃ এবং ইমাম শাফেয়ী রহঃ এর মতানুসারে মুরতাদকে হত্যা করবে রাষ্ট্রপ্রধান বা তার প্রতিনিধিরা। কিন্তু সাথে সাথে একথাও লিখেছেন যে, যদি কোন সাধারণ মানুষ মুরতাদকে হত্যা করে ফেলে তাহলে তার উপর কোন শাস্তি আসবে না। কেননা মুরতাদ হওয়ার কারণে লোকটি প্রথমেই তার রক্তকে অন্যের জন্য হালাল করে দিয়েছে।
বাদায়েউস সানায়েতে বলা হয়েছে-

إن قتله إنسان قبل الاستتابة يكره له ذلك ولا شيء عليه لزوال عصمته بالردة (بدائع الصنائع، كتاب السير، فصل وأما بيان أحكام المرتدين)
যদি তাকে কেউ হত্যা করে তওবা করার আগেই তাহলে কাজটি মাকরূহ হলেও হত্যাকারীর উপর কোন কিছু আবশ্যক হবে না। কেননা মুরতাদ হওয়ার কারণে  লোকটি প্রথমেই তার রক্তকে অন্যের জন্য হালাল করে দিয়েছে। {বাদায়েউস সানায়ে-৭/১৩৪}

তবে বর্তমানে ওলামায়ে কেরাম এমতই পোষণ করেন যে,  খতমে নবুয়ত অস্বীকার করে যে ব্যাক্তি মিথ্যা নবুয়তের দাবী করবে,তৌহিদী জনতা  রাষ্ট্রপক্ষকে চাপ দিবে। নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন করবে। নিজের হাতে নবী দাবী কারীকে হত্যা করবে না। কারণ এ অনুমতি থাকলে দেশে বিশৃংখলা সৃষ্টি হবে।


সুতরাং রাসুল সাঃ কে শেষ নবী না মেনে যারা নবুয়তের দাবী করে,বা মিথ্যা নবীর অনুসরণ করে,     তারা মুরতাদ। তাদের একমাত্র শাস্তি হল মৃত্যুদন্ড। কার্যকর করবে রাষ্ট্রপক্ষ।
,

হ্যাঁ যদি সে তওবা করে,তাহলে ইমাম শাফেয়ী রহঃ নিকটে তার তওবা কবুল করা হবে,তাকে আর হত্যা করা হবেনা।
ইমাম মালেক রহঃ বলেন যে তার তওবার কোনো গ্রহনযোগ্যতা নেই। 
তাকে সর্বাবস্থায় হত্যা করা হবে।

 ★ইমাম আবু হানিফা রহঃ বলেন যে যদি সে   
 গ্রেফতারের পূর্বেই নিজে থেকে  তওবা করে তাহলে তাকে আর হত্যা করা হবেনা।
আর যদি গ্রেফতারের পর সে তওবা করে,তাহলে তার তওবার কোনো গ্রহনযোগ্যতা নেই। 
তাকে হত্যা করা হবে।  
(আপকে মাসায়েল আওর উনকা হল ১/৪৬)      


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...