আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
1,195 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (2 points)
নবীদের আসমানে মৃত্যুবরণ নিয়ে কোন ইখতিলাফ আছে কি? দলীল সহ উত্তর পেলে কৃতজ্ঞ হবো, ইন শা আল্লাহ!

এই বিষয়ে অনেক ধরনের মন্তব্য করেন অনেকে। আসল ঘটনা টা জানার খুব ইচ্ছে।

অনেক নবীর ব্যাপারে জান্নাতে মৃত্যুর কথাও বলাহয় এগুলো কি সত্য?

1 Answer

0 votes
by (590,820 points)
edited by

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-

মালিক ইবনে সা’সাআ (রা.) থেকে বর্ণিত এক দীর্ঘ হাদিসের বর্ণনা মতে নিম্নরূপ। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘জিবরাইলসহ চলতে চলতে পৃথিবীর নিকটতম আসমানে গিয়ে পৌঁছলাম। জিজ্ঞেস করা হলো, এ কে? উত্তরে বলা হলো জিবরাইল। জিজ্ঞেস করা হলো, আপনার সঙ্গে আর কে? উত্তর দেওয়া হলো, মুহাম্মদ (সা.)। প্রশ্ন করা হলো তাঁকে আনার জন্য কি পাঠানো হয়েছে? তিনি বললেন, হ্যাঁ। বলা হলো, তাঁকে অভিনন্দন, তাঁর আগমন কতই না উত্তম। অতঃপর আমি আদম (আ.)-এর কাছে গিয়ে সালাম করলাম। তিনি বললেন, পুত্র ও নবী, তোমাকে অভিনন্দন। অতঃপর আমরা দ্বিতীয় আসমানে আমি ‘ঈসা ও ইয়াহইয়া (আ.)-এর কাছে এলাম। তাঁরা উভয়ে বললেন, ভাই ও নবী, আপনার প্রতি অভিনন্দন। অতঃপর আমরা তৃতীয় আসমানে পৌঁছলাম এবং আমি ইউসুফ (‘আ.)-এর কাছে গেলাম। তাঁকে আমি সালাম করলাম। তিনি বললেন, ভাই ও নবী, আপনাকে অভিনন্দন। অতঃপর আমরা চতুর্থ আসমানে পৌঁছে আমি ইদরিস (আ.)-এর নিকট গেলাম। আমি তাঁকে সালাম করলাম। তিনি বললেন, ভাই ও নবী, আপনাকে অভিনন্দন। এরপর আমরা পঞ্চম আসমানে পৌঁছলাম। সেখানে আমরা হারুন (আ.)-এর কাছে গেলাম। আমি তাঁকে সালাম করলাম। তিনি বললেন, ভাই ও নবী, আপনাকে অভিনন্দন। এরপর আমরা ষষ্ঠ আসমানে পৌঁছলাম। অতঃপর আমি মুসা (আ.)-এর কাছে গেলাম। আমি তাঁকে সালাম করলাম। তিনি বললেন, ভাই ও নবী, আপনাকে মারহাবা। অতঃপর আমি যখন তাঁর কাছ দিয়ে গেলাম, তখন তিনি কেঁদে ফেললেন। তাঁকে বলা হলো, আপনি কাঁদছেন কেন? তিনি বললেন, হে প্রতিপালক, এ ব্যক্তি যে আমার পরে প্রেরিত, তাঁর উম্মত আমার উম্মতের চেয়ে বেশি পরিমাণে বেহেশতে যাবে। অতঃপর আমরা সপ্তম আকাশে পৌঁছলাম এবং আমি ইবরাহিম (আ.)-কে সালাম করলাম। তিনি বললেন, হে পুত্র ও নবী, আপনাকে অভিনন্দন। ফেরার সময় মুসা (সা.)-এর সঙ্গে নামাজ নিয়ে মহানবী (সা.)-এর দীর্ঘ কথোপকথন হয়। তাঁর পরামর্শ মহানবী (সা.) আল্লাহর কাছে নামাজের ওয়াক্তের সংখ্যা কমানোর আবেদন করেন এবং তা ৫০ ওয়াক্ত থেকে পাঁচ ওয়াক্ত করা হয়। এ ছাড়া প্রতি আসমানে আল্লাহর ফেরেশতারা মহানবী (সা.)-কে অভিনন্দন জানান। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৩২০৭)


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
নবীগণের প্রায় সবাই জমিনে মৃত্যুবরণ করেছেন।শুধুমাত্র হযরত ইসা আঃ কে আল্লাহ আসমানে উঠিয়ে নিয়ে গেছেন।

নবীদের আসমানে মৃত্যু সম্পর্কে আমরা কিছুই জানি না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (590,820 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।
by
তাহলে মিজানুর রহমান আজহারী সাহেবের 
এই আলোচনার সত্যতা সম্পর্কে জানতে চাই।
by (590,820 points)
কারো সম্পর্কে আমরা কোনো মন্তব্য করিনা।আমরা শুধু আমাদের চিন্তাভাবনা কে প্রকাশ করি।অন্যর সাথে আমাদের অমিল হলে, কার কথা মানবেন,সেই ডিসিশন আপনি গ্রহণ করবেন।জাযাকাল্লাহ। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...