ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/343 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছিলাম যে,
তাই বলা যায় মুসলিম দেশের মুসলিম সরকারের জন্য ওয়াজিব যে,অচিরেই পৃথক শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করা।
প্রয়োজনে এ জন্য শান্তিপূর্ণ কর্মসূচী পালন করা সমস্ত মুসলমানের ঈমানী দায়িত্ব ও কর্তব্য।
কিন্তু যতদিন পর্যন্ত এই পৃথক শিক্ষা ব্যবস্থা চালু না হচ্ছে ,ততদিন প্রয়োজনের তাগিদে নিম্নোক্ত শর্তাদির সাথে কলেজ-ভার্সিটিতে শিক্ষা গ্রহণের পরামর্শ দেয়া যেতে পারে।
১/শিক্ষা অর্জন দেশ ও মুসলিম জাতীর খেদমতের উদ্দেশ্যে হতে হবে।
২/চোখকে সব সময় নিচু করে রাখতে হবে,প্রয়োজন ব্যতীত কোনো শিক্ষক/শিক্ষিকার দিকে তাকানো যাবে না।মহিলা/পুরুষ তথা অন্য লিঙ্গের সহশিক্ষার্থীদের সাথে তো কোনো প্রকার সম্পর্ক রাখা যাবেই না।সর্বদা অন্য লিঙ্গর শিক্ষার্থী থেকে নিজেকে নিরাপদ দূরত্বে রাখতে হবে।(ফাতাওয়া উসমানী ১/১৬০-১৭১)
আল্লাহ-ই ভালো জানেন।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
https://www.ifatwa.info/212 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
হাদীস শরীফে মাহরাম ব্যতীত সফর করতে নিষেধ করা হয়েছে।অবস্থানের নিষেধ তথায় আলোচিত হয়নি।সুতরাং মহিলার জন্য এমন কোনো স্থান যেখানে নারী-পুরুষের অবাধ মিলামিশা নেই, এবং যেখানে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে শরয়ী পর্দার যথেষ্ট ব্যবস্থা রয়েছে। সেখানে মহিলা অবস্থান করতে পারবে। তাই মহিলা হোষ্টেলে উপরোক্ত শর্তাদি পাওয়া গেলে সেখানে অবস্থান করে নারীরা লেখাপড়া করতে পারবে।অন্যথায় জায়েয হবে না।
তবে মেয়েদের জন্য হোস্টেলে রাত্রিযাপন করা কখনো উচিৎ হবে না।(খাওয়াতিন কে লিয়ে জাদিদ মাসাঈল;৬৭)
আফসোস! কওমী মহিলা মাদরাসা ব্যতীত এমন হোষ্টেল বাংলাদেশে পাওয়া যাবে কি না? সন্দেহ রয়েছে।হোষ্টেলে অবস্থানের কুফল আজ আমরা সচক্ষে দেখছি। যে ট্রাংকে বই থাকার কথা তাতে আজ আমরা কি দেখছি!!!! আল্লাহ আমাদেরকে হেফাজত করুক।আমীন
এমন সমস্যা বা অসুবিধে যখন মহিলার একাকি সফর ব্যতীত কোনো রাস্তাই নেই।তাহলে এমতাবস্থায় মহিলার জন্য একাকি সফর বৈধ হবে।যেমন কেউ কেউ অনুমতি দিয়ে থাকেন।
وَقَالَ حَمَّادٌ - رَحِمَهُ اللَّهُ تَعَالَى - لَا بَأْسَ لِلْمَرْأَةِ أَنْ تُسَافِرَ بِغَيْرِ مَحْرَمٍ مَعَ الصَّالِحِينَ،
মাহরাম ব্যতীত অন্যান্য নেককার লোকদের সাথে মহিলাদের সফর জায়েয হতে পারে।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-৫/৩৬৬)