জবাব
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
নাবালেগ সন্তানদের যেই গিফট গুলো দেওয়া হয়,সেটির বিভিন্ন ছুরত রয়েছে।
এক, যদি সেটি এমন বস্তু হয়,যেটি বাচ্চাদের ব্যবহারের
যেমন খাবার, খেলনা,কাপড় ইত্যাদি।
তাহলে এটি সন্তানের মালিকানায় যাবে।
বাবা মার এখানে কোনো প্রকারের হস্তক্ষেপ চলবেনা।
এক্ষেত্রে বাবা মা যেকোনক ভাবে সেই খাবার খেলে তার মূল্য বাচ্চাকে দিবে।
দুই, যদি এগুলো ব্যাতিত অন্য কোনো বস্তু গিফট হিসেবে দেওয়া হয়,তাহলে উরফ তথা সামাজিক প্রচলন কি? সেটি দেখতে হবে।
যদি সমাজে এগুলো সন্তানের বাবা মাকেই দেওয়া উদ্দেশ্য থাকে,(যেমন আকীকায় দেওয়া হয়ে থাকে).তাহলে এটির মালিক বাবা মা হবে।
যদি বাবার আত্মীয় দিয়ে থাকে,তাহলে বাবা মালিক হবে।
যদি সন্তানের মায়ের আত্মীয় দিয়ে থাকে,তাহলে সন্তানের মা এর মালিক হবে।
তিন, যদি সামাজে এটি এইভাবে প্রচলন হয় যে এটি সন্তানকেই দেওয়া হয়,তাহলে সন্তানই এর মালিক হবে।
চার, যদি কোনো ক্ষেত্রে গিফট দাতা স্পষ্ট আকারে বলে দেয় যে এটি সন্তানের জন্য,তাহলে তার মালিক সন্তান।
যদি স্পষ্ট বলে দেয় যে এটি সন্তানের বাবা মার জন্য,তাহলে এর মালিক সন্তানের বাবা মা।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
وَعَنْ أَبِىْ حُرَّةَ الرَّقَّاشِىِّ عَنْ عَمِّه قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ : «أَلَا لَا تَظْلِمُوا أَلَا لَا يَحِلُّ مَالُ امْرِئٍ إِلَّا بِطِيبِ نَفْسٍ مِنْهُ». رَوَاهُ الْبَيْهَقِىُّ فِىْ شُعَبِ الْإِيْمَانِ وَالدَّارَقُطْنِىِّ فِى الْمُجْتَبٰى
আবূ হুররাহ্ আর্ রক্কাশী (রহঃ) তাঁর চাচা হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সাবধান! কারো ওপর জুলুম করবে না। সাবধান! কারো মাল তার মনোতুষ্টি ছাড়া কারো জন্য হালাল নয়।
সহীহ : আহমাদ ২০৬৯৫, শু‘আবুল ঈমান ৫১০৫, ইরওয়া ১৪৫৯, সহীহ আল জামি‘ ৭৬৬২,মিশকাতুল মাসাবিহ ২৯৪৬)